বড়লেখায় বুদ্ধিমত্তায় অপহরণকারীদের কবল থেকে বেঁচে গেল হাফেজ শিক্ষার্থী
বড়লেখা প্রতিনিধি॥ বড়লেখার হাফিজিয়া মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থী নিজের বুদ্ধিমত্তায় অপহরণকারীদের কবল থেকে বেঁচে গেছে। পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন। ধারনা করা হচ্ছে কোন জঙ্গীগোষ্ঠী সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ব্যবহারের জন্য তাকে অপহরণ করেছিল।
হাসপাতাল ও অপহৃত মাদ্রাসা শিক্ষার্থী সুত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ১৪ জুলাই রাহেদ আহমদ রেজা (১০) জুড়ী উপজেলার কালিনগর গ্রামের অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য হাবিবুর রহমানের পুত্রকে কোরআনে হাফেজ বানাতে এক বছর আগে বড়লেখা উপজেলার সফরপুর গ্রামের তাওকুলিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করেন। মাদ্রাসার পার্শ্ববর্তী বাড়িতে লজিংয়ে থেকে সে মাদ্রাসায় পড়াশুনা করতো। প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় সে মাদ্রাসায় যাচ্ছিল। মাদ্রাসায় পৌঁছার প্রাক্কালে মেইনরোডে একটি অটোরিকশা (সিএনজি) থামিয়ে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তি তাকে জোরপুর্বক তোলে নেয়। অর্ধকিলোমিটার দুরে দক্ষিণভাগ বাজারে ব্যাগ হাতে আরেক ব্যক্তি অটোরিকশায় উঠে। চলন্ত অবস্থায় তাকে ইঞ্জেকশন পুশ করায় তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। প্রায় ১০ কিলোমিটার যাওয়ার পর অপহরণকারীরা মেইনরোড দিয়ে না গিয়ে বড়লেখা পৌরশহরের পাখিয়ালা-দরগাবাজার রোডে যেতে থাকে। এ সড়ক ভাঙ্গাচুরা হওয়ায় অটোরিকশা ধীরে চলচিল। রেল ক্রসিংয়ের পশ্চিমে রেজার জ্ঞান ফিরলে সে চিৎকার দিয়ে অটোরিকশা থেকে লাফিয়ে পড়ে। পথচারীরা অসলংগ্ন অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে করেন। পার্শ্ববর্তী এক বাড়িতে রেখে তার বাবর ফোন নম্বর বলায় লোকজন ফোনে বাবাকে খবর দেন। বেলা দুইটার দিকে রেজার বাবা অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য হাবিবুর রহমান তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. আহমদ হোসেন বৃহস্পতিবার সন্ধায় জানান, অটোরিকশায় তোলার পর ইঞ্জেকশন পুশ করায় সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। হাসপাতালে ভর্তি করে তার চিকৎসা চলছে।
ধারনা করা হচ্ছে কোন জঙ্গীগোষ্ঠী অপকর্মে ব্যবহার করার জন্য মাদ্রাসা ছাত্র রাহেদ আহমদ রেজাকে অপহরণ করেছিল। ভাগ্যক্রমে সে বেঁচে যায়।
মন্তব্য করুন