বড়লেখায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সভাপতির স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ

August 27, 2017,

বড়লেখা প্রতিনিধি॥ বড়লেখার গজভাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আপ্তাব আলীর বিরুদ্ধে স্কুল কমিটির সভাপতিসহ বিভিন্ন সদস্যের স্বাক্ষর জাল করে টি.আর বরাদ্দের অর্থ উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। তবে প্রধান শিক্ষক সভাপতির স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ বিশেষ কর্মসুচির দ্বিতীয় পর্যায়ের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে গজভাগ প্রাইমারী স্কুল সংস্কারে গত ১৪ মে ১৫ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায়। প্রধান শিক্ষক আপ্তাব আলী ১৩ জুন সভাপতিসহ প্রকল্প কমিটির ৭ সদস্যের স্বাক্ষর জাল করে বরাদ্দের টাকা উত্তোলন করেন। স্কুল কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের যৌথ একাউন্টে সরকারী বরাদ্দের টাকা লেনদেন করার নিয়ম থাকলেও তিনি একক একাউন্ট ব্যবহার করেন। স্কুল লেভেল ইম্প্র“ভমেন্ট পে¬নের (স্লি¬প) জন্য গত ২৯ ডিসেম্বর ৪০ হাজার টাকা এবং প্রাক-প্রাথমিকের বরাদ্দকৃত আরো ৫ হাজার টাকা প্রধান শিক্ষক আপ্তাব আলী স্কুল কমিটিকে অবহিত না করেই উত্তোলন করে ব্যয় করেন। স্কুল কমিটির সভাপতি আফাজ উদ্দিন বুড্ডু, সদস্য পারভিন বেগম, শিক্ষক প্রতিনিধি মনোয়ারা বেগম প্রমূখ জানান, টি.আর বরাদ্দ উত্তোলনের প্রকল্প কমিটিতে তারা স্বাক্ষর দেননি। প্রধান শিক্ষক তাদের স্বাক্ষর জাল করে টাকা উত্তোলন করেন। সরকারী অর্থ বরাদ্দের কিছুই তিনি কমিটিকে অবহিত করেননি।
প্রধান শিক্ষক আপ্তাব আলী সকল অভিযোগ ষড়যন্ত্রমুলক দাবী করে জানান, শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী সমেরেশ বাবু স্লিপের টাকা স্কুলের একাউন্টে জমা করেন। বরাদ্ধকৃত সকল টাকা তিনি যথাযথভাবে ব্যয় করেছেন। টি.আর বরাদ্দ উত্তোলনের প্রকল্প কমিটির ফরমে সভাপতিসহ সকলেই স্বাক্ষর করেন। এখন আমাকে অপদস্ত করতে তারা অস্বীকার করছেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে জানান, স্লিপের টাকা স্কুলের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের যৌথ একাউন্টে লেনদেন হওয়ার নিয়ম। একজন কর্মকর্তাকে অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com