(ভিডিওসহ) শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ আসন থেকে অধ্যাপক রফিকুর রহমান মনোনয়ন প্রত্যাশী
স্টাফ রিপোর্টার॥ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-৪ আসনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, বর্তমান কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক মোঃ রফিকুর রহমান। তিনি ১৮ সেপ্টেম্বর দূপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে মৌলভীবাজার-৪ আসনে প্রার্থী হওয়ার মত প্রকাশ করেন।
মতবিনিময় সভায় অধ্যাপক রফিকুর রহমান সহ বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট এস.এম আজাদুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও কমলগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সিদ্দেক আলী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ইকবাল হোসেন চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুলেমান মিয়া, রহিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জুনেল আহমদ তরফদার, কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আনোয়ার পারভেজ আলাল, কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাকের আলম সজিব, ব্যবসায়ী শাহেদ উদ্দিন, কমলগঞ্জ উপজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ হেলাল মিয়া সহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বক্তারা বলেন আগামী সংসদ নির্বাচনে কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল নির্বাচনী এলাকায় তারা পরিবর্তন চান। এ আসন থেকে অধ্যাপক রফিকুর রহমানকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে জোর দাবী জানান।
উপক্রমণিকাঃ অধ্যপক রফিকুর রহমান ১৯৫২ সালে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা হাজী মো. তারা মিয়া ও মাতা জমিলা খাতুন। তিনি পিতা-মাতার ২য় সন্তান। বিবাহিত জীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক। তাঁর মেয়ে তানিয়া রহমান গ্রাজুয়েশন শেষ করার পর বিয়ে হয় এবং ছেলে বারিষ্টার তানজীবুর রহমান নিকন বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন।
শিক্ষাজীবনঃ অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান মেট্রিকুলেশেনের পর সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মদনমোহন কলেজে ভর্তি হন। সেখানে পড়াকালীন তিনি আওয়ামীলীগের ছাত্ররাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। যদিও, আওয়ামীলীগের আদর্শ তিনি তাঁর পারিবারিক সুত্রেই মগজে প্রোথিত ছিলো। পরে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.কম পাস কওে পোস্ট গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। এরপর কমলগঞ্জ গণ মহাবিদ্যালয়ে অধ্যাপনার সুত্রপাত।
রাজনৈতিক জীবনঃ একনজরে ১৯৬৬ – ২০১৮ইং
বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে প্রবেশ ঘটে ১৯৬৬ সালে মদমোহন কলেজে পড়াকালীন ছাত্রলীগের রাজনীতির হাত ধরে। তখন তিনি সিলেট মদনমোহন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এভাবেই তিনি বর্তমানে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে উঠে আসেন।
১৯৬৬ সালে ঐতিহাসিক ছয়দফা আন্দোলনে নিজেকে জড়িত রাখেন। ছয়দফার দাবীতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেন ও সিলেটে তিনি ছিলেন আন্দোলনের অন্যতম নের্তৃত্বদানকারী।
১৯৬৯ সালের গনঅভ্যুত্থানে যখন সারাদেশ জাগরণের ঢেউয়ে কাঁপছে, ছাত্র -জনতা যখন নিজেদের অধিকার আদায়ে মাঠে নেমেছে, ঠিক তখনি তিনি সিলেটে ৬৯’ এর আন্দোলনের সুচনা করেন। তাঁর নের্তৃত্বে সিলেটে ছয়দফা আন্দোলন সংঘটিত হয়।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে তিনি একাধারে সিলেটে ও নিজের এলাকা কমলগঞ্জে কাজ করেন। মৌলভীবাজার – ৪ আসনের জনপ্রিয় নেতা মরহুম মো. ইলিয়াসে’র হয়ে নির্বাচনে প্রচার কাজ করেন এবং নৌকা মার্কা বিজয় লাভ করে।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযোদ্ধে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। তিনি মহান মুক্তিযোদ্ধে ইকো – ৪ এর অধীনে বেঙ্গল লিবারেশন ফ্রন্ট (বিএলএফ) এ সক্রিয় থেকে বর্তমান জুড়ি উপজেলার চুঙ্গাবাড়ি ক্যাম্পে অবস্থান করে মুক্তিযোদ্ধে দুর্ধর্ষ গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে সরাসরি যুদ্ধে অবতীর্ণ হন।
১৯৭২ সালে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময় অথ্যাৎ বঙ্গবন্ধুর দেশ পুর্নগঠনের কাজে নিজের এলাকায় আত্মনিয়োগ করেন। এরপর তিনি ঐ বছরই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখানে ভর্তি হয়ে শাহজালাল হলের ভিপি পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন কিন্তু ছাত্রলীগ ঐ নির্বাচন বয়কট করে। বয়কট করার কারন ছিলো ছাত্রলীগের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন ভিসি আবুল ফজল সাহেবের অনীহা।
এরপর ছাত্র থাকাবস্থায়ই মরহুম মো. ইলিয়াস সাহেবের নের্তৃত্বে কমলগঞ্জে কলেজ প্রতিষ্টার কার্যক্রমে সরাসরি অংশগ্রহণ করি।
১৯৭৫ সাল বাঙালি জাতির জন্য এক দুঃখের স্মৃতিবহ বছর। মহান স্বাধীনতার ঘোষক, হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয় আর সেই সাথে অকাল মৃত্যু ঘটে সারা বাংলার আনাচে – কানাচে থাকা তাঁর মতো অসঙ্খ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের পথে হেঁটে চলা তরুনদের। ১৫ আগষ্টের এই হৃদয়বিদারক হত্যাযজ্ঞের পর দীর্ঘদিন তিনি আত্মগোপনে থাকেন।
১৯৭৭কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন এবং পুনরায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযোদ্ধেও চেতনা বিকাশে পুরো উপজেলায় কাজ করে যান।
১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধু তনয়া বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর আবারো সারা বাংলাদেশে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দেয়। প্রিয় নেত্রীকে কাছে পেয়ে, আত্মবিশ্বাস নিয়ে তিনি নেমে পড়েন তৎকালীন স্বৈরাচার বিরোধি আন্দোলনে।
১৯৯০ যেহেতু ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ অংশগ্রহণ করেনি। ১৯৯০ সালে আওয়ামীলীগ নির্বাচন করলে, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই।
১৯৯৬ সালে মৌলভীবাজার জেলা কৃষক লীগের সভাপতি নির্বাচিত হই, একই সাথে বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদ লাভ করি।
২০০৪ সালেকমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই।
২০০৭ সালে ১/১১ এর সেনাশাসনের সময় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে কমলগঞ্জের শমসেরনগরে ছাত্র – জনতা প্রতিবাদ মিছিল করে। সে সময় প্রশাসন তাকে গ্রেফতার করে ছাত্র – জনতাকে উসকে দেওয়ার অভিযোগে। লম্বা কারাভোগের পর তিনি জামিনে মুক্তি লাভ করেন।
২০০৮ নৌকা মার্কার প্রাথী বর্তমান সাংসদ উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদের পক্ষে কাজ করেন এবং নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করেন।
২০০৯ সালে মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সদস্যপদ লাভ করেন।
২০১৪ পুনরায় বিপুল জনসমর্থন নিয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হন।
২০১৬ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যপদ লাভ করেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রার্থী হবার কারন ঃ– মুলত এলাকার জনগণের খেদমত ও বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়ন সুষমভাবে প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছানো, সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠার সুপ্ত মানস ও উদ্দেশ্যে নিজেকে আত্মনিয়োগের প্রয়াস হিসেবে স্থানীয় সংদস্যেও মনোনয়ন প্রার্থী। এলাকার দুঃখী, দরিদ্র, প্রান্তিক শ্রেণী তথা সকল মানুষের প্রকৃত কল্যানের জন্য ক্ষমতা প্রয়োজন। ক্ষমতা ব্যাতীত ইচ্ছা থাকা সত্বেও পরিপুর্ণ জনকল্যান কার্যসম্পন্ন করা সম্ভব হয়ে উঠে না। তবে ক্ষমতাপ্রাপ্তি মানে এই নয় যে, ধীরে ধীরে একে কর্তৃত্বতে রুপান্তরিত করা। ক্ষমতা যখন কর্তৃত্বতে রুপান্তরিত হয় তখনই জনপ্রিয়তায় ধস নামে।
দলীয় সম্পর্ক ঃ– সকল স্তরের নেতা-কর্মী- শুভাকাঙ্খীদের সাথে রয়েছে অটুট বন্ধন। এলাকার জনগণ ও নেতা – কর্মীদের অভূতপুর্ব সমর্থনেই সিক্ত তিনি।
স্থানীয় সাংগঠনিক অবস্থাঃ কমলগঞ্জে আওয়ামীলীগে নেই কোন অন্তঃকোন্দল বা দ্বন্দ। অনেকে এ বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেন কিন্তু মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ একটি প্রকৃত গনতন্ত্রমুখী দল। এ দলের সর্বপর্যায়ে গণতন্ত্রকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। মনোনয়ন প্রতিযোগিতায় একাধিক প্রার্থীর নাম চলে আসায় কোন্দল নয় বরং গনতন্ত্রেও প্রকৃত রুপ ফুটে উঠেছে। মনোনয়ন চাওয়া যে কারো অধিকার, এতে পার্টি ফান্ডও বেশ উপকৃত হয়। পাশাপাশি সবচাইতে বেশী উপকৃত হচ্ছেন জনগণ। মনোনয়ন প্রার্থীরা আওয়ামীলীগ সরকারের সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছানোর লক্ষ্যে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। ফলে, এ প্রতিযোগিতায় নেতিবাচক কিছুই নেই বরং রয়েছে ইতিবাচক দিক। তিনি আশা প্রকাশ করেন সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে, দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন প্রদান করবেন তাঁর পক্ষেই দলে সর্বশ্রেণীর নেতা-কর্মীরা নির্বাচনে কাজ করে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করবেন। স্থানীয় সাংগঠনিক অবস্থা মজবুত রয়েছে। জনসমর্থন রয়েছে প্রচুর। যদি মনোনয়নের মাধ্যমে ক্ষমতাপ্রাপ্তি ঘটে তাহলে তার প্রধান উদ্দেশ্য হলো স্থায়ী দলীয় কার্যালয় নির্মাণ। যেখানে নেতা – কর্মীরা রাজনৈতিক আলাপচারিতায় মেতে থাকবে।
শ্রীমঙ্গলে উপজেলায় বিচরণ ঃ শ্রীমঙ্গলের বিদগ্ধ রাজনীতিবিদদের সাথে রয়েছে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ। নেতা – কর্মীরাও সবসময় যোগাযোগ রাখছেন। চা বাগানের শ্রমিক নেতারা অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে ইতোমধ্যে চা শ্রমিকদের মধ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা পৌঁছে দিচ্ছেন। শ্রীমঙ্গলের জনগণ অত্যন্ত সচেতন ও নৌকাবান্ধব। বস্তুতঃ পুরো আসনের জনগনই নৌকার বিশ্বস্থ আপনজন।
তথ্য ও প্রচার ঃ দলীয় নেতা-কর্মী ছাড়াও, জেলার টেলিভিশন ও প্রিন্ট মিডিয়ার সকল সাংবাদিকবৃন্দ অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে সঠিক ও নিরপেক্ষ সংবাদ প্রকাশ করছেন, কোথাও ভুল – ভ্রান্তি হলে তা প্রকাশ করছেন, উন্নয়নমুলক সংবাদ, সমস্যা – সম্ভাবনার সংবাদ প্রচার করে তারা দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখছেন। এছাড়াও, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নিবদ্ধিত সমর্থক, স্বেচ্ছাসেবক ও অনলাইন একটিভিস্টরা প্রতিনিয়ত সরকারের উন্নয়নকর্ম প্রচার করছেন।
মনোনয়ন প্রার্থী হিসেবে যা করছেন ঃ
প্রথমত ঃ– আওয়ামীলীগ সরকারের বিগত ১০ বছওে সারাদেশ ব্যাপী উন্নয়নের চিত্র দুই উপজেলার গ্রামে -গঞ্জের মানুষের নিকট তুলে ধরার প্রয়াস গঠন যাতে মানুষ জানতে পারে বঙ্গবন্ধু তনয়ার নের্তৃত্বে বর্তমান সরকার দেশকে কিভাবে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গিয়েছেন।
দ্বিতীয়ত ঃ– ত্যাগী ও প্রবীন নেতা কর্মীর সাথে যোগসুত্র স্থাপন এবং নারী ও তরুন ভোটারদের সাথে বিশেষ সংযোগরক্ষা কারন তরুনরাই জাতির কর্ণধার। আর তাঁর পাশেই রয়েছে তরুন ছাত্র – ছাত্রীরা। এক্ষেত্রে একটি বাস্তবতা হলো, ৩৭ বছর শিক্ষকতা পেশার দরুন বর্তমানে অনেক নতুন ভোটারের অভিভাবকরা সরাসরি তাঁর ছাত্র। ফলে, তরুনদের সাথে তাঁর সখ্যতা অত্যন্ত বেশী এছাড়া, মিষ্টভাষী ও সুস্থ্য এবং ন্যায়পরায়ন রাজনীতি চর্চার কারনে নারী ও তরুনদের নিকট তিনি খুবই জনপ্রিয়।
তৃতীয়ত ঃ-একসময় রাজনীতিতে সহিংসতা ছিলো। এখন আর সেরকম নয়। বর্তমান প্রজন্ম অত্যন্ত বিচক্ষণ ও সচেতন। আর বর্তমানে রাজনীতির স্বরুপ অত্যন্ত ইতিবাচক ও সুস্থ্যধারার রাজনীতির পরিবেশ তৈরী হয়েছে। ফলে, বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া, পাশকৃত শিক্ষিত, মার্জিত, আইসিটিতে পারদর্শী তরুন – তরুনীদের রাজনীতিতে প্রাধান্য দেওয়ার বিকল্প নেই। তাই, একটি সুখী, সমুদ্ধ সোনার বাংলার বাস্তব রুপদানের লক্ষ্যে দলের ত্যাগী নেতা – কর্মীদের পরামর্শ এবং তরুনদের প্রেরণার উপর ভর করেই এগিয়ে যাওয়া।
চতুর্থত ঃ– সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব উপস্থিতি জনগণের সাথে সম্পর্ক ও সংযোগ স্থাপনের অন্যতম মাধ্যম। ডিজিটাল বাংলাদেশে প্রচার -প্রচারণার অন্যতম বাহন সামজিক যোগাযোগমাধ্যম।
পঞ্চমত ঃ– এলাকার নৃগোষ্টি, সংখ্যালঘূ সম্প্রদায়, চা শ্রমিক সম্প্রদায়ের সাথে হার্দিক সম্পর্ক ও তাদের সমস্যা এবং সুখে, দুঃখে উপস্থিতি ও সমস্যা থেকে উত্তরণের ব্যবস্থা গ্রহণ।
ষষ্ঠত ঃ– বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযোদ্ধের চেতনা বিকাশে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ।
সপ্তমত ঃ– মুক্তিযোদ্ধাদের যেকোন সমস্যায় নিজের তাৎক্ষনিক উপস্থিতি।
অষ্টমত ঃ– উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থাকার সুবাদে এলাকার বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসাসহ যেকোন দুঃস্থ, অসহায়, গরীবদের সরকারী অনুদান বিতরণ।
অপছন্দনীয় ঃ–
আমিত্ববাদ ও আত্মপ্রচারে তাঁর রয়েছে প্রবল আপত্তি। তিনি দলের প্রচারে নিবেদিত পাশাপাশি জনগণের নিকট রয়েছে নৌকা মার্কাও সমর্থনে রয়েছেন মাঠে। প্রতিনিয়ত চলছে মতবিনিময়। এছাড়া, নিজ স্বার্থসিদ্ধির জন্য বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনকে দ্বিধাবিভক্ত, পারিবারিক বলয়ে পদ পদবী ও অনৈতিক সুবিধা প্রদান, সরকারের টাকার অনৈতিক ব্যবহার, অবৈধ উপার্জনের উদ্দেশ্যে প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্যের সর্বনাশ সাধন, সিন্ডিকেট তৈরী করে অবৈধ ও অনৈতিক উপার্জন ইত্যাদিতে তাঁর অবস্থান শুণ্যসহনশীলতায়।
পরিশেষে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ১০ টি জনকল্যানমুখী উদ্যোগের বাস্তবায়নের নিরলসভাবে আমৃত্যু কাজ করে যাওয়ার সংকল্প তাঁর। প্রধানমন্ত্রীর ডেল্টা প্লান (১০০ বছর পরবর্তী বাংলাদেশ যেমন হবে) বাস্তবায়নে নিজের অবস্থান থেকে সম্যক সহযোগিতা। ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ গঠনে দীর্ঘমেয়াদী প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। ডেল্টা প্লান বা ব-দ্বীপ পরিকল্পনা – ২১০০ অনুমোদন হওয়ায় শত বছরব্যাপী এ পরিকল্পনার মাধ্যমে বন্যা, নদীভাঙ্গন, নদীশাসন, নগর বন্যা নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি দীর্ঘমেয়াদী কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। যেগুলোর বাস্তবায়ন শুরু হলে, নদী তীরবর্তী মৌলভীবাজার শহরবাসী, কমলগঞ্জ উপজেলাবাসীসহ সারাদেশের উপকুল ও নদীবর্তী অঞ্চলের স্থায়ী সমস্যার সমাধান হবে। মুলত প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহ, ইচ্ছা ও নির্দেশে দীর্ঘমেয়াদী প্রযুক্তিগত, কারিগরী ও আর্থসামাজিক দলিল এই পরিকল্পনা। এছাড়া, স্থানীয়ভাবে চা শ্রমিকদেও জীবনমান উন্নয়ন, পর্যটন শহর শ্রীমঙ্গলকে একটি অত্যাধুনিক মানসম্পন্ন আধুনিক শহর বিনিমার্ণের প্রত্যাশা করেন তিনি। অথ্যাৎ, শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলা ডিজিটাল সুবিধাসম্পন্ন একটি উদীয়মান অর্থনৈতিক হাবে রুপান্তরকল্পে কাজ করার অব্যক্ত ইচ্ছা রয়েছে এই বর্নাঢ্য রাজনীতিবিদের।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু! সোনার বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডিজিটাল বাংলাদেশের জয় হোক।
মন্তব্য করুন