(ভিডিওসহ) জাতীয় পার্টির একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩শ আসনে প্রার্থী থাকবে

August 30, 2018,

আশরাফ আলী॥ জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, আর মাত্র চার মাস বাকী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের। জাতীয় পার্টি নির্বাচনমুখী দল। ক্ষমতায় যেতে হলে একমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমে যেতে হবে। এরশাদ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নির্বাচন করবেন এবং জাতীয় পার্টির ৩শ আসনে প্রার্থী থাকবে।
তিনি আরো বলেন আমরা এইবার প্রথম নির্বাচন করছি তা নয়। এরশাদ সাব যখন জেলে ছিলেন, আজকে কোন একটা দলের প্রধান যিনি জেলে আছেন, তারা নির্বাচন করবে কি করবে কিনা জানিনা। কিন্তু আমাদের পার্টির প্রধান যখন জেলে ছিলেন তিনি সিদ্ধান্ত নিতে এক মুহূর্ত দেরী করেননি।
বৃহস্পতিবার ৩০ আগস্ট বিকেলে মৌলভীবাজারে পৌর মিলনায়তনে জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য এই কথা গুলো বলেন। জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সৈয়দ সাহাবউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ.বি.এম রুহুল কবির হাওলাদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমদ বাবলু, মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, ইয়াহইয়া চৌধুরী এমপি, সুনিল শুভ রায়, এসএম ফয়সল চিশতি প্রমুখ। এছাড়াও জেলা ও উপজেলার নেতা-কর্মীরা বক্তব্য রাখেন।
মন্ত্রী আরোও বলেন, ক্ষমতা পরিবর্তনের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচনের মাধ্যমেই আবার জাতীয়পার্টিকে ক্ষমতায় আনতে হবে। এর জন্য যা প্রয়োজন তা জাতীয় পার্টিও করবে। হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ এর চলাফেরা একেবারে সাধারণ মানুষের মত উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তার মত ব্যাক্তির ঢাকায় একটি বাড়ি নাই”। “যিনি একটি ফ্লাটে থাকেন এই হচ্ছে এরশাদ”।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ.বি.এম রুহুল কবির হাওলাদার বলেন, এরশাদ মামলা-হামলা অতিক্রম করেই দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ত্রিনমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের উদ্যেশ্য করে বলেন, আগামী নির্বাচনে মৌলভীবাজারে জাতীয় পার্টিকে আপনারা বিজয়ী করবেন।
তিনি পার্টির চেয়ারম্যান’র বরাত দিয়ে বলেন, “তোমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হও যাতে আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি সরকার গঠন করে মৌলভীবাজারবাসীর মুখে হাসি ফুটাতে পারে”।
মহাসচিব আরো বলেন, মামলা-হামলা এরশাদ এর আমলে ছিলনা। মামলা-হামলায় পড়ে তার (এরশাদ) ২৭টি বছর চলে গেছে। এছাড়াও তিনি দলের নেতা-কমীদের ঘুরে দাড়িয়ে দলকে বিজয়ী করে হত্যা-সন্ত্রাস বন্ধ করার আহবান জানান। তিনি সম্মেলনে নতুন কমিটি দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করা হবে উল্যেখ করে বলেন, আপনাদের পরামর্শের ভিত্তিতে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন কমিটি ঘোষনা করা হবে।
পরে নেতা-কর্মীরা বর্তমান সভাপতি শাহাবউদ্দিন আহমদকে মানি না মানবোনা বলে হট্টগোল শুরু করেন। এসময় শামিম ভাই-কামাল ভাই (সভাপতি পদে দেখতে চাই) বলে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে চিৎকার করেন অনুষ্ঠানস্থলের নেতা-কর্মীরা।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com