বড়লেখায় প্রশাসনের তৎপরতায় বাল্যবিয়ে প- : মূচলেখায় আদায়
বড়লেখা প্রতিনিধি॥ বড়লেখায় প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির তৎপরতায় ১ মে সোমবার দুপুরে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ে প- হয়েছে। প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের ভয়ে বরপক্ষ ও কাজী পালিয়ে যায়। ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেয়ার ব্যাপারে কনের বাবা-মায়ের নিকট থেকে মূচলেখায় আদায় করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএসএম আবদুল্লাহ আল মামুন মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, দাসেরবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী (১৫) উপজেলার দাসেরবাজার ইউনিয়নের সুনামপুর গ্রামের আমিন আলীর মেয়ের সাথে বিয়ানীবাজারের জনৈক পাত্রের বিয়ের দিন গত সোমবার নির্ধারন ছিল। বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে ইউএনও এসএম আবদুল্লাহ আল মামুন তা বন্ধ করতে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার রুহুল আমীন বাহারকে নির্দেশ দেন। ইউপি মেম্বার কনের বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধের অনুরোধ জানান। অন্যতায় ইউএনও ভ্রাম্যমান আদালত চালিয়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললে কনের বাবা-মা বিয়ে বন্ধ করেন। এর আগেই স্থানীয় নিকাহ রেজিষ্ট্রার (কাজী) আব্দুল মোক্তাদির ও বরপক্ষ পালিয়ে যায়।
ইউপি মেম্বার রুহুল আমীন বাহার জানান, ইউএনও’র নির্দেশে তিনি বাল্যবিয়ে বন্ধে তৎপর হন। মেয়েটি নবম শ্রেণীর ছাত্রী বয়স ১৫। ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেয়ার মূচলেখা দিয়েছেন মেয়েটির বাবা আমিন আলী ও মা নুরুন নেছা।
দাসেরবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক রঞ্জন দাস জানান, তার স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রীটির বিয়ের খবর শুনে তিনি বিষয়টি ইউএনও’কে অবহিত করেন।
মন্তব্য করুন