বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দুর্ঘটনার রোগি কন্টাক্ট ছাড়া চিকিৎসা পায় না : রাজি না হলেই রেফার
আবদুর রব॥ বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কতিপয় উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার (সেকমো) দুর্ঘটনায় সামান্য কাটা ছেড়া রোগির কন্টাক্ট ছাড়া সুচ ধরেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীরা কন্টাক্টে রাজি হলেই নিয়ে যান প্রাইভেট চেম্বারে, নতুবা সেলাই ছাড়াই রেফার করেন সিলেট ওসমানীতে।
৫ জুলাই বুধবার একই কায়দা সেকমো নূর নবী পা কাটা এক রোগিকে সিলেটে রেফার করলে পরে ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের এক ভিজিটর বিনা পয়সায় তার পা সেলাই করে দেয়ায় তাকে আর সিলেট যেতে হয়নি।
সরেজমিন অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ৫ জুলাই সকালে উপজেলার দক্ষিণভাগ ইউনিয়নের পূর্ব দক্ষিণভাগ গ্রামে মোটরসাইকেল আরোহী রাসেল আহমদ (২৭) উল্টে পড়ে আহত হন। এতে তার ডান পায়ের গোড়ালি কেটে যায়। সকাল সাড়ে ৮টায় রক্তাক্ত অবস্থায় আত্মীয় মোস্তফা কামাল ও ইমন আহমদ তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার (সেকমো) নূর নবী পায়ের রগ কেটে গেছে জানিয়ে সেলাই করতে টাকা দাবী করেন। ৫শ’ টাকা দিতে রাজি হলেও তিনি সেলাইয়ে অসম্মতি জানিয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেলে রেফার করেন। আহত ভুক্তভোগী রাসেল আহমদ জানান, টাকা দিতে না পারায় জরুরী বিভাগের চিকিৎসক নূর নবী এখানে সেলাই সম্ভব নয় জানিয়ে সিলেটে রেফার করেন। পরে ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের এক ভিজিটর বিনা পয়সায় পা সেলাই করে দিয়েছেন।
ব্যবসাযী আব্দুস সহিদ মুক্তা অভিযোগ করেন তার বাড়ির কর্মচারী সুমন দাস মানবের (২০) ১১ জুন কোদালে বাম পা কেটে গেলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। জরুরী বিভাগের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার (সেকমো) নূর নবী পা সেলাই করতে ৫ হাজার টাকা দাবী করেন। লুকমান জওয়ার লাকি নামের মধ্যস্থ ব্যক্তি ৩ হাজার টাকা বললেও তিনি তাতে রাজি না হয়ে সিলেট ওসমানীতে রেফার করেন। পরে স্থানীয় ফার্মেসীর এক ফার্মাসিষ্ট পা সেলাই করে দিয়েছেন।
উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার নূর নবী রোগীর নিকট টাকা দাবীর অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, কেউ প্রমাণ দিলে যে কোন শাস্তি মাথা পেতে নেবেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আহম্মদ হোসেন জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তিনি বিষয়টি দেখবেন।
মন্তব্য করুন