বড়লেখায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ
বড়লেখা প্রতিনিধি॥ বড়লেখার কামিলপুর প্রাইমারী স্কুলের সহকারী শিক্ষক প্রদীপ চন্দ্র পালের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা, স্বেচ্ছাচারিতা ও চাকুরী বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ সদস্যবৃন্দ। তার মত অদক্ষ, অযোগ্য ও বিতর্কিত শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব প্রদান করলে স্কুলের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পরিবেশ বিনষ্ট ও এলাকায় দাঙ্গা হাঙ্গামার আশংকায় বৃহস্পতিবার উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট ¯ু‹ল কমিটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, সহকারী শিক্ষক প্রদীপ চন্দ্র পাল নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছামত স্কুলে যাওয়া আসা করেন। তিনি বহিরাগতদের নিয়ে স্কুলের অভ্যন্তরীন শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকেন। স্কুল কমিটি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মৌখিক সতর্ক করা স্বত্ত্বেও তিনি সংশোধিত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে রেজুলেশনে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
১০ এপ্রিল ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রিয়াজুন নেছা বদলি হলে হরিপুর সরকারী প্রাইমারী স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রনথ রঞ্জন বৈদ্য তার স্থলাবিসিক্ত হয়ে যোগদান করতে গেলে সহকারী শিক্ষক প্রদীপ চন্দ্র পাল চরম দুর্ব্যবহার ও অশালিন আচরণ করেন। স্বপদে যোগদান টেকাতে এবং জোরপুর্বক প্রধান শিক্ষকের চার্জ ছিনিয়ে নিতে বহিরাগতদের স্কুলে ঢুকিয়ে তিনি দাঙ্গা-হাঙ্গামার চেষ্টা চালান।
স্কুলের সভাপতি জামাল উদ্দিন জানান, সহকারী শিক্ষক প্রদীপ চন্দ্র পাল স্কুলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত। সে জোর করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের চেয়ার দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। তাকে স্কুলের চার্জ দিলে পড়াশুনার পরিবেশ বিনষ্ট ও এলাকায় উত্তেজনার আশংকা রয়েছে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমরা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
সহকারী শিক্ষক প্রদীপ চন্দ্র পাল অভিযোগ মিথ্যা দাবী করে বলেন, স্কুল পরিচালনা কমিটির লোকজন তার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র করছে। তারা একসময় আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিলেন। প্রতিবাদ করায় তারা আমার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দিয়েছে।
মন্তব্য করুন