(ভিডিওসহ) জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা অমান্যের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার॥ মহামান্য হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে।
১৫ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগে করেন মৌলভীবাজার শহরের দরগা মহল্লার বাসিন্দা রিনা বেগম, আলিম মিয়া, জিলা মিয়া ও মারুফ আহমদ।
লিখিত বক্তব্যে তারা জানান মৌলভীবাজার শহরের দরগামহল্লার মৃতঃ আবলুছ মিয়ার স্ত্রী রীনা বেগম এবং পুত্র মোঃ আলীম মিয়া, মোঃ জিলা মিয়া ও মোঃ মারুফ মিয়া মৌলভীবাজার সরকারী মহিলা কলেজ সংলগ্ন সাবেক সিলেট জেলা, বর্তমান মৌলভীবাজার জেলাধীন চোয়াল্লিশ পরগণাস্থ কেডেষ্টেল জরিপী নকসকর কিত্তে বড়বাড়ীর তালাব মৌজার অন্তর্গত কেডেষ্টেল জরিপী ৪০৫নং সিটভূক্ত কেডেষ্টেল জরিপী ২০নং দাগ, এসএ জরিপী মৌলভীবাজার মিউনিসিপ্যালিটি মৌজাধীন ১০৬নং জেএলস্থিত ১নং এসএ খতিয়ান ও ১নং আরএস খতিয়ানভূক্ত ৪৮৮৪নং এসএ ও ৭৫৩নং আরএস দাগে ১৫ শতক ভূমি তাদের মৌরসী স্বত্ত্ব ঘোষিত হবার ও পরবর্তীতে উক্ত ভূমি থেকে প্রতিপক্ষগণের অবৈধ দখল রহিতে খাসদখল পাবার এবং মামলা নিষ্পত্তি কালতক উক্ত ভূমির কোনপ্রকার রুপান্তরমূলক কোন কার্যাদি বা উক্ত ভূমিতে স্থায়ী/অস্থায়ী কোন কাচা পাকা গৃহাদি বা বিল্ডিং নির্মান বা উক্ত ভূমি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বরাবরে বন্দোবস্তো প্রদান না করার মর্মে মৌলভীবাজারের ১ম যুগ্ন জেলা জজ আদালতে স্বত্ত্ব (নং ৮৯/২০০৮ইং) মামলা দায়ের করেন।
ওই স্বত্ত্ব মামলা বিচারাধীন অবস্থাতেই জেলা প্রশাসন উক্ত ভূমিতে শিল্পকলা একাডেমী ভবন নির্মান শুরু করলে, বাদীপক্ষ গত ১২/১১/২০১৭ইং ওই মামলায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার প্রার্থনা করেন। মৌলভীবাজারের ১ম জেলা যুগ্ন জেলা জজ আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার প্রার্থনা নামঞ্জুর করলে তারা এর বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্টে সিভিল রিভিশন মামলা (৪৪০৫/২০১৭ইং) দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট উক্ত ভূমিতে গত ১১/১২/২০১৭ইং থেকে পরবর্তী ৬ মাসের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন।
কিন্তু, দীর্ঘ ১ মাসেও উক্ত আদেশ কার্যকর না হওয়ায় বাদীপক্ষ গত ১৪/০১/২০১৮ইং মহামান্য হাইকোর্টের আদেশের জাবেদা নকলের ফটোকপি সংযুক্ত করে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর “মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা মতে ভূমির স্থিতাবস্থা বজায় রাখা প্রসঙ্গে” শীর্ষক আবেদন করেন। এরপরও মহামান্য হাইকোর্ট প্রদত্ত স্থিতাবস্থার আদেশ কার্যকর না হওয়ায় তারা মহামান্য হাইকোর্টে ভায়োলেশন মামলা (নং-১৪১ (ভায়ো(আর)-২০১৮ইং) দায়ের করেন।
অপরদিকে, ইতিপূর্বে মহামান্য হাইকোর্ট প্রদত্ত ৬ মাসের স্থিতাবস্থার মেয়াদান্তে বাদীপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৫/০৭/২০১৮ইং মহামান্য হাইকোর্ট উক্ত সিভিল রিভিশন মামলা (৪৪০৫/২০১৭ইং) নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উক্ত ভূমিতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন। কিন্তু, জেলা প্রশাসক উক্ত আদেশও অমান্য করে শিল্পকলা একাডেমী ভবন নির্মানকাজ অব্যাহত রেখেছেন।
সংবাদ সম্মেলনকারীরা ক্ষোভের সাথে প্রশ্ন তোলেন-আইন তো সবার জন্যই সমান। একজন জেলা প্রশাসকই যেখানে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে চলেছেন, সেখানে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ কার্যকরে আমরা জনগণ কার আশ্রয় নেবো? আমরা জনগণ কার কাছে জান, মাল ও সম্পদের নিরাপত্তা চাইবো?
মন্তব্য করুন