ভারতের কৈলাশহরে বই মেলায় দুই বাংলার কবি সাহিত্যিক ও লেখকদের মিলন মেলা
বিকুল চক্রবর্তী: কৈলাশহর ত্রিপুরা, ভারত থেকে॥ মৌলভীবাজার সীমান্তের ওপারে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কৈলাশহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৬তম বই মেলা ও বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী কবিতা উৎসব ২০২৪।
কৈলাসহর ভগনী নিবেদিতা উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এ বই মেলার উদ্বোধন করেন ত্রিপুরার সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়।
কৈলাসহর পুর পরিষদের চেয়ারম্যান শ্রীমতি চপলা রায়ের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৈলাশহরের এসডিএম প্রদীপ সরকার, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি সাংবাদিক তবারক হোসেন, বিশ^ কবিমঞ্চ বাংলাদেশের সভাপতি কবি পুলক কান্তি ধর, কবি শাস্বত্বি দাশ, সাংবাদিক ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক বিকুল চক্রবর্তী, কবি ফৈরদৌসি আক্তার বিউটি ও সাংবাদিক সঞ্জয় কুমার দে। সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশনেন দুই বাংলার কবি সাহিত্যিক, লেখক ও সংস্কৃতিকর্মীরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন ঊনকোটি জেলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস, ঊনকোটি জেলার জেলাশাসক দিলীপ কুমার চাকমা, অতিরিক্ত মহকুমা শাসক নব কুমার জমাতিয়া, ঊনকোটি জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি শ্যামল দাস, জেলা শিক্ষা আধিকারিক প্রশান্ত কিলিকদার, জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি কার্যালয়ের সহ-অধিকর্তা বিশ্বজীৎ দেবসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা।
অনুষ্ঠানে সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন, শিক্ষা উন্নত সমাজ গড়ার কাঠামো এবং সংস্কৃতির মেলবন্ধনের অন্যতম অংশ। সেই সুবাদেই কৈলাসহরের মাটিতে দীর্ঘ বছর ধরে যে বারিধারা প্রবাহিত হচ্ছে, তা শিক্ষা ও সংস্কৃতির একতার ছন্দ। শিক্ষা ও প্রকাশনা শিল্প পরস্পরের সহযোগী। মেধা-জ্ঞান ও চেতনা-মানবতাবোধে পরিপূরক। আধুনিক বিশ্বে সুশিক্ষিত ও সৃজনশীল জাতিকে উন্নয়নের ধারক এবং বাহক করার উদ্দেশ্যে এই বই মেলার আয়োজন। আয়োজকদের ভবিষতেও এই বই মেলা ধরে রাখার আহবান জানান মন্ত্রী।
এই বই মেলাটি শুধু ক্রেতা-বিক্রেতা-পাঠকেরই সমাগম নয়, বরং মেলা পরিণত হয় দুই বাংলার লেখক-প্রকাশক-পাঠক, দর্শকসহ বয়স-শ্রেণি নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষের মিলন মেলায়। কৈলাসহরবাসীর প্রাণের এ বই মেলায় প্রায় অর্ধশতাধিক স্টল স্থান পায়।
মন্তব্য করুন