বড়লেখায় বিদেশ নেয়ার নামে প্রতারণা : আদম বেপারি গ্রেফতার
বড়লেখা প্রতিনিধি॥ বড়লেখায় শ্বশুড়কে জিম্মায় রেখে বিদেশ নেয়ার নামে ৪ যুবকের নিকট থেকে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় কাতার প্রবাসী প্রতারক আবুল হোসেন ও তার বাবা দুবাই ফেরৎ আব্দুল মালিক। জাল ভিসায় বিদেশ নিতে গিয়ে বাপ-বেটা ধরা পড়ে। যুবকরা টাকা ফেরৎ চেয়ে না পেয়ে জিম্মাদারের ওপর চড়াও হয়। পরে শ্বশুর আব্দুল মতিন নিজের ভিটা বিক্রি করে টাকা দিয়ে রক্ষা পান। মেয়ের জামাইকে টাকার তাগদা দেয়ায় প্রতারক আবুল হোসেন সম্প্রতি স্ত্রীকে তালাক দিয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রতারণা মামলায় পুলিশ ৩ আগষ্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে আদম বেপারি আব্দুল মালিককে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
মামলার বিবরণ ও থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের আব্দুল মতিনের মেয়ে ফরিদা বেগমের সাথে রুকনপুর গ্রামের দুবাই ফেরৎ আব্দুল মালিকের ছেলে কাতার প্রবাসী আবুল হোসেনের বিয়ে হয়। ২০০৯ সালে আবুল হোসেন শ্বশুড় আব্দুল মতিনকে জানায় তার কাছে কয়েকটি ভিসা রয়েছে ভাল লোক দেখে সেগুলো বিক্রি করতে। তিনি এলাকার ৪ ব্যক্তির নিকট থেকে ভিসা বাবত ৫ লাখ টাকা অগ্রিম গ্রহণ করে আবুল হোসেনের কথামত তারা বাবা আব্দুল মালিকের নিকট তা প্রদান করেন। অবশিষ্ট টাকা বিদেশ যাওয়ার পর সেখানে পরিশোধের শর্ত থাকে। দীর্ঘদিন পর ভিসা পাঠালে টিকেট করতে গিয়ে সেগুলো জাল ধরা পড়ায় তারা টাকা ফেরৎ চান। দীর্ঘদিন ঘুরিয়েও তারা টাকা ফেরৎ না পেয়ে জিম্মাদার আব্দুল মতিনকে চাপ দিতে থাকে। পরবর্তীতে দিয়ে দিবে জানিয়ে আবুল হোসেন শ্বশুরকে যেভাবে পারেন টাকাগুলো পরিশোধ করতে বলে। তিনি নিজের ভিটা বিক্রি করে ঋন পরিশোধ করেন। পরে শ্বশুড়ের টাকার তাগদায় আবুল হোসেন সম্প্রতি স্ত্রী ফরিদা বেগমকে তালাক দিয়েছে।
অবশেষে নিরুপায় হবে আব্দুল মতিন কাতার প্রবাসী সাবেক জামাতা আবুল হোসেন ও বেয়াই আব্দুল মালিককে আসামী করে থানায় প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাৎ মামলা করেন। এ মামলায় আবুল হোসেন গা ঢাকা দিলেও থানার এসআই শরীফ উদ্দিন তার বাবা আদম বেপারি আব্দুল মালিককে গ্রেফতার করেন।
থানার ওসি মোহাম্মদ শহিদুর রহমান জানান, গ্রেফতারকৃত আব্দুল মালিক ও তার ছেলে আবুল হোসেনের বিরেুদ্ধে বিদেশ নেয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেয়ার আরো অনেক অভিযোগ রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে আব্দুল মালিককে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন