বড়লেখা ও জুড়ীতে মজুরী বৃদ্ধির দাবীতে চা শ্রমিকদের কর্মবিরতি
আব্দুর রব॥ বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলার বিভিন্ন চা বাগানের চা শ্রমিকরা নূন্যতম ৩০০ টাকা মজুরী নির্ধারণ ও শ্রমিক বান্ধব মজুরী বোর্ড বাস্তবায়নের দাবীতে তিন দিনের কেন্দ্রী কর্মসূচির প্রথম দিন ৯ আগস্ট মঙ্গলবার দুই ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন।
সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত স্ব স্ব বাগানের পঞ্চায়েত কমিটি ও শ্রমিক নেতাদের উদ্যোগে সর্বস্তরের শ্রমিকরা বাগান কার্যালয় ও চা কারখানার সামনে জড়ো হয়ে এ কর্মবিরতি পালন করেছেন।
বাংলাদেশ টি বোর্ডের মালিকানাধীন বড়লেখা উপজেলার নিউ সমনবাগ চা বাগান কার্যালয়ের সামনে প্রায় ৪ হাজার শ্রমিক কর্মবিরতি পালন করেছেন। কর্মবিরতি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চা শ্রমিক নেতা নারায়ন কালোয়ার, ফজল তাতী, সীতারাম গড়াইত, মতিলাল ঘাটোয়ার, গঙ্গা সাওতাল প্রমুখ। পাথারিয়া চা বাগান কার্যালয় প্রাঙ্গণে প্রায় ২ হাজার শ্রমিক দুই ঘন্টা সমাবেশ করেছে। কর্মবিরতি ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পঞ্চায়েত সভাপতি মোহন লাল, সাধারণ সম্পাদক জয় বোনর্জি, ভ্যালি সহসভাপতি শ্রীমতি বাউরি, শ্রমিক নেতা পরেশ বাউরি, অরুনা গোয়ালা প্রমুখ।
এদিকে জুড়ী উপজেলার সোনারূপা চা বাগানের ডিভিশন পুচি চা বাগানের প্রায় ৪০০ শ্রমিক বাগানে কাজ রেখে রাস্তার পাশে বসে কর্মবিরতি পালন করছেন। সমাবেশে বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি মতি রুদ্র পাল বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ৩০০ টাকা মজুরীর জন্য আমরা আন্দোলন করে আসছি, মজুরী বোর্ড বাস্তবায়ন হচ্ছে না। মানুষ হিসেবে বেচেঁ থাকার জন্য আমাদের এ আন্দোলন। ১২০ টাকা থেকে ১৪ টাকা আমাদের হাজিরা বৃদ্ধি করার প্রস্তাব আনা হয়ে ছিল। যা দিয়ে কোন শ্রমিকের দৈনন্দিন চাহিদা মেটানো অসম্ভব।
এ চা বাগানের শ্রমিক রিনা রুদ্রপাল, স্যাম সুন্দর চৌহান, খুলশী কুর্মী বলেন, আমাদের রাস্তার বেহাল দশা, সপ্তাহে একদিন হাসপাতালে গেলে সারাদিন লাগে ডাক্তার দেখাতে, তা ও আবার সব রোগের জন্য একটি প্যারাসিটাল একটা এন্টাসিড দেয়। আমাদের বসবাসের ঘরগুলো ও অনুপযুক্ত। ১২০ টাকা মজুরীতে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ অসম্ভব ব্যাপার। তারা অবিলম্বে ৩০০ টাকা মজুরী কার্যকরের দাবী জানান।
কাপনা পাহাড় চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অজন্তী বাউরীর সভাপতিত্বে এ বাগানে কর্মবিরতীতে উপস্থিত ছিলেন জুড়ী ভ্যালী চা শ্রুমিক ইউনিয়ন সভাপতি কমল বোনার্জী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কমলা বাউরী, অর্থ সম্পাদক নীরেন বোনার্জী, ইউপি সদস্য ধীরেন বোনার্জী, সদস্য সঞ্জয় চাষা প্রমুখ।
মন্তব্য করুন