বড়লেখায় সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক ২ মামলা : গ্রেফতার ৩
আব্দুর রব॥ বড়লেখায় পলিথিন আটকের জের ধরে দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় শুক্রবার থানায় একপক্ষ পৃথক দুইটি মামলা করেছে। বিকেলে এ দুই মামলার এজাহার নামীয় ৩ আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এরা হচ্ছে- গাজিটেকা গ্রামের সুমন আহমদ (২৫), নয়ন আহমদ (২২) ও আবুল হোসেন (২৭)।২ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌরসভার গাজিটেকা এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পৌরশহরে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৭০ মণ নিষিদ্ধ পলিথিন উদ্ধার করে। এর মধ্যে মামলার প্রধান আসামি সাইদুল ইসলামের পারিবারিক মালিকানাধীন রেলওয়ে স্টেশন রোডস্থ শাহজালাল শপিং সিটি থেকেও পলিথিন উদ্ধার করে প্রশাসন। মামলার বাদী আহত শামীম আহমদের ইঙ্গিতে প্রশাসন অভিযান চালায় বলে আসামিরা সন্দেহ করে। এ আক্রোশে বৃহস্পতিবার সকালে শহরের উত্তর বাজার এলাকায় শামীম আহমদকে কুপিয়ে জখম করে রাস্তায় ফেলে যায়। এতে শামীম গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে অবস্থার অবনতি হলে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শামীম আহমদের উপর হামলার খবর পেয়ে তার ভাই যুবলীগ নেতা জসিম উদ্দিনসহ স্বজনরা ঘটনাস্থলে গেলে বেলা ১টার দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে জসিম উদ্দিনসহ উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্র জানায়, দুপুরে সংঘর্ষের সময় পরপর তিন রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে। তবে এ গুলির সত্যতা নিশ্চিত করেনি থানা পুলিশ।
সংঘর্ষের ঘটনায় আহত শামীম আহমদ ৩ জুলাই শুক্রবার বিকেলে ১৮ জনের ও আহত জসিম উদ্দিন ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে পৃথক দুইটি মামলা করেছেন। দুইটি মামলায়ই ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলামকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মামলার পর শুক্রবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।
একটি মামলার বাদী আহত যুবলীগ নেতা জসিম উদ্দিন জানান, ‘বুধবার পুলিশ পৌরশহরের শাহজালাল মার্কেটসহ বেশ কয়েক জায়গা থেকে নিষিদ্ধ পলিথিন উদ্ধার করে। এ মার্কেটের মালিক সাইদুল ইসলাম। সে কিছু লোক দিয়ে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবসা করে। সে ধারণা করে আমার ভাই শামীম এগুলো ধরিয়েছে। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে তার লোকজনসহ আমার ভাইকে সকালে কুপিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গেলে সাইদুল লোকজন নিয়ে আমাদের উপরও আক্রমণ চালায়। সাইদুল সরাসরি আমাদের উপর গুলি করে। এতে আমিসহ অনেকেই গুরুতর আহত হয়েছি।’
হামলা ও গুলির অভিযোগ অস্বীকার করে সাইদুল ইসলাম জানান, তিনি শাহজালাল মার্কেটের মালিকও নন এবং পলিথিন ব্যবসায়ীও নন। বরং জসিমের নেতৃত্বে নিরীহ মানুষের উপর হামলা করা হয়েছে।
ওসি মো. ইয়াছিনুল হক সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় দুইটি মামলা রুজুর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পৃথক দুটি মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় ৩ আসামীকে গ্রেফতার করেছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
মন্তব্য করুন