মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী মেজর জেনারেল (মরহুম) এম.এ.মঞ্জুর হত্যা মামলাঃ বিচারের বানী নীরবে নিভৃতে কাঁদে: জাষ্টিস ডিলে-জাষ্টিস ডিনাইড ॥
মুজিবুর রহমান মুজিব॥ একাত্তোরের মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতীয় জীবনের হাজার বছরের সংগ্রামী ইতিহাসে গৌরবময় অধ্যায়। স্বাধীনতা আন্দোলনের মহান স্থপতি বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ট, গতিশীল নেতৃত্ব ও আহ্বানে সমগ্র জাতি সেনা জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়েন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গেঁ সম্পর্ক ছিন্ন করে স্বাধীন বাংলা সরকারের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করতঃ কর্নেল (পরে জেনারেল, বঙ্গঁবীর, মরহুম) এম.এ.জি. ওসমানীর নেতৃত্বাধীন মুক্তি বাহিনীতে যোগদান করেন মেজর আবুল মঞ্জুর। মুক্তিযুদ্ধের প্রাথমিক পর্য্যায়ে পাক।
সেনাবাহীর অফিসার হোসেন মোহাম্মদ এর্শাদ ছুটিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে থাকলেও ছুটি শেষে পশ্চিম পাকিস্তান চলে যান, নিজ কর্মস্থলে যোগদান করেন। পশ্চিম পাকিস্থানে অবস্থানরত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙ্গাঁলি সেনা কর্মকর্তাগণ পাক সরকারের সঙ্গেঁ সম্পর্ক ছিন্ন করে যারা মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করে ছিলেন তাঁদেরকে পলাতক-দেশদ্রোহী বিবেচনা করে বিচার সম্মুখীন করে পাক সরকার সেই ট্রাইবুন্যালের চেয়ারম্যান ছিলেন লেঃ কঃ এইচ. এম. এর্শাদ। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে স্বাধীনতা উত্তকালে যখন লে. জেনারেল এর্শাদ বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর প্রধান তখন চট্টগ্রাম অঞ্চলের জি.ও.সি থাকা অবস্থায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয় মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে। ১৯৮১ সালে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে সরকারি সফরে থাকা অবস্থায় ত্রিশে মে রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে অভিযান চালিয়ে কতেক বিপথগামী সেনা সদস্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি মুক্তিযোদ্ধা জেনারেল জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে। তখন প্রেসিডেন্ট জিয়া নিযুক্ত সেনা প্রধান লে, জেনারেল এইচ, এম, এর্শাদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ডিওসি ছিলেন বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর উজ্জুল নক্ষত্র চৌকশ সেনাকর্ম কর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল এম.এ.মঞ্জুর বীর উত্তম। মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার সুবাদে স্বাধীনতা উত্তরকালে পাকিস্তান থেকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকারী সেনা কর্মকর্তা জেনারেল এর্শাদের সখ্য ও সদভাব ছিলনা। জেনারেল এর্শাদ (অব:) ছিলেন উচ্চাভিলাসী, ক্ষমতা লোভী ও বিতর্কিত চরিত্রের মানুষ, পক্ষান্তরে মুক্তিযোদ্ধা জেনারেল মঞ্জুর ছিলেন তাঁর বিপরীত চরিত্রের সহজ, সরল, সজ্জন মানুষ। প্রেসিডেন্ট জিয়ার শাহদাত বরনের পর ভাইস প্রেসিডেন্ট জাস্টিস সাত্তার দেশের ভার প্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হন। প্রেসিডেন্ট জিয়ার শাহদাত বরনের পর, সেনা প্রধান জেনারেল এর্শাদের ক্ষমতা দখলের উচ্চকাংখা বৃদ্ধি পেতে থাকে। আর্মির কোড অব কনডাক্ট ভঙ্গঁ করে তিনি পত্র পত্রিকায় বিবৃতি এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় সেনাবাহিনীর অংশীদারিত্ব দাবী করেন। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক আংশিক মিনি সেনা বিদ্রোহে এরিয়া কমান্ডার জেনারেল মঞ্জুর বিব্রতকর অবস্থার সম্মুখীন হন। মুক্তিযোদ্ধা পথের কাটা জেনারেল মঞ্জুরকে নিশ্চিহ্ণ করার জন্য সেনাপ্রধান জেনারেল এর্শাদ সেনা হেডকোয়ার্টার থেকে তাঁর নিজস্ব লোক মারফত দিক নির্দেশনা দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে তাঁরই ইশারায় পহেলা জুন মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে চট্টগ্রামের পাঁচ লাইশ থানা থেকে চট্টগ্রাম সেনা নিবাসে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। জেনারেল মঞ্জুর এর থানায় অবস্থান প্রসঙ্গেঁ দু’টি তথ্য পাওয়া যায় প্রথমতঃ তিনি নিজের নিরাপত্তার জন্য স্বেচ্ছায় থানায় হাজির হয়ে নিজের পরিচয় প্রদান করতঃ জীবনের নিরাপত্তা দাবী করেন, থানায় নিঃশর্ত আত্মসমর্পন করেন। দ্বিতীয় তথ্য মতে তিনি উত্তপ্ত পরিস্থিতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়ার জন্য চট্টগ্রাম থেকে অন্যত্র যাবার পথে পুলিশ কর্তৃক ধৃত হন।
তিনি নিজেই থানায় আত্বসমর্পন কিংবা পুলিশ কর্তৃক ধৃত ঘটনা যাই হউক তিনি পুলিশ কাষ্টডিতে ছিলেন। পুলিশ কর্তৃক আটক করলে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে নির্দিষ্ট মামলা না হলে ৫৪ ধারায় পার্শ্ববর্ত্তী মাননীয় হাকিম আদালতে চালান করতে হয়, এটাই দেশে প্রচলিত ফৌজদারী আইনের চিরাচরিত বিধান। কিন্তু দূর্ভাগ্য জনক ভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধা জেনারেল মঞ্জুরকে থানা পুলিশ কাষ্টডী থেকে সেনা প্রধান জেনারেল এর্শাদের অদৃশ্য ইশারায় চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়।
সেনা প্রধান লেঃ জেঃ এর্শাদ এক সময় বয়োঃবৃদ্ধ বিচারপতি আব্দুছ সাত্তারকে বন্দুকের মুখে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বাদের মাধ্যমে রাষ্ট ক্ষমতা দখল করে সি.এম.এল.এ অতঃপর মহামান্য রাষ্ট্রপ্রতি হন। তাই জেনারেল মঞ্জুর হত্যার আর কোন মামলা হয় নি। তিন জোটের ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলনে সামরীক স্বৈর শাসক জেনারেল এর্শাদের পতনের পর মঞ্জুর হত্যার প্রায় পনেরো বছর পর মরহুম জেনারেল এর ভ্রাতা এডভোকেট আবুল মনসুর বাদী হয়ে ১৯৯৫ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারী চট্টগ্রামের পাঁচ লাইশ থানায় জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রায় এক বৎসর দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন এ.এস.পি আবুল ক্কাহার আকন্দ মামলার প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় লেঃ জেঃ এর্শাদ (অবঃ) গং দের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় চার্জশীট দাখিল করেন, মামলার বিচার কাজ শুরু হয় কিন্তু সরকার বদল এবং রাষ্ট্রপক্ষের গড়িমসির কারনে বিচার কাজ শেষ হয় নি। এই আলোচিত হত্যা মামলার বিচারক ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হোসনে আরা আক্তার এই হত্যা মামলা রায় ঘোষনার তারিখ রেখেছিলেন। আবার বিচারক বদল হলে নতুন বিচারক হিসাবে যোগ দেন খন্দকার হাসান মাহমুদ ফিরোজ। রায় ঘোষনার আগে তিনি নতুন করে যুক্তিতর্ক শুনতে চেয়ে ২৭শে ফেব্রুয়ারী তারিখ ধার্য্য করেন। কিন্তু ঐ দিন রাষ্ট্র পক্ষে বিজ্ঞ পি.পি.আসাদুজ্জামান খাঁন রচি যুক্তিতর্ক না করে মামলার অধিকতর তদন্তের প্রার্থনা করলে মাননীয় আদালত তা মঞ্জুর করতঃ অধিকতর তদন্তের জন্য সি.আই.ডি.কে নির্দেশ প্রদান করেন। অতঃপর সি.আই.ডি এর পক্ষ থেকে সময় বাড়ানোর আবেদন করলে অদ্যাবধি অধিকতর তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করেন নি। এই বছর ২৬ শে আগষ্ট অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ নির্ধারিত আছে।
একাত্তোরের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চৌকশ উচ্চ পদস্থ সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুর বীর উত্তম হত্যা মামলার বিচার এখন ও হয়নি। বিচার কাজ চলছে। একটি বিচারাধীন মামলার ফল ফলাফল নিয়ে মন্তব্য করা সঠিক নয়, অনুচিত। উপরোল্লেখিত তথ্যাদি জাতীয় পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত। দেশবাসী কর্তৃক পঠিত। মুক্তিযুদ্ধের একজন বীর সেনানীর আকস্মিক অকাল এবং নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডে শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধা নয়, সমগ্র দেশ ও জাতি স্তম্ভিত। মর্মাহত। শোকাহত। জেনারেল মঞ্জুর থানা পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। দেশে প্রচলিত আইন মোতাবেক পুলিশ কাষ্টডিতে থাকা বিবাদীগনের চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে নিকটস্থ হাকিম আদালতে প্রেরণ, একটি ফরোওয়াডিং রিপোর্ট প্রদান পুলিশের আইনী দায়িত্ব। বিবাদীগণের আত্বপক্ষ সমর্থনের সুযোগ এবং আইনগত সহায়তা লাভ সাংবিধানিক অধিকার। এই সাংবিধানিক অধিকার যাঁরা লংঘন করেন করান তাঁরা আইনের চোখে অপরাধি। ঐতিহাসিক ভাবে আলোচিত, স্বাক্ষী সুবাদে প্রমানিত সত্য যে, তৎকালীন সেনা প্রধান লেঃ জেঃ হোসেইন মোহাম্মদ এর্শাদ এর ইশরায় পথের কাটা দূর করার জন্য শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সহযোদ্ধা এবং সুহৃদ মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুরকে হত্যা করা হয়।
এই হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্ম্মকর্তা লোভ লালসা ভয়ভীতির উর্ধ্বে থেকে নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত কার্য্য সম্পাদন করেছেন, ভি.ভি.আইপি. বিবাদীগণের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেছিলেন। ফৌ: কা: বি: আইনের ১৭৩ ধারার বিধান মোতাবেক প্রদত্ত এই পুলিশ রিপোর্ট এর বিরুদ্ধে বিবাদীগণের না খোশী থাকলেও নারাজি প্রদানের কোন আইনী বিধান নাই, বিজ্ঞ বিচারিক আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ২৪১-এ- ধারার বিধান মোতাবেক অভিযোগ গঠনের সময় বিবাদী পক্ষ পূর্ণ শুনানীর সুযোগ পান, অব্যাহতির (ডিসচার্জ) প্রার্থনা করতে পারেন, প্রার্থনা নাকচ হয়ে অভিযোগ গঠিত হলে বিবাদীপক্ষ ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ৪৩৫/৪৩৯-এ-ধারার বিধান মোতাবেক রিভিশন/মোশন মামলা করতে পারেন, মহামান্য হাইকোর্টে কোয়াশমেন্ট-ষ্টে- এর আবেদন করতে পারেন। কিন্তু সংবাদ দাতা/বাদী পক্ষে পুলিশ রিপোর্ট চার্জশীট এর বিরুদ্ধে পূর্ণ কিংবা আংশিক নারাজি নি¤œ আদালতে দাখিল করতে পারেন। জেনারেল মঞ্জুর মার্ডার মামলার সংবাদ দাতা/বাদী নিজেই একজন বিজ্ঞ আইনজীবী, আইন কানুন সম্বন্ধে অভিজ্ঞ। তিনি এই হত্যা মামলার চার্জশীটে কোন নারাজি প্রদান কিংবা পূনঃ তদন্তের আবেদন করেন নাই। পুলিশ প্রদত্ত অভিযোগ মেনে নিয়ে বিজ্ঞ বিচারিক আদালতে স্বাক্ষী প্রমান উপস্থাপন করেছেন। এমতাবস্থায় এই হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক ও রায় প্রদানের প্রাক্কালে মামলার সংবাদ দাতা নহেন মামলার বিজ্ঞ পি.পি কর্তৃক নারাজি ও অধিকতর পূনঃ তদন্তের প্রার্থানা, মামলার বিচারকেই আরো বিলম্বিত করল। আইনী-নীতি- ম্যাক্সিম মোতাবেক প্রলম্বিত বিচার- বিলম্বিত বিচার-বিচার না পাবারই নামান্তর। ইংরেজীতে যথার্যই বলা হয়ে থাকে-জাষ্টিস ডিলে জাষ্টিস ডিনাইড”।
দেশের আইন আদালত রাজনীতি ও রাজনৈতিক বিতর্কের উর্ধ্বে রাখা উচিত। মামলার প্রদান আসামী তৎকালীন সেনা প্রধান হুসেইন মোহাম্মদ এর্শাদ সেনা বাহিনী প্রধান থেকে সেনা শাসক সি.এম.এল.এ- হয়ে- মহামান্য রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। রাজনীতি না করেও রাজনীতিবিদ হয়ে নিজ দল জাতীয় পার্টি গঠন করে সরাসরি দলীয় প্রধান, চেয়ারম্যান হয়েছেন, গণ আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে সাংসদ হয়েছেন, মন্ত্রীর মর্য্যাদায় মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর বিশেষ দূত, সর্বশেষ সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হয়েছিলেন- আজীবন রাজনীতি রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও ক্ষমতার কাছাকাছি ছিলেন তিনি, এই মামলার আসামী থাকার কারনে এর্শাদ সব সময় বলতেন তাঁর হাত পা, বাঁধা তিনি মুক্ত স্বাধীন লহেন। এই মামলার কারনে তিনি আজীবন রাজনীতির জিওল মাছ ছিলেন। তাঁকে বাঁচিয়ে জিইয়ে রেখে ব্যবহার করা হয়েছে। জিওল মাছে পুকাধরে স্বাস্থ্য খারাপ এবং স্বাদ কমে বিস্বাদ হয়ে গেলেও চীর সবুজ সুদর্শন এর্শাদ ছিলেন চীর নবীন-প্রাণ বন্ত। আশিতেও তাঁর মুখে ছিল মিষ্টি মুচকি হাসি। যেনো হাতে ও মোহন বাঁশী।
রাজনৈতিক কারনে কোন বিশেষ ব্যক্তির জন্য বিচার ব্যবস্থার ইমেজ ও ভাবমূর্তি বিনষ্ট প্রশ্নবিদ্ধ করা উচিত নয়। ইংরেজীতে একটি কথা আছে Every body is equal in the eye of low, no body is above low.” মাজদার হোসেন মামলার রায়ের পর বিচার ব্যবস্থা প্রশাসন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এখন স্বতন্ত্র ও স্বাধীন।
আইন তাঁর নিজস্ব গতিতে চলবে, আইনের গতি পথে বাঁধা দিলে সে বাঁধা হবে বে-আইনী। অন্যায়। অনৈতিক।
মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী মেজর জেনারেল মঞ্জুর এখন কবর বাসি। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকার, মন্ত্রনালয়, সংসদ, দল, রাজনৈতিক সংগঠন, সুশীল সমাজ, জাতির বিবেক প্রেস ও মিডিয়া থাকলেও মরহুম জেনারেল মঞ্জুর এর জন্য কোথাও কি কেউ নেই-?
একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে বিনীত আরজ, অনতি বিলম্বে আইন মোতাবেক মঞ্জুর মার্ডার মামলার বিচার সমাপ্ত হউক- তাঁর রুহ- অতৃপ্ত আত্বাশান্তি পাক।
মেজর জেনারেল (মরহুম) আবুল মঞ্জুর এর উজ্জল স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। মহান মালিক তাঁর বেহেশত নসীব করুন- এই মোনাজাত করছি।
(লেখক: ষাটের দশকের সাংবাদিক। মুক্তিযোদ্ধা। এডভোকেট হাইকোর্ট। সাবেক সভাপতি মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব। কলামিষ্ট।)
মন্তব্য করুন