ভারত পলায়ন কালে বড়লেখায় আ’লীগ নেতা আলম হত্যাকারী কাজল গ্রেফতার :জানাজায় শোকার্ত মানুষের ঢল

October 1, 2016,

বড়লেখা প্রতিনিধি॥ বড়লেখার উত্তর শাহবাজপুর ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা আবুল হোসেন আলমের হত্যাকারী সন্ত্রাসী কাজল ভারত পলায়নকালে আটক হয়েছে।
৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভোরে সোনাই নদী দিয়ে সীমান্ত অতিক্রমকালে স্থানীয় জেলেরা তাকে আটক করে। এসময় বিজিবি’র নয়াগ্রাম বিওপি’র টহল দল উপস্থিত হলে জেলেরা কাজলকে তাদের হাতে তোলে দেয়। দুপুরে বিজিবি ঘাতক কাজলকে বড়লেখা থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছে। কাজল উপজেলার সায়পুর গ্রামের মৃত মনু মিয়ার ছেলে। হত্যার ঘটনায় নিহত আলমের বাবা খলিলুর রহমান সন্ত্রাসী কাজলকে প্রধান এবং আরো কয়েক জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় মামলা করেছেন। আ’লীগ নেতা আবুল হোসেন আলমের হত্যাকারী সন্ত্রাসী কাজলের ফাঁসি ও পর্দার আড়ালের হোতাদের দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেফতারের দাবীতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা আবুল হোসেন আলম বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে এগারোটায় লাতু বিজিবি ক্যাম্পের কাছে স্থানীয় সন্ত্রাসী কাজল মিয়ার ধারালো দায়ের কুপে খুন হন। নিহত আলমের সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে ঘাতক কাজলের দোকান ও বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।
শুক্রবার ভোরে আলম হত্যাকারী কাজল মিয়া সোনাই নদী দিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিল। এসময় কয়েকজন জেলে তাকে ছিনতে পেরে আটক করেন। বিজিবি’র স্থানীয় নয়াগ্রাম বিওপির টহল দল এগিয়ে আসলে জেলেরা কাজলকে তাদের নিকট সোপর্দ করে। খবর পেয়ে বড়লেখা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বিজিবি তাকে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে।
এদিকে এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে শাহবাজপুর বাজার শুক্রবার বিকেল তিনটা পর্যন্ত বন্ধ ছিল। ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ কালো ব্যাজ ধারণ করেন। সকাল ১১টার দিকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল থেকে লাশ বাড়ি নিয়ে আসা হলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। সোয়া দুইটায় স্থানীয় মাঠে তাঁর নামাজে জানাজায় হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
জানাজার পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় নৃশংস এই হত্যাকান্ডের আড়ালে কোন পরিকল্পনাকারী থাকলে তাকেও আইনের আওতায় আনা ও হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে ঢাকা থেকে মুঠোফোনে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ শাহাব উদ্দিন এমপি। অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সুন্দর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডা. ফয়েজ উদ্দিন, আওয়মী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার উদ্দিন, সদর ইউপি চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আহমদ জুবায়ের লিটন প্রমুখ।
বড়লেখা থানার ওসি মোহাম্মদ সহিদুর রহমান আবুল হোসেন আলমের হত্যাকারী কাজল মিয়াকে গ্রেফতারের সত্যতা স্বীকার করেন।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com