(ভিডিওসহ) পুলিশ এখন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীর ন্যায় কাজ করছে : সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ- নাসের রহমান

December 24, 2018,

আব্দুল কাইয়ুম॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-৩ আসনে বিএনপি মনোনিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য নাসের রহমান অভিযোগ করেন পুলিশ তার নেতাকর্মীর বাসা-বাড়িতে গিয়ে হয়রানি করছে। এছাড়াও নতুন নতুন মামলা দিয়ে গ্রেফতার করছে বিএনপি সহ ঐক্যফ্রন্টের নেতা কর্মীদের। পুলিশ এখন আওয়ামীলীগের একজন সক্রিয় সদস্যের চেয়ে অতি দরদী হয়ে এ সব কাজ করছে।
সোমবার ২৪ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে জেলা বিএনপি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন বিনা কারনে পুলিশের গ্রেফতারি অভিযান ও হয়রানিমূলক কর্মকান্ড বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর অনেক অভিযোগ পত্র দাখিল করি, কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা কোন নিবারণমূলক পদক্ষেপ নেন নাই। উপরন্ত এই ধরনের পুলিশী হয়রানী অভিযানের মাত্রা দিন দিন বেড়ে উদ্বেগজনক মাত্রায় পৌঁছেছে। এসময় তিনি বলেন ১০ দিনে আমার নির্বাচনী এলাকার শতাধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করেছে। প্রতি রাত্রে নেতাকর্মীর বাড়িতে গিয়ে হয়রানি করছে।
নাসের রহমান মৌলভীবাজার মডেল থানার কয়েকজন সাব ইন্সপ্টেরের নাম উল্লেখ করে বলেন, ২৩ ডিসেম্বর রাতে বিএনপি নেতা ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর মো: অলিউর রহমানের বাসায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে না পেয়ে বাসার জিনিসপত্র তছনছ ও ভাঙচুর করে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অলিউর রহমান বাসার দেয়াল টপকিয়ে পড়ে গিয়ে তিনি আহত হন। এক কথায় পুলিশ এখন আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীর চেয়ে অতি দরদী হয়ে আওয়ামীলীগের কাজ করছে। এইরুপ বেআইনি ও বিনা কারণে গ্রেফতারী অভিযান জনমনে এক আতংক সৃষ্টি করেছে যা ন্যুনতম সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির নেতা অলিউর রহমান গত ৬মাস লন্ডনে অবস্থানের পর মাত্র এক সপ্তাহে আগে বাংলাদেশে আসেন। অনুরুপভাবে বর্তমান কাউন্সিল স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরী ও বায়েস আহমদের বাসায় ডিবি পুলিশের দল হানা দেয়।
লিখিত বক্তব্য বলেন, ২৩ ডিসেম্বর শাহ হেলাল উচ্চ বিদ্যালয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি গোপন মিটিং হয়। ওই মিটিংএ ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের বলা হয় সিল ও স্বাক্ষর ছাড়া ব্যালট সরবরাহ করার জন্য। এ ছাড়াও পোলিং এজেন্টদের কৌশলে ভোট গ্রহনের শুরুতে রিজালসিটে স্বাক্ষর নেয়ার পরামর্শ দেন।
তিনি আরো বলেন, অভিনব কায়দায় রসিদিয়ে টেনে ও বাঁশের মাথায় হুক লাগিয়ে টমটম গাড়ী থেকে চলন্ত অবস্থায় শহরের ঝুলানো ধানের শীষের পোষ্টার ছিড়ে ফেলা হয়।
১৯ ডিসেম্বর বুধবার দুপুর ১ টার দিকে শহরের পুরাতন হাসপাতাল রোড়ের, সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় রাস্তার উপর রেখে একটি অতি পুরাতন ভাঙ্গা মোটরসাইকেলে পরিকল্পিতভাবে অগ্নি সংযোগ করে আমার বিরোধী পক্ষ। এ ছাড়াও বড়লেখায় মটর সাইকেল ও রাজনগরে টমটমে নৌকা সমর্থকরা আগুন ধরিয়ে আমার দনের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে রিটানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোঃ তোফায়েল ইসলামের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুল করিম ময়ূন,সাবেক সংসদ সদস্য বেগম খালেদা রব্বানী, জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল মুকিত, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভিপি মিজানুর রহমান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com