বড়লেখায় প্রেম অতঃপর বিয়ের প্রলোভনে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অপচেষ্ঠা
আবদুর রব॥ বড়লেখা নারীশিক্ষা একাডেমি ডিগ্রী কলেজের এক ছাত্রীকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১৩ দিন বিভিন্ন স্থানে আটক রেখে ধর্ষণ করেছে লম্পট প্রেমিক ইমরান আহমদ (২২)। সে জুড়ী উপজেলার কালিনগর গ্রামের কনাই মিয়ার ছেলে। অভিযোগ উঠেছে ঘটনাটি ধামাচাপায় তৎপর রয়েছেন জুড়ীর এক ইউপি চেয়ারম্যান। এ ঘটনায় নির্যাতিত কলেজছাত্রী প্রেমিক ইমরানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বড়লেখা থানায় মামলা করেছেন। এর আগে ভুক্তভোগী ছাত্রীটি মানবাধিকার সংস্থায়ও অভিযোগ করেন।
জানা গেছে, প্রায় ৮ মাস পূর্বে কলেজে কাজের সুবাদে কলেজছাত্রীর (১৯) সাথে পরিচয় হয় ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি ইমরানের। সে সুজানগর ইউনিয়নের দরিদ্র কৃষকের মেয়ে কলেজ ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। ১৮ জুলাই সকালে ছাত্রীটি কলেজে গেলে প্রেমিক ইমরান কলেজ গেট থেকে তাকে কোর্ট ম্যারেজের প্রলোভন দেখিয়ে অটোরিকশায় (সিএনজি) তুলে নিয়ে যায়।
নির্যাতনের শিকার ছাত্রীটি জানায়, অটোরিকশায় তুলেই নেশাদ্রব্য শুকিয়ে তাকে অজ্ঞান করে প্রেমিক ইমরান। জুড়ী উপজেলার নাইট চৌমুহনী যাওয়ার পর তার জ্ঞান ফিরে। কোর্টে না নিয়ে কেন এখানে নিয়ে গেল জানতে চাইলে সে জোরপুর্বক জায়ফরনগর ইউনিয়েনের কালিনগর গ্রামের খালার বাড়িতে আটক রাখে। সেখানে ৭ দিন বিভিন্ন যৌন উত্তেজক ঔষধ সেবন করে পাশবিক নির্যাতন চালায়। বিয়ের চাপ দিলে সে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে আরও ৬ দিন আটক রেখে যৌন নির্যাতন চালায়। পরে ৩০ জুলাই ভাড়া বাসায় উঠার কথা বলে প্রেমিক ইমরান জুড়ীতে নিয়ে আসে। সে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে উত্তর জাঙ্গিরাই এলাকায় ফিরোজ মিয়ার বাড়িতে বাসা ভাড়া নেয়। নিজের নাম ঠিকানা ভুল বলায় এবং বিয়ের কোন কাগজপত্র না থাকায় ফিরোজ মিয়া ইমরানকে বাসা থেকে বের করে দেন। কলেজছাত্রীটি বিয়ের চাপ দিলে লম্পট প্রেমিক তাকে হত্যার চেষ্টা চালায়। ৩ আগষ্ট তাকে জুড়ী সদরে রেখে সে সটকে পড়ে। খবর পেয়ে মেয়েটির বাবা-মা তাকে উদ্ধার করেন। এঘটনায় নির্যাতিতা কলেজছাত্রী মানবাধিকার সংস্থায় ১০ আগষ্ট লিখিত অভিযোগ ও ১৭ আগষ্ট থানায় মামলা দিয়েছে।
বড়লেখা খানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সহিদুর রহমান জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে পুলিশ আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
মন্তব্য করুন