মাদক ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে: এমসি কলেজে র‌্যাব পরিচালক

August 18, 2018,

বিশেষ প্রতিনিধিঃ সিলেট মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজে অনুষ্ঠিত হয়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক সমন্বয় সভা। শিক্ষার সুষ্টু পরিবেশ সংরক্ষণ ও শ্রেণীকক্ষে শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করার লক্ষে ১৬ আগস্ট বৃহস্পতিবার বৃহস্পতিবার কলেজ মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার মূল প্রতিপাদ্য ছিল- মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে না বলার আহ্বান।

কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নিতাই চন্দ্র চন্দের সভাপতিত্বে ও উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক শাহনাজ বেগমের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব) ৯ এর পরিচালক আলী হায়দার আজাদ আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন  অর্থনীতি বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক মো. তোতিউর রহমান। প্রধান বক্তার বক্তব্যে র‌্যাব-৯ এর পরিচালক আলী হায়দার আজাদ আহমেদ বলেন, একজন শিক্ষার্থী একটি পরিবার এবং একটি দেশে প্রত্যাশা পূরণের দায়িত্ব নিয়ে বেড়ে ওঠে। তাই গুজব এবং প্ররোচনায় আক্রান্ত হয়ে দেশের ক্ষতি হয় এমন কাজে নিজে বা কোনো সহপাঠি যেন না জড়িয়ে যায় সেদিকে সচেতনভাবে সবার লক্ষ্য রাখতে হবে।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে র‌্যাব-৯ পরিচালক বলেন, বর্তমান সময়ে মাদক ও জঙ্গিবাদ একটি বড় সমস্যা। এ সমস্যা থেকে শুধু নিজে দূরে থাকলেই চলবে না, সবাই মিলে মাদক ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, যে কাজটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একার পক্ষে দুরূহ সেই কাজটিই অত্যন্ত সহজ হয়ে যায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অংশগ্রহণে। আজকের শিক্ষার্থীরা যদি শপথ নেন, কোনোভাবেই মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে জড়াবে না এবং প্রশয়ও দেবে না, তাহলে এদেশে আর মাদক বা জঙ্গিবাদের অস্তিত্ব থাকবে না। এই দায়িত্বটি তাই সবার নিতে হবে।

তিনি বলেন, শিক্ষার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে মানবতার কল্যাণে কাজ করা। এজন্য মাদক, সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদকে না বলতে হবে। শিক্ষার পরিবেশ যাতে বজায় তাকে সেজন্য শৃঙ্খলাকে গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষা হোক বা রাজনীতি সবই হতে হবে দেশের কল্যাণে।

এমসি কলেজের ছাত্রবাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এমন কাজ যারা করে তারা একই সাথে শিক্ষক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পিতা-মাতার সুনাম নষ্ট করে এবং নিজের জীবনকেও অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ নিতাই চন্দ্র চন্দ সিলেট এমসি কলেজের দীর্ঘ ঐতিহ্যের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শিক্ষার্থীর সুনামের সাথে জড়িয়ে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের সুনামের বিষয়টি। একজন শিক্ষার্থীরও ক্ষতি হওয়ার মানে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হওয়া, দেশের ক্ষতি হওয়া।

তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনার সন্তান কোনোভাবে সন্ত্রাস, মাদক বা জঙ্গিবাদে জড়িয়ে যাচ্ছে কি না সে বিষয়ে আপনাদেরও নজরদারি থাকতে হবে। আপনার সন্তান শ্রেণিকক্ষে নিয়মিতভাবে উপস্থিত থাকছে কি না তারও খোঁজ রাখতে হবে।

শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সমন্বয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশে ধরে রাখার পাশাপাশি সুখি ও সমৃদ্ধ দেশ গঠনে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।

সভায় সকল বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com