বড়লেখায় বাল্যবিয়ের অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালত কনের বাবার ৭ দিনের কারাদন্ড মা ও চাচার জরিমানা : কাজী উধাও
আব্দুর রব॥ বড়লেখায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে রোকশানা আক্তার নামে এক কিশোরী। সে সদর ইউনিয়নের আদিত্যের মহাল (বিছরাবাজার) এলাকার আবুল কালামের মেয়ে। বাল্যবিয়ে আয়োজনের অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালত কিশোরীর বাবা আবুল কালামকে (৬০) ৭ দিনের কারাদন্ড, মা মিনারা আক্তার ও চাচা আব্দুস ছালামকে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। বর ও কাজী পালিয়ে রক্ষা পায়। ১০ আগস্ট বড়লেখা উপজেলাকে বাল্যবিয়েমুক্ত উপজেলা ঘোষনা করেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।
ভ্রাম্যমান আদালত ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ২৬ আগষ্ট শুক্রবার উপজেলার সদর ইউনিয়নের আদিত্যের মহাল (বিছরাবাজার) এলাকার আবুল কালাম তার কিশোরী মেয়ে রোকশানার বিয়ের আয়োজন করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম আবদুল্লাহ আল মামুনসহ প্রশাসনের লোকজন বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে বরপক্ষ ও কাজী কনের বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে কনের বাড়িতে ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আবদুল্লাহ আল মামুন সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমান আদালত চালিয়ে বাল্যবিয়ে আইন ১৯২৯ এর ৬ ধারায় কনের বাবা আবুল কালামকে (৬০) ৭ দিনের কারাদন্ড, মা মিনারা আক্তার ও চাচা আব্দুস ছালামকে ১ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড প্রদান করেন।
ইউএনও এসএম আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, যথাসময়ে খবর পাওয়ায় প্রশাসন এ বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে পেরেছে। এর দু’দিন আগেও আরেকটি বিয়ে ভেঙে দেয়া হয়েছে। তারপরও অভিভাবকরা সতর্ক হচ্ছেন না।
মন্তব্য করুন