(ভিডিও সহ) মৌলভীবাজারে শোভাযাত্রা ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হল ৫ দিন ব্যাপী দূর্গোৎসব
মো: আব্দুল কাইয়ুম॥ মৌলভীবাজারে বিজয়া দশমীতে শোভাযাত্রা ও প্রতমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ৫ দিনব্যাপী দূর্গোৎসব।
মঙ্গলবার ২৪ অক্টোবর বিকেলে জেলা সদরে প্রতিটি পূজা মন্ডপ থেকে ট্রাক, পিকআপ ভ্যানে করে প্রতিমা নিয়ে সমবেত হন শহরের চৌমোহনাস্থ কালী মন্দির প্রাঙ্গনে। সেখান থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চাঁদনীঘাট এলাকায় মনুনদীতে প্রতিমা বিষর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হয় দূর্গোৎসব।
বিকেল পৌঁনে ৫টার দিকে শহরের চাঁদনীঘাট ব্রীজের মনু নদীতে পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জনের আনুষ্ঠানিকতা।
শোভাযাত্রায় শঙ্খ, ঢাক ঢোলের ছন্দ আর তরুনদের গান ও নৃত্যে বাড়তি মাত্রা যোগ করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভক্তদের মাঝে। এ সময় দূর্গ দেবীকে ভক্তি জানাতে রাস্তার দু’পাশে দর্শনার্থীরা ভীড় জমান।
জেলা সদরের পূজা মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন করা হয় মনু নদীতে। প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানে সেখানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম, পুলিশ সুপার মো: মনজুর রহমান, পৌরসভার মেয়র মো: ফজলুর রহমান ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ। এসময় সেখানে জেলা পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য নিরাপত্তা ও শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় দ্বায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও স্কাউটের সদস্যরাও শৃঙ্খলা রক্ষায় তৎপর থাকতে দেখা যায়।
এদিকে প্রতিমা বিসর্জন দেখতে চাঁদনীঘাট ব্রীজ ও মনু নদীর দু’পাড়ে হাজার হাজার দর্শনার্থীর ঢল নামে।
এ বছর শারদীয় দুর্গোৎসবে জেলায় ১০৩৬টি পূজা মণ্ডপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ে শহরের ত্রিনয়ণী ও মহেশ্বরী পূজা মণ্ডপ। এ দুটি মণ্ডপ ভারতের উত্তরাখণ্ডে অবস্থিত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান তীর্থস্থান কেদারনাথ মন্দির ও পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া অঞ্চলে অবস্থিত মায়াপুর মন্দিরের আদলে তৈরি করা হয়েছে।
গত ২০ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে শুরু হওয়া সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাঁচদিনের বৃহত্তম শারদীয় দুর্গোৎসবের শান্তিপূর্ণ সমাপ্তি হয়েছে ২৪ অক্টোবর বিকেলে মৌলভীবাজারের মনু নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে।
মন্তব্য করুন