বড়লেখায় বন্যহাতির উপদ্রপ-উদ্বেগ-আতংকে রাত জেগে পাহারা
কুলাউড়া অফিস॥ বড়লেখার নিউ সমনবাগ চা বাগানের বিভিন্ন সেকশন ও শ্রমিক লাইনে এক সপ্তাহ ধরে সাত বন্য হাতি দুই দলে বিভক্ত হয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। হাতির দল আবাদি এলাকায় ধানের ক্ষেত, চা গাছ ও ছায়াবৃক্ষ উপড়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করছে। হাতির অবাধ বিচরণে শ্রমিক কলোনিতে উদ্বেগ আতংক বিরাজ করছে। চা শ্রমিকরা রাত জেগে ডাক-ঢোল পিটিয়ে মশাল ও টর্চ লাইট জ্বালিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করলেও হাতিগুলো এর তোয়াক্কা করছে না।
২৫ সেপ্টেম্বর রোববার সরেজমিনে গেলে সমনবাগ চা বাগানের ৯, ১০ ও ১১ নম্বর সেকশনের নাইট চৌকিদার আমু মিয়া, আব্দুল হক, জয়নাল, সুজিত, সজল, উনু প্রমূখ জানান, ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে নিয়মিত সন্ধ্যার পরই হাতির দল পাহাড় থেকে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে এবং সকালের দিকে পাহাড়ে ফিরে। এ দলের এক বন্যহাতি চলিত বছরের ১ ফেব্রুয়ারী নামে জামকান্দি এলাকার কাঠ ব্যসায়ী গিয়াস উদ্দিনকে মেরে ফেলায় লোকজনের মধ্যে চরম উদ্বেগ আতংক বিরাজ করছে। হাতির ভয়ে শ্রমিক কলোনির বাসিন্দারা সন্ধ্যার পর ঘর থেকে বের হচ্ছে না। সমনবাগের টিলা বড়বাবু টিংকু দত্ত জানান, হাতির দল দুইভাগে বিভক্ত হয়ে চা সেকশন, আবাদি জমি ও আবাসিক এলাকায় ধানের, চা গাছের ও বসত ঘরের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করছে। হাতি আতংকে শ্রমিকরা বিচরণ এলাকায় চা পাতা আহরণ বন্ধ করে দিয়েছে। এতে উৎপাদন ব্যাহতের আশংকা রয়েছে। বাগানের স্টাফরা শ্রমিকদের নিয়ে রাত জেগে বন্্যহাতি তাড়ানোর চেষ্টা চালালেও হাতিগুলো এসবের তোয়াক্কা না করে পরদিন আবার বীরদর্পে লোকালয়ে প্রবেশ করছে। নিউ সমনবাগ চা বাগানের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলী খান জানান, বন্য হাতিগুলো সমনবাগ ছাড়াও মোকাম বাগানের ৩, ৭, ৮, ১০, ১২ থেকে ১৭ নম্বর সেকশন পর্যন্ত বেপরোয়া বিচরণ করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে। শনিবার রাতে তার বাংলোর কাছাকাছি অবস্থানে তিনিসহ শ্রমিকরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। হাতির হামলায় যে কোন সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশংকায় বিষয়টি তিনি ইউএনও-কে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন