মহাণ মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক মৃত্যুবার্ষিকীতে
বদরুল মনসুর॥ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর মহাণ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দু’বার এর নির্বাচিত সাবেক সাধারন সম্পাদক এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী, মরহুম জাতীয় নেতা আলহাজ্জ্ব আব্দুর রাজ্জাক এর ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ২৭ ডিসেম্বর বৃটেন থেকে প্রচারিত প্রবাস বাংলা টিভির হ্যালো ওয়েলসে চির অম্লান জননেতা আব্দুর রাজ্জাক শীরনামে এক ভ্যার্চুয়াল স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবাসের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জননেতা সুলতান মাহমুদ শরীফ এর সভাপতিত্বে এবং প্রবাস বাংলা টিভির হ্যালো ওয়েলসের প্রেজেন্টার বিশিষ্ট সাংবাদিক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ এর উপস্থাপনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অমর একুশের কালজয়ী গান “এর রচয়িতা বিশিষ্ট সাংবাদিক কলামিস্ট সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবী আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী। ও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জননেতা মোজাফফর হোসেন (পল্টু)। কেন্দ্রীয় জাতীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি ও আওয়ামী লীগ লিডার নুরুল ফজল বুলবুল. যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক. যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক নঈম উদ্দিন রিয়াজ. যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট লেখক এম এ সালাম. যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা ঢাকসুর সাবেক ছাত্রনেতা দেওয়ান গৌস সুলতান. যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সাবেক ছাত্রনেতা এডভোকেট শাহ ফারুক আহমদ. ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান ও হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়েল ফাউন্ডেশন ইউকের সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ মকিস মনসুর ও ম্যানচেস্টার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা শেখ জাফর আহমদ সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাকের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বক্তারা বলেন, তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের একজন অন্যতম সংগঠক এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে একজন বলিষ্ঠ সৈনিক।মানুষ, মানবতা ও উন্নয়নের আজন্ম সাধক ছিলেন জাতীয় নেতা আব্দুর রাজ্জাক ।
জননেতা আব্দুর রাজ্জাক ছিলেন কর্মিবান্ধব নেতা। সারাটি জীবন তিনি এদেশের জন্য, মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন। দেশের যত গণতান্ত্রিক আন্দোলন আছে সব জায়াগায় রাজ্জাক ভাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আব্দুর রাজ্জাকের ছিল অসামান্য অবদান। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তাকে ছাড়া অসম্পূর্ণ। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, ইতিহাসের বরপুত্র হিসেবে আব্দুর রাজ্জাকের নামও ততদিন থাকবে মানুর অন্তরে।
তিনি যুদ্ধাপরাধের বিচার দাবির আন্দোলনে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের একজন মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। সাধারণ মানুষের কাছাকাছি থেকে তাদের কল্যাণে কাজ করাই ছিলো এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের উজ্জ্বল বৈশিষ্ট্য। দেশ ও মানুষের কল্যাণ জীবনের অন্যতম সময় দেশের সাধারণ মানুষের কল্যাণে ব্যয় করেছেন আওয়ামী লীগের প্রয়াত এই নেতা। সকল শ্রেণিপেশার মানুষের কাছে সমান জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। কোনো লোভ-লালসা কখনও তাঁর ব্যক্তিত্বের কাছে স্থান পায়নি। সৎ জীবনযাপন ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার মাধ্যমে স্বাধীন বাংলার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের তালিকায় স্থান করে নেন তিনি।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে দক্ষ ও প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ হিসেবে দেশ ও মানুষের কল্যাণে আমৃত্যু কাজ করে গেছেন আব্দুর রাজ্জাক। নিজের সংসদীয় আসন শরীয়তপুরের উন্নয়ন ও সাধারণ মানুষের জন্য সদা তৎপর ছিলেন। সামাজিক উন্নয়ন ও শিক্ষা বিস্তারে নিজ এলাকায় গড়ে তুলেছিলেন আব্দুর রাজ্জাক কলেজ ও বুড়িরহাট পলিটেকনিক কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বাবার নামে করেছেন আলহাজ ইমাম উদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়।
আব্দুর রাজ্জাক পানিসম্পদমন্ত্রী থাকাকালে রাস্তাঘাট উন্নয়নের পাশাপাশি নদীভাঙন কবলিত মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে জয়ন্তী নদীতে শক্ত বাঁধ নির্মাণ করা হয়। জীবনমান উন্নয়নে তিনি গড়ে তুলেছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ড, ব্যাংক ও ড্যামুড্যা পৌরসভা। এছাড়া পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়ে তাদের স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করে গেছেন।।
মন্তব্য করুন