বড়লেখায় বিয়ে করতে গিয়ে পালিয়ে বাঁচলেন বর
বিশেষ প্রতিনিধি॥ বড়লেখায় স্থানীয় সচেতন যুবকদের সহযোগিতায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ২৩ আগষ্ট বুধবার একটি নিশ্চিত বাল্যবিয়ে পন্ড হয়েছে। ইউএনওসহ প্রশাসনের লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে বরপক্ষ কনের বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। স্থানীয় এক ওয়ার্ড মেম্বারের সহযোগিতায় বাল্যবিয়েটি হচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। ২৮ জুলাই এ ইউনিয়নকে বাল্যবিয়ে মুক্ত ইউনিয়ন ঘোষনা করা হয়। জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলার নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের গল্লাসাঙ্গন উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী শবনব আফরোজ মাহিন। সে পকুয়া গ্রামের আলাউদ্দিন ও আয়শা বেগম লাভলির কিশোরী মেয়ে। স্কুলের ভর্তি রেকর্ড অনুযায়ী মাহিনের জন্মের তারিখ ৩০ মার্চ ২০০২ ইং এবং বয়স প্রায় ১৪ বছর ৫ মাস। এ বয়সে বাবা-মা পার্শবর্তী বিয়ানীবাজার উপজেলার এক সন্তানের জনক কাংলি গ্রামের মৃত মোমিন আলীর ছেলে আতিকুর রহমান নাঈমের (৩৬) সাথে মাহিনের বিয়ের দিনক্ষণ নির্ধারন করেন ২৪ আগস্ট। এ দিন কনের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তুতিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত হলে বরসহ বরযাত্রীরা পালিয়ে যায়। আত্মগোপন করেন কনের বাবা-মা। গ্রামের সচেতন যুবক আলতাফ হোসেন, র”হুল আহমদ, ইসলাম উদ্দিন, সাকিল আহমদ, সাজু আহমদ প্রমূখ অভিযোগ করেন জনপ্রতিনিধি হয়েও ওয়ার্ড মেম্বার সিরাজ উদ্দিন বাল্যবিয়ে বন্ধে তৎপর না হয়ে বিষয়টি ধামাচাপার চেষ্টা চালান। তার যোগসাজসেই এ বাল্যবিয়ে হচ্ছিল। আমরা উদ্যোগ না নিলে তা ঠেকানো সম্ভব হতো না। ওয়ার্ড মেম্বার সিরাজ উদ্দিন যোগসাজসের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, বাল্যবিয়ের খবর পেয়েই তিনি কনের বাড়িতে পৌঁছে বাবা-মাকে জোরালোভাবে বিয়ে বন্ধ করতে বলেছেন। ইউএনও এসএম আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, যথাসময়ে খবর পাওয়ায় প্রশাসন এ বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে পেরেছে। ১৮ বছর পুর্ণ না হওয়া পর্যন্ত যাতে এ কিশোরীকে বাবা-মা বিয়ে না দেন সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন