মাদরাসার আয়াকে দিয়ে মিথ্যা মামলা, সভাপতিসহ দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আদালতে প্রতিবেদন
জুড়ী প্রতিনিধি॥ জুড়ীতে নয়াগ্রাম শিমুলতলা দাখিল মাদ্রাসার জায়গা নিয়ে দ্বন্দ্বে অন্যকে ফাঁসানোর জন্য মাদ্রাসার সভাপতি মনিরুল ইসলাম আয়াকে দিয়ে মিথ্যা মামলা করানোর বিষয়ে মাদ্রাসার সভাপতিসহ দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে তদন্ত কর্মকর্তা।
সোমবার ২৯ মে সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জুড়ী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (অতি: দায়িত্ব) শাহেদা আকতার।
জানা যায়, নয়াগ্রাম শিমুলতলা দাখিল মাদ্রাসার আয়া তকলিমা বেগম ঐ মাদ্রাসায় নিয়োগ পান কয়েক মাস আগে। মাদ্রাসার জমি নিয়ে স্থানীয় একজনের সাথে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সুপার ও সভাপতির দ্বন্দ্ব চলছিল।
দ্বন্দের এক পর্যায়ে সুপার ও সভাপতি তকমিনাকে বেতন সংক্রান্ত কাজ আছে বলে মৌলভীবাজার আদালতে নিয়ে যান। সেখানে কয়েকটি কাগজে তকলিমার স্বাক্ষর নেন। স্বাক্ষর নেওয়ার পর তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আদালতে একই গ্রামের মঈনুল ইসলাম মনু মাষ্টারের ছেলে জুমন মিয়ার নামে নারী নির্যাতন মামলা করান।
পরে তিনি জানতে পারেন জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তাকে দিয়ে নারী নির্যাতনের মামলা করানো হয়েছে। পরবর্তীতে সুপার ও সভাপতির সাথে এই মামলার বিরুদ্ধে কথা বলায় এবং মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করায় তার বেতন বন্ধ করে দেয় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
বেতন বন্ধের বিষয়টি সুরাহার জন্য আয়া তকমিনা বেগম জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে আবেদনে এসব অভিযোগ করেন। আরও জানা যায়, বেতন ভাতা বন্ধ হওয়ায় বিগত পবিত্র ঈদুল ফিতরে শারীরিক প্রতিবন্ধী স্বামী ও ছেলে-মেয়েদেরকে নিয়ে মানবতার জীবন যাপন করেছেন তিনি।
এদিকে ওই নারী নির্যাতন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জুড়ী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (অতি: দায়িত্ব) শাহেদা আকতার সম্প্রতি আয়াকে দিয়ে মিথ্যা মামলা করানোর সত্যতা পাওয়ায় মাদ্রাসার সভাপতি মনিরুল ইসলামসহ দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জুড়ী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (অতি: দায়িত্ব) শাহেদা আকতার বলেন, আয়াকে দিয়ে মিথ্যা মামলা করানোর সত্যতা পেয়েছি। সত্যতা পাওয়ায় মাদ্রাসার সভাপতি মনিরুল ইসলামসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
মন্তব্য করুন