বড়লেখায় ফেইসবুকে প্রধানমন্ত্রী ও হুইপের কথিত অবমাননার অভিযোগ বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের নিন্দা প্রস্তাব

July 25, 2017,

বড়লেখা প্রতিনিধি॥ ১৯ জুলাই বড়লেখা উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলার জেহিন সিদ্দিকী তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে একটি ছবি পোষ্ট দিয়ে ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাতীয় সংসদের হুইপ শাহাব উদ্দিন এমপির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে’ মর্মে অভিযোগের ব্যাপারে বড়লেখা পৌর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়’।
২৪ জুলাই সোমবার অনুষ্ঠিত পৌরসভার মাসিক সভায় এ ধরনের বিভ্রান্তিকর অভিযোগ ও ছবি প্রচারের তীব্র নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হয়।
নিন্দা প্রস্তাবে পৌর পরিষদের সদস্যরা অভিমত দেন ১০ জুলাই আমরা বড়লেখা পৌর কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় হতে প্রদত্ত একটি এক্সকেভেটার ও একটি রোড রোলার স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদককে সাথে নিয়ে গ্রহণ করি এবং তাতে বড়লেখা পৌরবাসীর জন্য ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার’ লিখা ও দুই পার্শ্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, হুইপ শাহাব উদ্দিন সাহেব ও বড়লেখা পৌরমেয়রের ছবি সম্বলিত ব্যানার লাগিয়ে প্রদর্শন করা হয়। যাহা বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এইভাবে পৌর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ৯ দিন প্রকাশ্যে বড়লেখা হাজীগঞ্জ বাজারে তা প্রদর্শিত হয়। গত ১৮ জুলাই সকালে গাড়ীগুলি ব্যানার লাগানো অবস্থায় জাতীয় সংসদের হুইপের বাড়িতে নিয়ে মেয়র সাহেবের উপস্থিতিতে হুইপ সাহেবেকে দেখানো শেষ করে সকাল ১১ টায় ব্যানার খুলে গাড়ীগুলি পৌরসভার গ্যারেজে রেখে এই প্রচার কাজের সমাপ্তি টানা হয়।
পরবর্তীতে ঐ দিন নির্ধারিত অফিস সময়সূচীর শেষলগ্নে কে বা কারা অফিসে রক্ষিত ব্যানার গ্যারেজে রক্ষিত গাড়ীতে অসংলগ্নভাবে লাগিয়ে ছবি তুলে সেই ছবি ও কিছু বিভ্রান্তিকর কথা লিখে ফেইসবুকে প্রচার ও পরবর্তীতে অনলাইনসহ বিভিন্ন পত্রিকায় বিভ্রান্তিমুলক সংবাদও প্রকাশিত হয়। যা আদৌ ঠিক নয়। পৌরসভার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করায় পৌর পরিষদ কর্তৃক মাসিক সভায় সকলে ঐক্যমতভাবে এই ঘটনার নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করা হয় এবং ইহাকে পৌরসভার সার্বিক উন্নয়নমূলক কাজকে বাঁধাগ্রস্থ করার একটি ষড়যন্ত্র হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
পৌরমেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তি জানানো হয় স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় কর্তৃক দেয়া রোলার ও এক্সকেভেটারে ব্যানার নিয়ে একধরণের বিভ্রান্তির সৃষ্টি করা হয়েছে। ঐ ধরণের রোলার ও এক্সকেভেটার পার্শ্ববর্তী দুই পৌরসভা কুলাউড়া ও বিয়ানীবাজারসহ অনেক পৌরসভা পেয়েছে। কিন্তু কেহই এভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও হুইপ সাহেবের ছবি লাগিয়ে উনাদেরকে সম্মান ও দলীয় প্রচার করেন নাই। ব্যতিক্রম শুধু বড়লেখা পৌরসভা। তাই বর্তমান সময়ে জাতীয় সংসদের হুইপ সাহেবের পরামর্শ ও দিক নির্দেশনায় বড়লেখা পৌরসভার সার্বিক উন্নয়নমূলক কাজে ঈর্ষান্বিত হয়ে আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা জামায়াত, বিএনপির সাথে সম্পর্ক রক্ষাকারী এবং তাদের সাথে ভোট বিনিময়ের মাধ্যমে নির্বাচিত ব্যক্তি এই ধরণের কাজে সম্পৃক্ত। তিনি মনে করেন সম্প্রতি দেশব্যাপী আলোচিত বরিশালের ইউএনও-কে নাজেহাল করার সেই ঘটনায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ওবায়েদ উল্লাহ সাজুকে যেভাবে সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বহিষ্কার করেছেন, ঘটনার তদন্ত হলে এইখানে (বড়লেখায়) আরও সাজুদের অবস্থান খুঁজে পাওয়া যাবে।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com