বড়লেখা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্হিবিভাগে চিকিৎসক নেই : রোগীদের চরম দুর্ভোগ
আবদুর রব॥ বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল সোয়া এগারোটা পর্যন্ত বর্হিবিভাগে মেডিকেল অফিসার না থাকায় রোগিরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। টিকেট নিয়ে দেড়-দুই ঘন্টা অপেক্ষা করেও চিকিৎসকের দেখা না পাওয়ায় রোগি ও তাদের স্বজনদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পরে বর্হিবিভাগে একজন ডেন্টাল টেকনোলজিষ্টকে বসানো হয়। তবে এর আগেই অনেকে চিকিৎসা না নিয়েই ফিরে যান। নিয়ম অনুযায়ী সকাল আটটা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত জরুরী, আন্ত ও বর্হিবিভাগে চিকিৎসক থাকার কথা রয়েছে।
সরেজমিনে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সকাল ন’টা থেকে রোগি আসতে দেখা যায়। রোগিরা ডাক্তার দেখানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কাউন্টার থেকে টিকেট নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন। সকাল এগারোটা পর্যন্ত বর্হিবিভাগের বারান্দায় ৫০-৬০ জন রোগির ভিড় জমে। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরও কোন মেডিকেল অফিসার না আসায় রোগি ও তাদের স্বজনদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তারা বিভিন্ন জনকে ফোনে চিকিৎসক না পাওয়ার বিষয়টি অবহিত করতে থাকেন। কাঠালতলী এলাকার মুজিবুর রহমান জানান, শিশু বয়সি ভাতিজার ডায়রিয়া দেখা দিলে সকাল নয়টায় হাসপাতালে যান। টিকেট সংগ্রহ করে সোয়া দুই ঘন্টা অপেক্ষা করেও ডাক্তার না পেয়ে তিনি ফিরে যান।
টিকেট সংগ্রহ করে বর্হিবিভাগে অপেক্ষমান রোগি আব্দুল কাদির, সাইদুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, আজিজুন নেছা, খলিল মিয়া, সেলিম আহমদ, জোসনা বেগম, চায়না আক্তার প্রমূখ অভিযোগ করেন সকাল সাড়ে আটটায় নানা অসুখ নিয়ে তারা হাসপাতালে আসেন। কোন চিকিৎসক না পাওয়ায় তারা চরম দুর্ভোগ পোহান। ডাক্তার না থাকায় অনেকেই ফিরে গেছেন। অবশেষে সকাল এগারোটা বিশ মিনিটের সময় একজন ডাক্তার চেম্বারে বসলে তারা তাকে দেখিয়ে ব্যবস্থাপত্র নিয়েছেন।
পৌরসভার কাউন্সিলার জেহিন সিদ্দিকী জানান, রোগিদের ফোন পেয়ে সকাল সোয়া এগারোটায় হাসপাতালে গিয়ে তিনি রোগির প্রচুর ভিড় ও উত্তেজনা লক্ষ্য করেন। অনেককে তিনি বুঝিয়ে-সুজিয়ে শান্ত রাখেন।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সঞ্জয় সিংহ জানান, ইউএইচএফপিও (উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা) টেনিংয়ে, আরএমও এবং মেডিকেল অফিসার ছুটিতে থাকায় কিছুটা সমস্যা হয়েছে। সকাল সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত বর্হিবিভাগে মেডিকেল অফিসার না থাকার সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, এরপর ডেন্টাল টেকনোলজিষ্ট পার্থ সারতি পালকে দিয়ে বর্হিবিভাগ চালিয়ে নেয়া হয়। বারটার পর সবকিছু স্বাভাবিক ছিল।
মন্তব্য করুন