(ভিডিওসহ) মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর থেকে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন চান এম এ রহিম (সিআইপি)

October 31, 2018,

স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজার-৩ (মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর) সংসদীয় আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন চাইছেন বিশিষ্ট সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী, সাবেক বিট্রিশ কাউন্সিলর ও যুক্তরাজ্য আওয়মীলীগের সহ-সভাপতি এম এ রহিম (সিআইপি)। সে লক্ষ্যেই তিনি মাঠে দীর্ঘদিন থেকে কাজ করছেন।
৩১ অক্টোবর বুধবার দুপুরে এম এ রহিম সর্মথক গোষ্ঠির আয়োজনে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করে তিনি তার এ প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেন। মতবিনিময় কালে তিনি সাংবাদিকদের জানান ২০০৮ সাল থেকে তিনি নিজ নির্বাচনী আসনসহ পুরো জেলার মানুষের কল্যাণে নিবেদীত হয়ে কাজ করছেন। তিনি ছাত্র জীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আর্দশে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রলীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। এখন জাতীর জনকের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের একজন কর্মী হয়ে মাঠে কাজ করছেন।
তিনি জানান গেল কয়েক মাস থেকে দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময়। ভোটারদের সাথে উঠান বৈঠক ও গণজমায়েতের স্থান গুলোতে পথসভা। রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক কিংবা ঘরোয়া অনুষ্ঠান সব খানেই যাচ্ছেন। অংশ নিচ্ছেন জনসম্পৃক্ত সকল অনুষ্ঠানে। ওই সকল অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়ন ও নৌকায় ভোট চেয়ে লিফলেটও বিতরণ করছেন। যে খানেই যাচ্ছেন সেখানে গণমানুষের ব্যাপক সর্মথন পাচ্ছেন তিনি।
সমর্থক গোষ্ঠির ব্যানারে গেল কয়েক মাস থেকেই চলছে তার নির্বাচনী প্রচারণা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এমন আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশায় তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমাকে ষড়যন্ত্র করে জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য পদ থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে নানা ষড়যন্ত্রের পরও অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরেছি। তারপরও দলের আদর্শ থেকে একটুও বিচলিত হইনি। এম রহিম বলেন আজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। ছাত্র জীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে কাজ করছি। তারই সুযোগ্য উত্তরসূরী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে দলের একজন নিবেদীত কর্মী হিসেবে সবসময়ই মাঠে আছি থাকব।
যে ভাবে ওয়ান ইলিভেনের সময় জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য দেশ ও বিদেশে আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকার কারনে কারাবরণ করতে হয়েছে। তারপরও বিন্দু মাত্র বিচলিত হয়নি। নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি করি। প্রত্যেক রাজনীতিবীদেরই স্বপ্ন থাকে জনপ্রতিনিধি হবার। জনগণের ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে জনমানুষের কল্যাণে কাজ করার। তাই একজন রাজনীতিবীদ হিসেবে আমারও জনপ্রতিনিধি হওয়ার ইচ্ছা থাকাটা স্বাভাবিক। আর আমার নির্বাচনী এলাকার দলের তৃণমূলের নেতাকর্মী ও ভোটারদের ইচ্ছা আমি যেন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেই। তাদের এমন ভালোবাসার ঋণে আমি আবদ্ধ। দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের চাওয়া পাওয়াকে মূল্যায়ণ করে আমাকে মনোনয়ন দেয় তা হলে এই আসনটি আমি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারব বলে দৃঢ় আশাবাদী। প্রবাসে থাকাকালীন সময়ে সেখানেও দলের জন্য সক্রিয় ভূমিকা রেখেছি। সে খানে নানা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছি।
জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে দেশে আসার পর প্রবাসে আর স্থায়ীভাবে ফিরে যাইনি। এখন আমার জন্ম মাটি মৌলভীবাজারেই নিজের ব্যবসা বাণিজ্য, সামাজিক সাংস্কৃতিক আর রাজনৈতিক কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। তিনি জানান এজেলার মানুষ আমাকে আপন করে যে ভাবে তাঁদের হ্রদয়ে ঠাঁই দিয়েছেন। আমিও তাদের ভালোবাসার প্রতিদান স্বরুপ নি:স্বার্থ কাজ করে যাচ্ছি। আমি সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে স্কুল,কলেজ ও মাদ্রসা প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষার আলো সবার ঘরে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্ঠা অব্যাহত রেখেছি। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কারখানা নির্মাণ করেছি এবং করছি। যাতে কিছুটা হলেও এ অঞ্চলের কর্মহীন মানুষের কর্মস্থানের সুযোগ হয়। গরীব, দুখি অসহায় মানুষ ও সমাজ কল্যাণে আমার মহত উদ্দেশ্য থাকার কারনেই হয়ত স্থানীয় জনগণ আমাকে তাদের হ্রদয়ে ঠাঁই দিয়েছেন।
মতবিনিময়ে তিনি আরো বলেন যদি আমি দলীয় মনোনয়ন পাই এবং জনগণের মহামূল্যবান রায়ে আমি নির্বাচিত হই তা হলে জেলার শিক্ষা, পর্যটন শিল্প, মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আগর, রাবার ও চা শিল্পের উন্নয়ন, নদী ও হাওরের সমস্যা সামাধান সর্বপুরি এই নির্বাচনী আসনসহ জেলার সার্বিক কল্যাণে আমি নিবেদীত হয়ে কাজ করব। জনগণের হক কখন আত্মসাৎ করবনা এটা আমার দৃঢ় প্রত্যয়। সে জন্য তিনি দেশ রতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে মনোনয়ন চান এবং সকলের সহযোগীতা, দোয়া ও আর্শিবাদে তিনি সফল হবেন বলে প্রত্যাশা রাখেন। মতবিনিময়ে তার সাথে ছিলেন তার সহোদর বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক মুজিবুর রহমান মুজিব, মজম্মিল হোসেন নানু, সুলেমান আহমদ, হাজী জসিম আহমদ, সাত্তার মিয়া, আব্দুল মুহিত , মৌলা মিয়া প্রমুখ।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com