বড়লেখা থেকে দেড়কোটি টাকা হাতিয়ে লাপাত্তা মারুফ দেড়মাস পর ঢাকায় গ্রেফতার
বড়লেখা প্রতিনিধি॥ বড়লেখার কেরামতনগর চা বাগানসহ বিভিন্ন জনের নিকট থেকে অভিনব পন্থায় প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে লাপাত্তা হিসাব রক্ষক মারুফ আহমদ (৪৫) অবশেষে ঢাকায় গ্রেফতার হয়েছে।
১২ জানুয়ারী বিকেলে কর্মস্থল এলাকা থেকে সে উধাও হয়। বাগান কর্তৃপক্ষের এ সংক্রান্ত মামলায় সিআইডি পুলিশের নির্দেশে ডিএমপি’র শাহবাগ থানা পুলিশ সোমবার রাতে তাকে গ্রেফতার করেছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে শাহবাগ পুলিশ গ্রেফতার মারুফকে মৌলভীবাজার সিআইডি পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছে।
জানা গেছে, মারুফ আহমদ দীর্ঘদিন ধরে বড়লেখার কেরামতনগর ও কুমারসাইল চা বাগানের একাউন্টেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিল। চা বাগানের দু’টি ব্যাংকের পৃথক ৫ একাউন্টের চেকবই, ক্যাশবই, হিসাব-নিকাশ ছাড়াও ভুসম্পত্তির যাবতীয় কাগজপত্র তার কাছে সংরক্ষিত ছিল। গত ১২ জানুয়ারি বাগান কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে মারুফ আহমদ হঠাৎ উধাও হয়ে যায়। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।
বাগান কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে মারুফের লাপাত্তার ঘটনায় বাগানের জেনারেল ম্যানেজার মিজানুর রহমান গত ১৬ জানুয়ারি বড়লেখা থানায় জিডি করেন। পরদিন ৫টি ব্যাংক হিসাবের স্টেটমেন্ট সংগ্রহের পর ক্যাশ বইয়ের সাথে মেলাতে গিয়ে ১ কোটি ১ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনা ধরা পড়ে। এছাড়া বাগানের আরও ২০/২৫ লাখ টাকা গড়মিল থাকার বিষয় নিশ্চিত হয়ে ১৮ জানুয়ারী জেনারেল ম্যানেজার মিজানুর রহমান মারুফ আহমদকে প্রধান আসামী ও আরো দুইজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত মামলাটি সিআইডি পুলিশে স্থানান্তর করেন।
এদিকে চা বাগানে দীর্ঘদিন চাকুরীর সুবাধে মারুফ স্থানীয় বিভিন্ন পেশাজীবির সাথে সুসম্পর্ক ও বিশ্বস্ততা গড়ে তুলে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও বাগানের সমস্যার কথা বলে বিভিন্ন জনের নিকট থেকে সে আরো প্রায় কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করে। মারুফ নিখোঁজ হওয়ায় তার প্রতারণার ঘটনাগুলো ফাঁস হতে থাকে।
ডিএমপি’র শাহবাগ থানার এসআই হেলাল উদ্দিন মারুফ আহমদকে গ্রেফতারের সত্যতা স্বীকার করে জানান, মৌলভীবাজার সিআইডির নির্দেশে সোমবার রাতে তিনি তাকে গ্রেফতার করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে মারুফকে মৌলভীবাজার সিআইডি পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন