মাদকবিরোধী অভিযান ও মাদকের অভিশাপ থেকে মুক্তি – প্রেক্ষিত বাংলাদেশ

November 12, 2018,

মোহাম্মদ আবু তাহের॥ ঘোষনা দিয়ে ১৮ মে ২০১৮ দেশব্যাপী মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা যায় ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাদকবিরোধীঅভিযানে ২৫০ জন নিহত হয়েছে। গ্রেফতারের সংখ্যা ৫০ হাজারের ও বেশী। মামলার সংখ্যা ৩৫ হাজার। আলোচনা সমালোচনা থাকার পরও দেশের মানুষের এ অভিযানের প্রতি শুরু থেকেই একটা সমর্থন ছিল বলে মনে হয়। মাদকের ভয়াবহতার কারণে সমাজ ও রাষ্ট্র যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের মানুষ এর বিরূদ্ধে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃঢ় অবস্থান দেখতে চায়। বিভিন্ন দেশে মাদকবিরোধী অভিযানের ফলে সমাজে সাময়িক স্বস্তি ফিরে আসার নজির ও রয়েছে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায় খুচরা মাদক বিক্রেতা বা বাহকই ধরা পড়ছেন বেশী। প্রকৃত অপরাধী ও গডফাদাররা যাতে ধরা পড়েন দেশের মানুষ সেটিই চায়। দেশের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক মাদকদ্রব্যের নাম হলো ইয়াবা। ওযুদের ছোট বড়ির মত এই নেশা দ্রব্য আসে মিয়ানমার থেকে। এটি সহজে বহনযোগ্য এবং বিক্রয়মূল্য অনেক বেশী, এজন্য সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে ইয়াবা। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা যায় মাদকবিরোধী অভিযান অনেক দেশে পরিচালিত হয়েছে। ব্রাজিল, কলম্বিয়া, ফিলিপাইন, যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, অষ্ট্রোলিয়া, সিঙ্গাপুর প্রভৃতি দেশে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ২০১৪ সালে ব্রাজিল পুলিশ তিন হাজার মানুষকে হত্যা করে। বিগত তিন দশকে কলম্বিয়ায় রেকর্ডসংখ্যক মৃত্যু ঘটেছে। ১৯৯০-২০১৬ পর্যন্ত সাড়ে চার লাখ ছাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র মাদকের বিরূদ্ধে প্রতিবছর ৫১ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে। ফিলিপাইনে ২০১৬ সালে মাদকসংক্রান্ত হত্যাকান্ড ছিল ২০ হাজার। মেক্সিকোতে হত্যাকান্ড ঘটে ১১ হাজারের ও বেশী। ২০১২ সালে প্রায় ৬০ হাজার। ৩৭৬ গ্রাম হিরোইন পরিবহনের অভিযোগে ২০০৫ সালে অষ্ট্রেলিয়ান নাগরিক ভ্যানটন গুয়েইনকে ফাঁসি দেওয়া হয়। সিঙ্গাঁপুরের মাদকবিরোধী আইন অত্যন্ত কঠিন। কেউ মাদক বহন করার বিষয়টি প্রমানিত হলে মৃত্যুদন্ডের বিধান রয়েছে।

সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় মাদকসেবীরা গড়ে প্রতিদিন অন্তত ২০ কোটি টাকার মাদক সেবন করে থাকে, মাসে ৬০০ কোটি টাকা। অন্যদিকে সারাদেশে প্রায় ৩০ লাখ মাদক ব্যবসায়ী প্রতিদিন কমপক্ষে ২০০ কোটি টাকার মাদক কেনাবেচা করে। আমাদের সমাজে সন্ত্রাস,হত্যা ছিনতাই, ইভটিজিং, ধর্ষণ, পরকীয়া, বিবাহ বিচ্ছেদ পারিবারিক কলহ, শিক্ষার নি¤œমান সবকিছুর পিছনে মাদক। এক গবেষনায় দেখা গেছে সমাজের অশান্তির ৮০ ভাগই মাদকের কারণে হয়ে থাকে। সুতরাং মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে দেশের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করতে এবং সামাজিক অস্থিরতা থেকে মানুষকে মুক্ত করার স্বার্থেই।

গবেষণা থেকে জানা যায় দেশে বর্তমানে যুবসমাজের প্রতি ১৭ জনে একজন মাদকাসক্ত। মাদক সেবীদের ৮০ শতাংশই যুবক, তাদের ৪৩ শতাংশই বেকার, ৫০ শতাংশ অপরাধের সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশে শুধু ইয়াবা বড়িই বিক্রি হচ্ছে ৪০ কোটির মতো যার বাজার মূল্য ৬ হাজার কোটি টাকা। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা যায় মাদকাসক্তিরা ২০০ পিতা-মাতাকে ইতিমধ্যে হত্যা করেছে। যে ঘরে একজন মাদকাসক্ত আছে সে ঘরের যন্ত্রনা ঐ পরিবারের সদস্যরা ছাড়া অন্য কেউ বুঝতে পারবেনা। মাদকাসক্ত হওয়ার পেছনে মনোবিজ্ঞানীরা নি¤œলিখিত কারণ গুলোর কথা বলেছেন। (১) বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে (২) নেশার প্রতি কৌতুহল (৩) সহজ আনন্দ লাভের জন্য (৪) হতাশা/বিষাদ/পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্ট (৫) প্রতিকূল পারিবারিক পরিবেশ (৬) ধর্মীয় অনুভূতির অভাব (৭) মাদকের সহজলভ্যতা ইত্যাদি।

দেশে মাদকসেবীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। কিশোর তরুণ থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষ আসক্ত হচ্ছে মাদকে। প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোথাওনা কোথাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। উদ্ধার করা হচ্ছে বিপুল পরিমান ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক। নতুন নতুন কৌশল ও নতুন নতুন রুটে মাদকের চালান আসছে। মাদকের কেনাবেচা বন্ধ করার কোনো বিকল্প নেই। সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে মাদকবিরোধী কার্যক্রমে সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের মাদকবিরোধী কার্যক্রমের কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে। উক্ত কর্মপরিকল্পনায় প্রতিদিন প্রতিটি ক্লাসে প্রথম পিরিয়ডে তিন থেকে পাঁচ মিনিটের মাদকবিরোধী বক্তব্য দেয়ার বিষয় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। সরকারের এ সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী এবং প্রশংসনীয়।

আমাদের দেশে মাদকের সহজলভ্যতাকেই প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হয়। বাংলাদেশের মাদক একটি জাতীয় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। যারা মাদক উৎপাদন ও মাদকের ব্যবসার সাথে জড়িত তারা মানবতাবিরোধী অপরাধী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদের বিরূদ্ধে কথা বলার সময় মাদকের বিরূদ্ধেও কথা বলেন। মাদকের বিরূদ্ধে সবাই সোচ্চার। মিডিয়া থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসন, জেলা মাদক নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর পুলিশ, র‌্যাব মাদক নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখছেন। বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংস্থা, সামাজিক সংগঠন নানা শ্রেণী ও পেশায় নিয়োজিত দেশের মানুষ সম্মিলিত ভাবে মাদক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। দলমত, ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষ মাদকের ভয়বহ আগ্র্র্রাসন থেকে মুক্তি চায়। মাদকবিরোধী অভিযানকে দেশব্যাপি মানুষ প্রশংসার সঙ্গে বিবেচনা করছেন বলে মনে করি। এ অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।

মাদকের বিরূদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান চলার পরও একের পর এক ইয়াবার চালান আটকের ঘটনায় বোঝা যায় ইয়াবা ব্যবসায়ীরা কতটা বেপরোয়া। এই পরিস্থিতিতে সরকার মাদক নিয়ন্ত্রণে নতুন আইন প্রণয়ন করেছে। যা সত্যিই প্রশংসার দাবীদার। ইয়াবা, কোকেন, হেরোইন পরিবহন, কেনাবেচা, ব্যবসা, সংরক্ষণ, উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, হস্তান্তর, সরবরাহ ইত্যাদি অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবনের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিল ২০১৮ পাস করা হয়েছে। অবশ্য বহনের পরিমান অনুযায়ী সাজা কম বেশী হতে পারে। কোনো ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ আইনের অধীন অপরাধ সংঘটনে অর্থ বিনিয়োগ, সরবরাহ, মদদ ও পৃষ্ঠপোষকতা দিলেও একই ধরনের শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। ২৭ অক্টোবর ২০১৮ মহান জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মাদক একটি ভয়াবহ ব্যাধি। এখানে শাস্তি নিশ্চিত না করতে পারলে আমরা পথ হারিয়ে ফেলব, সেজন্য আমরা আইনে অর্থলগ্নি, পৃষ্ঠপোষকতা, মদদদাতা সবাইকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসছি। মাদক নির্মূল করতে না পরলে আমরা রূপকল্প-২০৪১ বা ২০২১ যাই বলি কিছুই অর্জিত হবেনা। মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য খুবই তাৎপর্যের দাবী রাখে।

সময়ের দাবী হলো আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা। মাদক নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বপালনকারী কোনো অসাধু ব্যক্তি যাতে নতুন আইন অপপ্রয়োগের চেষ্ঠা না করেন সেদিকে ও দৃষ্ঠি রাখা দরকার। বিশ^ বিখ্যাত দার্শনিক প্লেটো একবার বলেছিলেন শাসক যেখানে ন্যায়পরায়ণ আইন সেখানে অনাবশ্যক, আর শাসক যেখানে দূর্নীতিপরায়ন আইন সেখানে নিরর্থক। বর্তমান প্রেক্ষাপটে কথাটি আক্ষরিক অর্থে অভ্রান্ত বলে মনে নাও হতে পারে। কিন্তু তার নিগুঢ়ার্থ অস্বীকার করা যায়না। প্রকৃতপক্ষে দেশে আইন ও থাকতে হবে এবং আইনের যথাযথ কঠোর প্রয়োগ ও থাকতে হবে পাশাপাশি আইন বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্ট সকলকেও ন্যায়পরায়ন হতে হবে।

সন্তানকে মাদকাসক্তির হাত থেকে বাঁচাতে মাতাপিতা নি¤œলিখিত পদক্ষেপ নিতে পারেন।

(১) নিজ সন্তানের খোজ খবর রাখতে হবে, সন্তান কার সাথে মিশে, কোথায় যায় বন্ধুবান্ধব কারা, রাত করে বাড়ি ফিরে কি-না এ বিষয়গুলো নজরে রাখতে হবে।

(২) সন্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করতে হবে। নিজেকে সন্তানের কাছে রোল মডেল বা আদর্শ হিসেবে উপন্থাপন করতে হবে।

(৩) নিজে ধুমপান বর্জন করতে হবে।

(৪) সন্তানকে মাদক ও ধুমপানের কুফল সম্পর্কে শিক্ষা দিতে হবে।

(৫) সন্তানকে খেলাধুলা ব্যায়াম বিতর্ক বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে যুক্ত হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করা যেতে পাবে।

(৬) সন্তানদের পত্রিকা পড়া ও বড় বড় মনিষীদের জীবনী পড়তে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

(৭) সন্তানের ভাল লাগা খারাপ লাগাকে গুরুত্ব দিতে হবে। সন্তানের সঙ্গে গুণগত সময় কাটাতে হবে।

(৮) মোবাইল ফোনের অযৌক্তিক এবং অতিরিক্ত ব্যবহারকে যে কোন মূলে নিরুৎসাহিত করতে হবে।

(৯) সন্তানের খরচের জন্য হিসাব করে টাকা দিতে হবে।

মাদকবিরোধী অভিযানকে কার্যকর করতে হলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে আরও বেশী শক্তিশালী করা প্রয়োজন। বিভিন্ন জেলায় মাদক নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের লোকবল বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন সমাজের সচেতন মহল। মৌলভীবাজার জেলার মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায় পূর্বে মৌলভীবাজার জেলার মাদক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ৪টি সার্কেলের মাধ্যমে পরিচালিত হতো। বর্তমানে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের মাধ্যমে মাত্র ৭জন কর্মকর্তা কর্মচারী দিয়ে জেলায় মাদক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। পূর্বে ৪জন ইন্সপেক্টরসহ ২৫জন কর্মকর্তা কর্মচারী ছিল বলে এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে মাদক নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে। প্রতিটি জেলায় প্রয়োজনীয় লোকবল না বাড়ালে প্রত্যাশিত সুফল পাওয়া যাবে না। সমাজ থেকে সবধরণের অনাচার ও অপরাধ দূর করার জন্য চলমান মাদকবিরোধী অভিযান ও সচেতনতা মূলক কর্মসূচী অব্যাহত রাখা সময়ের দাবী। দলমত ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষকে একসঙ্গে এনে মাদকের বিরূদ্ধে সামাজিক জাগড়ন গড়ে তুলতে হবে। পৃথিবীর অনেক দেশ আছে যেখানে ৭০ লাখ মানুষ নেই অথচ বাংলাদেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা ৭০ লাখেরও বেশী। তাই শুধুমাত্র সাজা দিয়েও বাংলাদেশকে মাদকমুক্ত করা যাবে না, সকল কর্মসূচীই অব্যাহত রাখতে হবে। যদি তাই হতো ফিলিফাইন অনেক পূর্বেই মাদকমুক্ত দেশ হয়ে যেত।

বাংলাদেশের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে যুব সমাজ। ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে যুবসমাজের অংশগ্রহণই ছিল বেশি। মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ৮০ ভাগেরও বেশী ছিলেন তরুণ। যাদের বয়স ছিল ৪০ বছরের নিচে। তরুণরা যদি আরও বেশী সমাজ সংস্কারে ও সামাজিক উন্নয়নে সম্পৃক্ত থাকেন, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয় তাহলে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে বেগ পেতে হবে না। দেশ উন্নত দেশের কাতারে সামিল হবেই। মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে দেশ মাদকমুক্ত হবে দেশের মানুষ তাই প্রত্যাশা করে।

লেখক ব্যাংকার ও কলামিষ্ট মৌলভীবাজার।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com