মসজিদের বয়ানে খতিবকে বাধা বড়লেখায় যুবলীগ নেতার হোটেল বন্ধ করে দিল তৌহিদি জনতা

December 1, 2024,

আব্দুর রব : রাষ্ট্রীয় নির্দেশে জুমার নামাজ পূর্ব ধর্মীয় উগ্রবাদ বিরোধী সচেতনতামুলক বয়ানে মসজিদের খতিবকে বাধা প্রদানের জেরে যুবলীগ নেতা জসিম উদ্দিনের মালিকানাধীন বড়লেখা পৌরশহরের জিম্মি রেষ্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টার ও বিয়ানীবাজারের জিস্মি রেষ্টুরেন্ট বন্ধ করে দিয়েছে সর্বস্তরের তৌহিদি জনতা। জসিম উদ্দিন বিয়ানীবাজার উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম পল্লবের অনুসারী এবং বিয়ানীবাজার কলেজ রোড মসজিদের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সদস্য।

জানা গেছে, বিয়ানীবাজার কলেজ রোড মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজের পূর্বে সেই মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মশাহিদ আহমদ সরকারি নির্দেশনায় ধর্মীয় উগ্রবাদ বিরোধী আলোচনা করছিলেন। এসময় হোটেল ব্যবসায়ী যুবলীগ নেতা খতিবকে বয়ান করতে বাধা দেন। এসময় ইমামের পক্ষ নিয়ে কথা বলায় একজন প্রবাসীর সাথে তিনি বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। নামাজের পরপরই ঘটনাটি বিভিন্ন মহলে ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুবলীগ নেতা জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় উঠে। সর্বস্তরের তৌহিদি জনতার পক্ষ থেকে জসিমের মালিকানাধীন বিয়ানীবাজারের জিম্মি হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট, হট পিপার এবং বড়লেখা পৌরশহরের জিম্মি রেষ্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টার বৈকটের দাবি উঠে। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্দ জনতা বড়লেখা ও বিয়ানীবাজারের তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো সীলগালা করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী তোলেন। এরপর তৌহিদি জনতা যুবলীগ নেতা জসিম উদ্দিনের বড়লেখা ও বিয়ানীবাজারের হোটেলগুলো বন্ধ করে দেয়। রোববার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে জিম্মি রেষ্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টার বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। সাটারে সেঁটে দেওয়া হয়েছে সর্বস্তরের তৌহিদি জনতার বয়কটের নানা লিপলেট।

এব্যাপারে ইমাম ও খতিব মশাহিদ আহমদ জানান, তিনি রাষ্ট্রীয় নির্দেশনায় ধর্মীয় উগ্রবাদের বিরুদ্ধে আলোচনা করছিলেন। এসময় মসজিদ কমিটির সাবেক সদস্য ও ব্যবসায়ী তাকে আক্রমনাত্মক ভাষায় এসব ওয়াজ করতে নিষেধ করেন। প্রতিবাদে একজন প্রবাসী ইমামকে ওয়াজ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানালে তিনি তার সাথে বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন।

যুবলীগ নেতা জসিম উদ্দিন ভিডিও বার্তায় জানান, তিনি ইমামকে সরলমনে বাধা দিয়েছেন। এতে ইমাম কষ্ট পেয়ে থাকলে তিনি যেন তাকে ক্ষমা করে দেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দেন।

প্রবাসী কাজী হুমায়ুন জানান, খতিবের ওয়াজে এভাবে বাধা দেয়ার কারণে তিনি শুধু প্রতিবাদ করেন। তার দাবী আগের ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় এভাবে খতিবদের ইসলামি বয়ানে বাধা দেয়া হত।

বিয়ানীবাজার থানার ওসি (তদন্ত) সফেদ আলী বলেন, এই ঘটনা থানায় মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবেন।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com