বড়লেখায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে চা বাগানের হিসাবরক্ষক উধাও
আব্দুর রব॥ বড়লেখা উপজেলার কেরামতনগর ও কুমারসাইল চা বাগানের হিসাব রক্ষক (একাউন্টেন্ট) মারুফ আহমদের (৪৫) বিরুদ্ধে বাগানের ১ কোটি ১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসায়ীর নিকট থেকে বিভিন্ন পন্থায় আরো অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মারুফ আহমদ পলাতক রয়েছে। সে কুলাউড়া উপজেলার রাজনগর-১ (রবিরবাজার) গ্রামের মৃত আব্দুল হাই মাস্টারের ছেলে।
থানায় দায়ের করা মামলা ও চা বাগান সূত্রে জানা গেছে, মারুফ আহমদ দীর্ঘদিন ধরে বড়লেখাার কেরামত নগর ও কুমারসাইল চা বাগানের একাউন্টেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিল। তার কাছে চা বাগানের দু’টি ব্যাংকের পৃথক ৫টি একাউন্টের চেকবই, ক্যাশ বই, হিসাব-নিকাশ ছাড়াও বাগানের জমির দলিলপত্রসহ যাবতীয় কাগজপত্র ছিল।
১২ জানুয়ারি মঙ্গলবার বাগান কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে মারুফ আহমদ আত্মগোপন করে। এরপর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বাগান কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে হঠাৎ করে মারুফের পলাতক হওয়ার ঘটনায় গত ১৬ জানুয়ারি বাগানের জেনারেল ম্যানেজার মিজানুর থানায় জিডি করেন। পরদিন জেনারেল ম্যানেজার ৫টি ব্যাংকের স্টেটমেন্ট সংগ্রহ করেন। স্টেটমেন্ট সংগ্রহের পর বাগানের নিজস্ব ক্যাশ বইয়ের সাথে মেলাতেই প্রায় ৭৭ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনা ধরা পড়ে। এছাড়া বাগানের আরও প্রায় ২৫ লাখ টাকা গড়মিল থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে বুধবার চা বাগানের জেনারেল ম্যানেজার মিজানুর রহমান মারুফ আহমদকে প্রধান আসামী ও আরো দুইজনের নাম উল্লেখ করে বড়লেখা থানায় মামলা দায়ের করেন।
১৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার চা বাগানের জেনারেল ম্যানেজার মিজানুর রহমান জানান, নিখোঁজের পর মঙ্গলবার ১৭ জানুয়ারি আসামী মারুফ আহমদের বাড়িতে খোঁজ করতে গেলে মামলার ২ ও ৩ নং আাসামী তার সাথে অসদাচারণসহ বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। মিজানুর রহমানের অভিযোগ, মারুফ দুইটি ব্যাংকের কর্মচারীদের সহযোগিতায় জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ১ কোটি এক লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে।
এদিকে মারুফের আত্মগোপনের খবরে বিভিন্ন ব্যবসায়ী বাগানে গিয়ে জানান, নানা পন্থায় সে তাদের নিকট থেকে অন্তত অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এখন বুঝতে পারছেন সে তাদের সাথে প্রতারণা করেছে।
বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ সহিদুর রহমান টাকা আত্মসাতের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চত করে বলেন, ‘মারুফকে গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন