বড়লেখা পৌরশহরের প্রধান সড়কের বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ চরমে
আব্দুর রব॥ বড়লেখা পৌরশহরের প্রধান সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় বেহাল হয়ে পড়েছে। সড়কের স্থানে স্থানে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই সেসব গর্তে পানি জমে থাকে। এছাড়া ফুটপাত দখল, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং ও সড়কের ওপর নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখার কারণে এ সড়কটি সঙ্কুচিত হয়ে পড়ায় জনদুর্ভোগ আরও বেড়েছে। এসব কারণেই প্রায়ই মালবাহী ট্রাক আটকা পড়ে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। ফলে সড়ক দিয়ে চলাচলকারী লোকজন প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। র্দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কার না করায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয়রা সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
বড়লেখা পৌরসভা কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সওজের (সড়ক ও জনপথ বিভাগ) অধীনে বড়লেখা পৌরশহর (কুলাউড়া-চান্দগ্রাম আঞ্চলিক সড়ক)-এর প্রধান সড়কটি সংস্কারের অভাবে সড়কের বিভিন্নস্থানে ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। প্রায়ই বাস, মালবোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন এসব গর্তে আটকা পড়ছে। এ কারণে প্রায়ই যানজটে পড়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন চলাচলকারী লোকজন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌরশহরের আদালত এলাকা, উপজেলা চত্বর, হাসপাতাল, পাখিয়ালা চৌমুহনী, লাইটেস স্ট্যান্ড, দক্ষিণবাজার, মধ্যবাজার, উত্তর চৌমুহনী রেলক্রসিং এলাকা থেকে গাজিটেকা যাত্রীছাউনি পর্যন্ত সড়কের অন্তত ১০-১২টি স্থানে খানাখন্দ ও ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তগুলোয় বৃষ্টির পানি জমে আছে। গর্তের কারণে সড়কে যানবাহন চলছে ধীরগতিতে।
ব্যাংক কর্মকর্তা কামরুজ্জামান রাসেল বলেন, ‘গর্তের কারণে সড়কটি দিয়ে রিকশায় যাতায়াত করতে কষ্ট হয়। আবার কাদাপানিতে হেঁটে চলতে গিয়ে পোশাক নষ্ট হয়ে যায়। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।’
স্থানীয় ব্যবসায়ী জুনায়েদ রায়হান রিপন, আবুল হোসেন, কামরুল ইসলাম, জয়নুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কার না করায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণবাজার থেকে আখড়া পর্যন্ত (আদিত্যের মহাল) সড়কটির খারাপ অবস্থা। এজন্য প্রায়ই যানজট লেগে থাকে। এতে দুর্ভোগ আরও বাড়ছে। রাস্তায় গর্তের কারণে উত্তর চৌমুহনী থেকে চান্দগ্রামের দিকে অনেক গাড়ি চালক যেতে চান না। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দ্রুত সংস্কার করলে দুর্ভোগ কিছুটা কমবে।’
সিএনজি চালিত অটোরিকশা উস্তার আলী জানান, ‘এ রাস্তায় ছোট গাড়ি চালিয়ে নেওয়া খুব কষ্ট। প্রায়ই মালবাহী গাড়ি আটকা পড়ে যানজট লাগে। দুইদিন আগে চালভর্তি একটি ট্রাক গর্তে আটকা পড়ে যানজট লেগেছিল। এরপরও কেউ সড়ক সংস্কারের ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’
বড়লেখা পৌরসভার মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী বলেন, ‘সংস্কার না করায় সড়কটি বেহাল হয়ে পড়েছে। তবে সড়কটি পৌরসভার অধীনে নয়। তারপুরও পৌরসভার পক্ষ থেকে কিছু গর্ত ভরাট করা হয়েছে। এটি সওজের (সড়ক ও জনপথ বিভাগ) অধীনে। তাই সড়কটি সংস্কারের দায়িত্ব সওজের।’
সওজ মৌলভীবাজার কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মিন্টু রঞ্জন দেবনাথ বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চাহিদা দেয়া হয়েছে। বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে স্থায়ীভাবে সংস্কার কাজ করা হবে। বর্তমানে বিভাগীয়ভাবে মেরামতের মাধ্যমে খানাখন্দে ও গর্তে ইট ও বালু ফেলে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
মন্তব্য করুন