বড়লেখায় বন্যা পরিস্থিতি ফের অবনতি

July 13, 2017,

আব্দুর রব॥ বড়লেখায় বন্যা পরিস্থিতি ফের অবনতি হয়েছে। কয়েকদিন ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছিল।
তবে ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতের কয়েক ঘন্টার ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি আবারও অবনতি হয়েছে। ফলে আবারও বাড়িঘর রাস্তাঘাট ডুবতে শুরু করেছে। এতে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অকাল বন্যায় হাকালুকি হাওর সংলগ্ন বর্ণি, তালিমপুর, সুজানগর ও দাসেরবাজার ইউনিয়নসহ আশপাশের এলাকার অন্তত ছয়টি ইউনিয়নের প্রায় দেড়লাখ মানুষ দুইমাস ধরে পানিবন্দী হয়ে পড়েন। বন্যার অবনতি ঘটায় উপজেলার তালিমপুর, বর্নি, সুজানগর, উত্তর শাহবাজপুর, দাসেরবাজারসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে ১৪টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়া দুর্গত ২৫৩ পরিবার আশ্রয় নেয়।  এদিকে গত কয়েকদিন তেমন ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল। রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর থেকে পানি নামতে শুরু করায় অনেকেইক বাড়ি ফিরতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার রাতের কয়েকঘন্টার ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আবারও অবনতি হয়েছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে অনেকের ঘরে পানি ঢুকে পড়েছ। এছাড়া অধিকাংশ গ্রামীণ সড়ক আবারও পানির ডুবে গেছে।
সরেজমিনে তালিমপুর ইউপি’র হাল্লা, ইসলামপুর, খুটাউরা, বাড্ডা, নুুনুয়া, পাবিজুরি, শ্রীরামপুর, মুর্শিবাদকুরা, পশ্চিম গগড়া, পূর্ব গগড়া, বড়ময়দান, গাগড়াকান্দি, তেলিমেলি, গোপালপুর, হাউদপুর; সুজানগর ইউনিয়নের দশঘরি, রাঙ্গিনগর, ঝগড়ি, বাড্ডা, পাটনা, ভোলারকান্দি, উত্তর বাঘমারা, বাঘেরকোণা, চরকোনণা, পশ্চিম সালদিগা, বর্ণি ইউপির পাকশাইল, সৎপুর, কাজিরবন্দ, নোয়াগাঁও, উজিরপুর, মুন্সিনগর এবং দাসেরবাজার ইউপির চানপুর, অহিরকুঞ্জি, উত্তর বাগিরপার, দক্ষিণ বাগিরপার, পানিশাইল, ধর্মদেহী, চুলারকুড়ি, কোদালী, ধলিরপাড়, নেরাকান্দি, মাইজমজুড়ি, মালিশ্রী গ্রামের রাস্তাঘাট ঢলের পানিতে নিমজ্জিত থাকতে দেখা গেছে। এছাড়া ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় অনেকেই আবারও উঁচু এলাকায় আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছেন।
তালিমপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ কান্তি দাস জানান, কয়েকদিন বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। এতে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মানুজন বাড়ি ফিরতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতের ভারী বৃষ্টিতে আবার পানি বাড়ছে। তাদের বাড়ি ফেরা এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এতে মানুষজনের দুর্ভোগ আরও বাড়ছে।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com