বড়লেখায় বনবিভাগ ও বিজিবি’র অভিযানে চোরাই আগর কাঠ উদ্ধার
আব্দুর রব॥ বড়লেখার সুজানগর ইউনিয়নের রফিনগর গ্রামের সাহিদ আহমদের বাড়িতে চোরাই কাঠ উদ্ধারের নামে শনিবার সকালে বনবিভাগ ও বিজিবি যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে। পরে থানা পুলিশের সহায়তায় ১৩ টুকরো আগর কাঠ উদ্ধার করে তা জব্দ করা হয়। এব্যাপারে বন আইনে মামলা হয়েছে। তবে আগর-আতর ব্যবসায়ী সাহিদ আহমদের দাবী বনবিভাগের উদ্ধার করা কাঠগুলো চোরাই কাঠ নয়, উপজেলার সুড়িকান্দি গ্রামের জনৈক ব্যক্তির নিকট থেকে আতর কারখানার জন্য তিনি গাছগুলো ক্রয় করে বাড়িতে রাখেন।
বনবিভাগ ও বিজিবি সুত্রে জানা গেছে, ভানুগাছ রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে আগর গাছ চুরির গোপন সংবাদে ১৯ নভেম্বর শনিবার সকাল সাড়ে সাতটায় বনবিভাগের স্পেশাল বাহিনী (কুলাউড়া), বিজিবি ও বড়লেখা রেঞ্জের বন কর্মকর্তারা সুজানগরের আগর-আতর ব্যবসায়ী রফিনগর গ্রামের মৃত আব্দুল হান্নানের ছেলে সাহিদ আহমদের বাড়িতে অভিযান চালান। সকাল দশটার দিকে বনবিভাগ ও বিজিবি থানা পুলিশের সহায়তায় ১৩ টুকরো আগর কাঠ জব্দ করে। পরে কাঠগুলো চোরাই হিসেবে জব্দ করে রেঞ্জ অফিসে জমা রাখা হয়।
বনবিভাগের বড়লেখা অফিসের সহযোগী রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস জানান, সুজানগরের সাহিদ আহমদ ভানুগাছ রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে পিকআপ যোগে বেশ কিছু চোরাই আগর গাছ নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। গোপন সংবাদে বনবিভাগ পিছু নেয়। অভিযানের খবর পেয়ে পিকআপ ভ্যানটি গাছ ফেলে সটকে পড়ে। ব্যাপক চোরাই গাছ সরিয়ে ফেলা হলেও বিজিবি ও পুলিশের সহায়তায় সাহিদ আহমদের বাড়ি থেকে আংশিক চোরাই আগর কাঠ উদ্ধার করা হয়। এব্যাপারে সাহিদ আহমদকে প্রধান আসামী করে বন আইনে মামলা হয়েছে (মামলা নং-৪৮/বড়/অব/২০১৬-১৭)।
বনবিভাগের উদ্ধারকৃত আগর কাঠগুলো চোরাই নয়, দাবী করে অভিযুক্ত সাহিদ আহমদ জানান, তার নিজস্ব আতর কারখানার জন্য তিনি উপজেলার সুড়িকান্দি গ্রামের জনৈক ব্যক্তির নিকট থেকে গাছগুলো ক্রয় করেছেন। বনবিভাগ অবৈধভাবে বিজিবি ও পুলিশ নিয়ে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে।
মন্তব্য করুন