( ভিডিও সহ) সংবাদ সম্মেলন- কুলাউড়ায় রবিদাশ সম্প্রদায়ের বসত বাড়ি ও ভূসম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ

March 14, 2018,

স্টাফ রিপোর্টার॥ কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মনবাজার ইউনিয়নের চকেরগ্রাম এলাকার ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠি রোহিদাস সম্প্রদায় (মুচি) ঘর বাড়ি ও ভূসম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার ১৩ মার্চ দূপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে  লিখিত অভিযোগে বিষয়টি তুলে ধরেন ক্ষতিগ্রস্থ ভোক্তভোগি পরিবারে সদস্যরা। লিখিত বক্তব্যে বলা হয় ১০ জানুয়ারি ১৯৭৯ইং তারিখে ৯৩নং সাফকাবালা দলিল মূলে তাদের পূর্বপুরুষ মৃত শিবচান্দ রোহিদাস কর্তক ৬৮শতক ভূমি খরিদ করে সে খানে বসতবাড়ি নির্মান করে বসবাস করছেন। ভূমির মালিক মৃত শিবচান্দ রোহিদাস  ১৭ ডিসেম্বর ১৯৯৭ইং সালে তার একমাত্র ছেলে লাদুরাম রোহিদাস, ২ (দুই) মেয়ে ধনপতি দাস, লাখো পতি দাস, পুত্রবধু বাসন্তি রোহিদাস, এক নাতি প্রদিপ রোহিদাস ও এক নাতিন সাবেত্রী রোহীদাস কে রেখে মৃত্যু মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে ৬ মার্চ ২০০৮ইং তারিখে আকস্মিক ভাবে লাদুরাম রোহিদাসও  মৃত্যুবরণ করেন। তাদের পরিবারের সকল পুরুষলোক পরলোকগত হওয়ার সুযোগে বিবাদী (১) এ.এন.আলম পিতাঃ মৃত ইমানী (প্রকাশ ঠাকুর), গ্রাম চকের গ্রাম (২) এ.এন.এম.মুছাখাজা (৩),এ.এন,.এম.খালেদ লাকি উভয় পিতা ঃ এ.এন.এম.ইউছুফ, গ্রাম- নবিনগর (৪) মন্নান মিয়া পিতা ঃ মৃত-সত্তার মিয়া, গ্রাম শ্রীপুর (৫) হারুন শাহ,পিতা ঃ ইনু শাহ সাং নছিরাবাদ, (৬) জয়নাল আবেদীন খান, পিতা মৃত আসিদ খান গ্রাম ঃ চকেরগ্রাম সর্ব ইউপি ব্রাহ্মণবাজার,(৭) শাহ আলম সরকার, পিতাঃ শামছুল হক সরকার সাং উছলা পাড়া, কুলাউড়া পৌরসভা সর্ব থানা ঃ কুলাউড়া, জেলা মৌলভী বাজার কর্তৃক দীর্ঘদিন  যাবত তাদের সাথে নানা জুলুম নির্যাতন করে আসছেন।

বাড়ির মহিলাদের কাউকে একা পেলেই তারা অবৈধ কু-প্রস্তাব দিতেন। অন্যতায় মারপিট ও এলাকা ছাড়া করার হুমকিও দিতেন। উদ্দেশ্য এমন নির্যাতনের মাধ্যমে তাদের বাড়িঘর ছাড়া করে ভূসম্পত্তি দখলে নেওয়া। প্রতিনিয়ত ওদের নানা রকম হুমকি-ধামকি ও অত্যাচারের আতংকে তারা কোথাও বিচার প্রার্থী হওয়ার ও সাহস পাচ্ছিলনা। বিভিন্ন সময়ে ১ও ২নং বিবাদী বাহিরের মানুষের কাছে ওই ভূমিতে তাদের মালিকানা আছে বলে বলাবলিও করত। কিন্তু কখনো সরাসরি তাদের কাছে কোন মালিকানা দাবী করত না। তবে চালচলন ও আকার ইঙগিতে ভয়ভীতি প্রদর্শনের চেষ্ঠা করত। তাদের এমন  আচরনে যে কোন সময় সহায় সম্পদ বেদখল হতে পারে বা দখলের চেষ্টা করতে পারে বিধায় আশংকাজনক অবস্থায় বিগত ১৮ অক্টোবর ২০১৭ ইং তারিখে কুলাউড়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালত মৌলভীবাজারে স্বত্¦ মামলা ১৭৮/২০১৭ দায়ের করা হয়। ওই মামলা দায়েরের খবর পেয়ে তাদেরকে বসত ভিটা হতে উচ্চেদ করার পায়তারায় ১৯ অক্টোবর ২০১৭ইং তারিখে বিবদীগণ দা,কুড়াল, লাঠি বল্লম সহ নানা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের বসত বাড়িতে অতর্কিতে হামলা চালায়। বাড়ির সদস্যরা কোন কিছু বুঝার আগেই তাদের উপসনালয়ে (দেবতা ঘরে) প্রবেশ করে ওইসকল দখলদার দাঙ্গাবাজরা হাতের দা, কুড়াল ও লাঠি দ¦ারা ঘরের মুির্তসমুহ ধ্বংশকরে চুরমার করে এমনকি ঘরের চাল, বেড়া সহ সব কিছইু  ভেঙ্গে চুরমার করে। আমরা তাদের আটকানোর জন্য আসামীদের পায়ে ধরে কাকুতি মিনতি করার চেষ্টা করলেও তারা  উত্তেজিত হয়ে বাড়ির সদস্যদের সাথে পাশবিক অত্যাচার করে। তাদের হাতে থাকা দা ও কুড়াল দ্বারা ওদের বাড়ির সকল গাছ, বাঁশ কাটতে শুরু করলে তারা বাঁচাও, বাঁচাও বলে সজোরে চিৎকার করলেও ওদের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনী।

বাড়ির সদস্যরা অসহায় অবস্থায় তাদের আটকানোর জন্য বৃথা অনুনয় করতে থাকে এক পর্যায়ে তারা ওদের প্রকাশ্যে বেইজ¦জতি করা শুরু করে।  কিল ঘুষি  লাথি মারতে থাকে এবং কাপড় টেনে ছিড়ে ফেলার চেষ্ঠা করে এবং একপর্যায়ে প্রকাশ্যে স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দ্বারা শ্লীলতাহানী পর্যন্ত ঘটায়। বিবাদীগণ  আমাদের বসত ঘরে প্রবেশ করে স্টিলের বাক্সে রক্ষিত নগদ ২০ হাজার টাকা, সাড়ে ৪ ভরি স্বর্নালংকার নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে তারা বাড়ির বাঁশঝাড়, বড়বড় আমগাছ সুপারি গাছ সহ আরো ছোটবড় ২০/২৫টা গাছ কেটে বাড়ি হতে নিয়ে যায়। প্রায় ৪০টির ও বেশী কলাগাছ ছিল সবগাছ কেটে সকল কলা নিয়ে যায়। বাড়ির ভিতরের ২৭ শতক ও বাহিরে রাস্তার পূর্ব পার্শের আমাদের শ্মশানের ১৯শতক জায়গা দখল করে নেয়। সেখানে এম.এ.গণি কলেজ নামে সাইন বোর্ড লাগিয়ে দেয়। এমন কি কোন প্রকার মামলা মোকদ্দমা করলে তারা প্রাণে হত্যা করবে বলে হুমকি প্রদর্শন করে।

ওই হামলায় উপরোল্লেখিত বিবাদীগন ছাড়াও (৮) গোলাম সরওয়ার খান পাকি, পিতা-মৃত সুরুজ খান সাং দাউদপুর, (৯) আব্দুল লতিফ, পিতা -আব্দুল মছব্বির সাং শ্রীপুর, (১০) কবির মিয়া, পিতা ঃ মৃত- ছিফত উল্লাহ, সাং- দাউদপুর, (১১)ইনুছ মিয়া, পিতা ঃ মৃত ভেড়ুমিয়া, সাং দাউদপুর (১২) সামছুল মিয়া পিতা ঃ মৃত এরপান মিয়া সাং দাউদপুর, (১৩) তারা মিয়া, পিতা ঃ মৃত-সুনা মিয়া সাং নছিরাবাদ ও মমদুদ হোসেন,পিতা ঃ সমছুল হোসেন সাং-রাজাপুর (চেয়ারম্যান-ব্রাহ্মন বাজার ইউনিয়ন ও প্রভাষক ইউছুফ গণি কলেজ) সহ আরো ৩০-৪০ জন সশস্ত্র লোক সরাসরি হামলায় অংশ গ্রহন করেন। তাদের হামলায় ওই বাড়ির সকলেই গুরুতর আহত হন। লাখোপতি রোহিদাস চরম গুরুতর আহত হয়ে পড়লে তাকে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করাই। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রোগির অবস্থার চরম অবনতি হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসাপাতালে রেফাড করলে সেখানে আরো ১৫দিন চিকিৎসা শেষে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এখনো পর্যন্ত তিনি হাটা চলা করতে পারেন না।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়  ওই ঘটনার পরপরই ১৯ অক্টোবর ২০১৭ কুলাউড়া থানায় মামলা দায়েরের জন্য গেলে থানার অফিসার ইনচার্যের কক্ষে বিবাদী মমদুদ হোসেন চেয়ারম্যান ও  এ.এন.এম আলম কে সামনের চেয়ারে বসা অবস্থায় পাই। অফিসার ইনচার্জ মহোদয় তাদের সম্মুখে আমাদের মামলা গ্রহনে অস্বীকৃতি জানান এমনকি আমাদের সাথে চরম দূর্ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেন। শুধু তাই নয় থানার দারগা মাসুদ আলম ভূঞা আমাদের গলা ধাক্কা দিয়ে থানার গেটের বাইরে বের করে দেন এবং পুনরায় মামলা দিতে আসলে উল্টো আমাদের হাজতে পুরে কোর্টে চালান করবেন বলে হুমকি দেন। এই ঘটনার ২দিন পর পুনরায় কুলাউড়া থানায় এডিশনাল এসপি মহোদয়ের নিকট মামলা দায়েরের জন্য গেলে তিনিও পূর্বানুরুপ মামলা গ্রহনে অস্বীকৃতি জানান এবং বিবাদী পক্ষকে কলেজের জন্য আমাদের জায়গা টুকু ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। অন্যতায় শক্তিশালী বিবাদী পক্ষ আমাদের আরো ক্ষতি করবে বলেও হুশিয়ার করেন। ফলে নিরুপায় হয়ে ওইদিনও আমাদের ব্যর্থ হয়ে ফেরত আসতে হয়। পরবর্তীতে বিশ^স্ত সুত্রে আমি জানতে পারি যে,কুলাউড়া সার্কেলের এডিশনসাল এসপি মহোদয়ের বাড়ি ও বিবাদী শাহ আলম সরকারের গ্রামের বাড়ি একই এলাকায় এবং পরস্পর নিকটাত্বীয় বিধায় কুলাউড়া থানা বিবাদী গণের দ্বারা প্রভাবিত। কুলাউড়া থানা মামলা গ্রহন না করায় অবশেষে ২৪ অক্টোবর ২০১৭ ই্ং তারিখে লাখোপতি রুহিদাস সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মৌলভীবাজারে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৪১১/২০১৭। বিজ্ঞ আদালত তদন্তের জন্য মামলাটি কুলাউড়া থানার হাওলা করলেও বিবাদী পক্ষের প্রভাব ও প্রতিপত্তি ব্যবহার করে কুলাউড়া থানা প্রশাসনকে নিজেদের আয়ত্তে রেখেছে বিধায়  পুলিশ এখনো এ বিষয়ে সরেজমিনে এই ন্যাক্কার জনক ঘটনার কোন তদন্ত করেন নি। মামলাটি তদন্তের জন্য থানায় যোগাযোগ করলেও মামলার তদন্তের দায়িত্ব প্রাপ্ত কুলাউড়া থানার দারগা মাসুদ আলম ভুঞা ও কানাই লাল আমাদের কাছে বড় অংকের টাকা দাবী করেন যা আমরা দিতে সামর্থ নই। উপরোল্লেখিত দুটি মামলা দায়েরের পর বিবাদী পক্ষ আরো বেশী হিং¯্র আচরন শুরু করে। তারা সশস্ত্র অবস্থায় আমাদের বাড়িতে এসে মামলা তুলার জন্য প্রকাশ্য হুমকি দেওয় শুরু করে। অন্যতায় আমাদের বাড়ি ঘর আগুনে পুড়িয়ে আমাদের এলাকা ছাড়া করারও হুমকি প্রদান করেন। তাদের এরুপ হুমকি ধামকির কারনে আমরা কয়েক দিনের জন্য বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আত্ম-গোপনে যেতে বাধ্য হই।

এক পর্যায়ে আমাদের কাছে মনে হয় যে, তারা আমাদেরকে বসতভিটা হতে উচ্ছেদ করেই ছাড়বে। তখন আমরা বাধ্য হয়ে ১৩ নভেম্বর ২০১৭ইং তারিখে বিবাদীগণের বিরুদ্ধে মাননীয় অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মৌলভীবাজারে ফৌঃকাঃবিঃ আইনের ১৪৪ধারার বিধান মতে মামলানং ২৪৪/১৭ দায়ের করলে মাননীয় আদালত বিরোধকৃত ভূমিতে ১৪৪ধারা জারি করেন।

ওই মামলার কারনে বিরোধীয় ভুমিতে পুলিশ কর্তৃক ১৪৪ ধারা জারি করার কারনে আরো বেশী আক্রোশান্বিত হয়ে সমুহ বিবাদী গণ  ১৭ নভেম্বর ২০১৭ ইং তারিখ সন্ধ্যা ৭ টার সময় তাদের বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে  তাদের অকথ্যভাষায় গালি গালাজ করে মারতে উদ্যত হয়। এমনকি পরের দিন সকাল ১০ টার ভিতর যদি তারাা আদালতে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার না করেন তাহলে গোটা এলাকা মাইকিং করে জনগণকে উস্কেদিয়ে তাদের বাড়িঘর আগুন দিয়ে জালিয়ে-পুড়িয়ে আমাদের উচ্ছেদ করা হবে এমনকি আমাদের  হত্যা করারও হুমকি প্রদান হয়। ওইদিন আমাদের চিৎকারে আশেপাশের লোক দৌড়ে আসার কারণে কোন মতে প্রাণে রক্ষা পাই। এমতাবস্থায় আমরা জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে চরম আশঙ্কা গ্রস্থ হয়ে পড়ি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তার ব্যক্তিগত স্বার্থের কারনে ওদের পক্ষে থাকায় তার সর্মথকরাও নানা ভাবে হুমকি দেয়। ১৭ নভেম্বর ২০১৭ ইং রাত অনুমান সাড়ে ৮ টার দিকে রাতে রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকার সময় বিবাদী এ.এন.এম.আলম ঘরে প্রবেশ করে একাকিত্বের সুযোগে ওই বাড়ির এক নারী সদস্যকে ধর্ষণ করার অশুভ উদ্দেশ্যে ঝাপটে ধরে তার শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গে শ্লীলতাহানী ঘটায়। তখন তার  আর্তচিৎকারে পাশের বাড়ির লোকজন ছুটে তাকে রক্ষা করেন। পরেরদিন ১৮ নভেম্বর ২০১৭ ইং তারিখে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের কাছে আগের দিনের সমুহ ঘটনা প্রকাশ করে বিচার প্রার্থী হন। সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাচ্চু সহ গন্যমান্য মুরুব্বিগন তাদের অসহায়ত্বের কথা শোনে আইনের  আশ্রর নেওয়ার পরামর্শ দেন।

১৮নভেম্বর ২০১৭ ইং তারিখ বিকাল ৪টার দিকে জরুরি কাজে শেষে কুলাউড়া হতে নিজ বাড়ির সামনে আসামাত্র পূর্ব হইতে ওৎ পেতে থাকা বিবাদীগন সশস্ত্র অবস্থায় বাড়ির এক নারী সদস্যকে হত্যা জন্য আক্রমন করে। বিবাদীগন প্রতিদিন তাদের পরিবারের উপর যে ভাবে একের পর এক হামলা নির্যাতন শুরু করছে তাতে জীবন মৃত্যু নিয়ে তারা শঙ্কায়। এমতাবস্থায় বাধ্য হয়ে ২০ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মাননীয় নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত মৌলভীবাজারে জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে আরো একটি মামলা দায়ের করেন তারা। ১৭নভেম্বর ২০১৭ইং তারিখে বিবাদী আলম কর্তৃক আমাকে ধর্ষনের অপচেষ্ঠার অভিযোগ নিয়ে ২২নভেম্বর ২০১৭ ইং তারিখে কুলাউড়া থানায় গেলে অফিসার ইনচার্জ আমার মামলা গ্রহনে অস্বীকৃতি জানান। তিনি কোর্টে গিয়ে মামলা করার জন্য পরামর্শ দেন। এমনকি আর কখনো থানায় মামলা দায়েরের চেষ্ঠা করলে আমাদের বিপক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও হুমকি প্রদান করেন। তাই ২৩ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে আমি নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল মৌলভীবাজারে নারী ও শিশু পিঃ মামলা নম্বর ৬১৫/২০১৭ দায়ের করা হয়। এখানে উল্লেখ করা আবশ্যক যে, দেশের শীর্ষ ২০ জন রাজাকারের মধ্যে ৭নং রাজাকার কুলাউড়ার ব্রাম্মণবাজার ইউনিয়নের নবীনগর গ্রাম নিবাসী বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম এ.এন.এম ইউছুফ ১৯৯৫ সালে নিজ নামে আমাদের বাড়িরর পাশেই ‘চকের গ্রামে’ ইউছুফ-গণি কলেজ নামে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। কলেজেটি তাদের বাড়ির সীমানা ঘেষা হওয়ায় এবং প্রতিষ্ঠাকালে কলেজের বিল্ডিং নির্মানের জন্য জায়গার সংকুলান না হওয়ায় সে সময় শিবচান্দ রোহিদাসের  নিকট তাদের বাড়ি হতে কিছু জায়গা ছেড়ে দেওয়ার অনুরুধ করলে তিনি এতেসম্মত না হওয়ায় তারা গায়ের জোরে জবর দখল করে তাদের তিন শতক ভূমি সহ কলেজের বিল্ডিং নির্মাণ করেন। তাদের ক্ষমতা আর দাপটের কাছে আসহায় ছিলাম।

 দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে যুদ্ধাপরাধীদের নাম অপসারনের দাবিতে প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ‘মুনতাসির মামুন’ কর্তৃক মাহমান্য হাইকোর্টে মামলা দায়েরের পর বিগত ৬ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর যৌথ বেঞ্চ যুদ্ধাপরাধীদের নামের দেশের সকল স্থাপনা হতে নাম অপসারনের পক্ষে রায় প্রদান করেন। রায়ে উল্লেখিত প্রধান  ৯(নয়)টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যুদ্ধাপরাধী এ.এন.এম.ইউছুফ প্রতিষ্ঠিত ইউছুফ গণি কলেজের নাম ৪(চার) নম্বরে থাকার পরও আজ পর্যন্ত নামটি অপসারিত হয়নি। অথচ একই রায়ের কারনে কুলাউড়ার আরেকজন রাজাকার মাহতাব উদ্দিন প্রতিষ্ঠিত “মাহতাব সায়রা হাইস্কুল” এর নাম পরিবর্তন করে কর্তপক্ষ “উত্তর কুলাউড়া হাই স্কুল” নাম করণ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠাতার ছেলে,ভাতিজা ভাতিজি ও জামাতা সহ আত্মীয স্বজন গণ প্রতিষ্ঠানের সকল পদ ও পদবী আঁকড়ে থাকার কারণে উচ্চ আদালতের রায়ের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে আজও নাম পরিবর্তনের কোন উদ্যোগ গ্রহন করা হয়নি। তারা জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রীসহ দেশবাসীর কাছে এই অন্যায়কারী ও জুলমবাজদের  কবল থেকে নিজেদের জানমাল রক্ষায় ও তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসার আকুল আবেদন জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাসন্তি রোহি দাস-স্বামী মৃত লাদুরাম রোহিদাস, ধনপতি দাস-পিতা মৃত শিবচান্দ রোহি দাস(নুনুয়া), লাখোপতি দাস- পিতা  শিবচান রোহি দাস (নুনুয়া)  প্রদীপ দাস পিতা-মৃত লাদুরাম রোহিদাস, সাবেত্রী দাস, পিতা- মৃত লাদুরাম দাসসহ ভোগক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা ।

     

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com