বড়লেখায় ২০ দিন পর পাহাড়ে ফিরে গেল ৭ বন্যহাতি

October 16, 2016,

কুলাউড়া অফিস: বড়লেখার নিউ সমনবাগ চা বাগানের বিভিন্ন সেকশনে ২০ দিন দাপিয়ে বেড়ানো বন্য হাতির দল পাহাড়ে ফিরে যাওয়ায় শ্রমিকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ বন্যহাতি শ্রমিক লাইন, আবাদি এলাকার ধানের ক্ষেত ও চা বাগানে বেপরোয়াভাবে অবস্থান করায় এলাকাবাসীর মধ্যে উদ্বেগ-আতংক বিরাজ করে। সমনবাগ চা বাগানের ম্যানেজার ও শ্রমিকদের সুত্রে জানা গেছে, ১৯ সেপ্টেম্বর ৭ বন্যহাতি বাগানের ৯, ১০ ও ১১ নম্বর সেকশন এলাকায় অবাধ বিচরণ শুরু করে।

barlekha-ele-1হাতিগুলো চা গাছ, ছায়াবৃক্ষ ও ধান ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করতে থাকে। হাতির ভয়ে শ্রমিকরা কয়েকটি টিলায় চা পাতা উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। চা শ্রমিকরা রাত জেগে ডাক-ঢোল পিটিয়ে মশাল ও টর্চ লাইট জ্বালিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। অনেকটা আতংক নিয়ে শ্রমিকরা মন্ডপে দূর্গাপূজা পালন করে। অবশেষে ১০ অক্টোরব থেকে বন্যহাতিগুলোকে আর চা বাগানের কোথাও দেখা যাচ্ছে না। নিউ সমনবাগ চা বাগানের হেড টিলাবাবু টিংকু দত্ত জানান, প্রায় ২০ দিন ধরে বন্য হাতিগুলো চা বাগান এলাকায় বেপরোয়া চলাচল করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে। হাতির উপদ্রবে শ্রমিকরা কাজে যেতে ভয় পায়। গত ২/৩ দিন ধরে বন্যহাতি দেখা যাচ্ছে না। ধারনা করা হচ্ছে হাতিগুলো পাহাড়ে ফিরে গেছে। এতে শ্রমিকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলী খান জানান, বন্য হাতির দল এক সময় তার বাংলোর কাছাকাছি অবস্থান করায় তিনিসহ শ্রমিকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। অবশেষে হাতিগুলো ফিরে যাওয়ায় তাদের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে। বনবিভাগ সূত্র জানায়, বিগত কয়েক বছর ধরে ৭ বন্যহাতি পাহাড়ের ভারত ও বাংলাদেশ অংশে অবাধ বিচরণ করতো। লোকালয়ে তেমন দেখা যেত না। সীমান্তে কাটাতারের বেড়া নির্মাণ করায় হাতিগুলো ভারতে প্রবেশ করতে না পারায় এবং পাহাড়ে খাদ্যাভাব দেখা দেয়ায় বিচরণস্থল কমায় তারা মাঝে মধ্যে লোকালয়ে প্রবেশ করে। তবে হাতিগুলো অত্যন্ত নিরীহ। তাদের সাথে লাগালাগি না করলে তারা সাধারনত কারো ক্ষতি করে না।

 

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com