বড়লেখায় ভূমিধস ও বন্যায় ৪৫ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত
আবদুর রব॥ বড়লেখা উপজেলায় ভূমিধস ও বন্যায় এলজিইডির ২০টি রাস্তার প্রায় ৪৫ কিলোমিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার পানিতে রাস্তার বিভিন্ন অংশে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে উপজেলার বন্যা আক্রান্ত এলাকার রাস্তাসমূহ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। যানবাহন চলাচল ও পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এলজিইডি ও সরেজমিন সূত্রে জানা গেছে, ভূমিধসে বড়লেখা সদর ইউনিয়ন অফিস-স্কুল টিলা ভায়া ডিমাইবাজার রাস্তার ২০০ মিটার এবং কাঁঠালতলী-মাধবকুন্ড রাস্তা-গান্ধাইবাজার ভায়া বিওসি ডিমাই বাজার রাস্তার ২০০ মিটার এলাকা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বড়লেখা আরএইচডি চৌমুহনী-হাকালুকি হাওর ভায়া কানুনগো জিসি রাস্তার ৫.৩০ কিলোমিটার, দাসেরবাজার বাছিরপুর আরএইচডি ভায়া কানোনগোবাজার আজিমগঞ্জ রাস্তার ৬.৩৫০ কিলোমিটার, বড়লেখা-শাহবাজপুর রাস্তা ১ কিলোমিটার, কাঁঠালতলী আরএইচডি আজিমগঞ্জ জিসি ভায়া তেড়াকুঁড়ি রাস্তার ৪.৪০ কিলোমিটার, তালিমপুর আরএইচডি আজিমগঞ্জ জিসি ভায়া তালিমপুর ইউনিয়ন অফিস রাস্তার ৩.৫০ কিলোমিটার, সুজাউল আরএইচডি চান্দগ্রাম জিসি রাস্তার ৩ কিলোমিটার, আরএইচডি বরইতলী-বড়লেখা জিসি ভায়া মুছেগুল হিনাইনগর সড়ক ২.৫০ কিলোমিটার, দাসেরবাজার ইউনিয়ন অফিস ভায়া বর্ণি গোডাউন বাজার সড়ক ৪.০৭ কিলোমিটার, বর্ণি ইউনিয়ন অফিস ভায়া মনারাই মনাদি সড়ক ১.৫০ কিলোমিটার, বর্ণি ইউনিয়ন অফিস ভায়া ঈদগাহবাজার-আহমদপুর সড়ক ১.২৫০ কিলোমিটার, কাঁঠালতলী-তেড়াকুড়ি সুজানগর ইউনিয়ন অফিস সড়ক ১ কিলোমিটার, আরএইচডি ছোটলেখা চা বাগান সড়ক ২ কিলোমিটার, চান্দগ্রাম আরএইচডি পূর্ব মাইজগ্রাম সড়ক ৩ কিলোমিটার, সৎপুর-কাজিরবন্দ সড়ক ১.৫০ কিলোমিটার, আরএইচডি ঈদগাহবাজার-নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়ন অফিস সড়ক আদমপুর ভায়া রসগ্রাম সড়ক .৫০ কিলোমিটার, আজিমগঞ্জ-রফিনগর সড়ক ৮৬০ মিটার, ফকিরবাজার-গোডাউন বাজার রাস্তা হতে উত্তর বর্ণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রাস্তার ১ কিলোমিটার ও কলাজুরাবাজার-সমনভাগ চা বাগান রাস্তার ২.৫০ কিলোমিটার।
৩ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সরেজমিনে উপজেলার কাঁঠালতলী আরএইচডি আজিমগঞ্জ জিসি ভায়া তেড়াকুঁড়ি রাস্তা, বড়লেখা আরএইচডি চৌমুহনী-হাকালুকি হাওর ভায়া কানুনগোবাজার জিসি রাস্তা, দাসেরবাজার বাছিরপুর আরএইচডি ভায়া কানোনগোবাজার আজিমগঞ্জ রাস্তা, বড়লেখা শাহবাজপুর রাস্তা ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তাগুলোর বিভিন্ন অংশের পিচ ও পাথর সরে গেছে। এতে রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে ছোটবড় অসংখ্য গর্তের। এতে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল ও পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে দেখা গেছে। এলজিইডি জানিয়েছে, ২০টি রাস্তার প্রায় ৪৫ কিলোমিটারের পিচ, পাথর সরে ও গর্তের সৃষ্টি হয়ে ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। রাস্তাগুলো সংস্কারের জন্য এখনও কোন বরাদ্দ মিলেনি।
উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ ভূষণ পাল জানান, বন্যা ও ভূমি ধসে উপজেলার প্রায় ৪৫ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ১০ কোটি টাকার উপরে ক্ষতি হয়েছে। প্রতিনিয়ত উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন পাঠাচ্ছেন। সময় সময় ক্ষতির পরিমান বাড়ছে। এখনও বিশেষ কোন বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। সাধারণ কিছু বরাদ্দ পাওয়া গেছে। কিন্তু এটা দিয়ে ভালভাবে রাস্তা সংস্কার করা যাচ্ছে না। রাস্তা সংস্কার করতে বিশেষ বরাদ্দের জরুরী প্রয়োজন।
মন্তব্য করুন