বড়লেখায় হাওরপারের পানিবন্দী মানুষের অভিযোগের অন্ত নেই মেম্বার চেয়ারম্যান শুধু ভাঙা ঘরের ছবি তুলেই নিলেন : সরকারী সাহায্য গেল কই
আবদুর রব॥ চৈত্র মাসে বোরো ধান ডুবেছে, ঝড় তুপানে ভেঙ্গেছে ঘর। এরপর বন্যায় পানিবন্দী অবস্থায় দিনে রাতে ১ বেলা খেয়ে না খেয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে দিন কাটাচ্ছি। চেয়ারম্যান-মেম্বার শুধু ভাঙা ঘরের ছবি তুলেই নিলেন। কিন্তু সাড়ে তিনমাসেও কোন সাহায্য দেননি। ক্ষোভের সাথে কথাগুলো বললেন হাকালুকি হাওরপারের বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের হাল্লা গ্রামের দুর্গত জয়নাল মিয়া। সোমবার সরেজমিনে হাওরপারের বন্যাদুর্গতের দুর্ভোগ দেখতে গেলে পানির ঢেউয়ে একাংশ ধসে পড়া মাটির ঘরের কোনে বসেই তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় পাশের ঘরের বাসিন্দা আসমাইন বেগম, কামাল মিয়া, আলেখা বেগমও অভিযোগ করেন, বন্যায় ঘর দোয়ার ডুবে গেছে। চারদিকে থৈ থৈ পানি। দেড় মাস ধরে পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। তাদের ওয়ার্ডের মেম্বার সাহিন আহমদ। বন্যায় আমরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তিনি আমাদের কোন সাহায্য দেননি। মইজ উদ্দিন জানান, শুনেছেন বন্যার খবর পেয়ে সরকারের একজন মন্ত্রী আমাদের এলাকার করুণ অবস্থা দেখে ব্যাপক ত্রাণ দিয়েছেন। আমরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র মানুষ হওয়া স্বত্ত্বেও কোন ত্রাণ পাইনি। তিনি প্রশ্ন রাখেন আমাদের ত্রাণ গেল কই।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সুত্র জানায়, হাকালুকি পারের অকাল বন্যার খবর পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদির এমপি ৮ এপ্রিল তালিমপুর ইউনিয়ন পরিদর্শন করে বোরো ধান হারানো বন্যাদুর্গত কৃষক পরিবার প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল ও নগদ ৫০০ টাকা বরাদ্দের ঘোষণা দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তালিমপুর ইউনিয়নের ৫০০ কৃষকের নামে বরাদ্দ পাওয়া যায়। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ জনপ্রতিনিধিরা প্রকৃত উপকারভোগীদের না দিয়ে তাদের আত্মীয়-স্বজন, পছন্দের সচ্ছল ব্যক্তি ও প্রবাসী পরিবারের মধ্যে ত্রাণের চাল ও নগদ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
মন্তব্য করুন