মাধবকুন্ড জলপ্রপাত কবে পর্যটকদের জন্য ফের উন্মুক্ত হবে?

August 13, 2017,

বিশেষ প্রতিনিধি॥ মাধবকুন্ড জলপ্রপাত ও ইকোপার্ক দেশের সর্ববৃহৎ জলপ্রপাত। জলপ্রপাতের সৌন্দর্য্য উপভোগ করার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার পর্যটকরা প্রতিদিন ভিড় করতো। লোকে লোকরন্য হয়ে যেত এলাকাটি। পর্যটকদের পদচারনায় যে এলাকাটি প্রতিনিদিন সরগরম থাকতো সেই এলাকাটি বিগত ২ মাস থেকে নিস্বব্ধ। কারণ পাহাড়ি ঢল আর ভারি বর্ষণে অভ্যন্তরীণ রাস্তায় ফাটল ও ধস দেখা দিলে ২১ জুন থেকে বনবিভাগ এ পর্যটন কেন্দ্রটির প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়। কর্তপক্ষের নিষেধাজ্ঞা জারির কারণে নানা প্রতিকুলতা ডিঙিয়ে দুর দুরান্তের পর্যটক মাধবকুন্ড এলাকায় পৌছেও জলপ্রপাত না দেখেই ফিরে যেতে হয় বাধ্য হয়ে। গত ঈদুল ফিতরে মাধবকুন্ডের সৌন্দর্য উপভোগ থেকে বঞ্চিত হন প্রকৃতিপ্রেমীরা। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এসএম মনিরুল হক ১০ আগষ্ট ইকোপার্কের প্রধান ফটক উন্মুক্ত করার আশ্বাস দিলেও পর্যটন সংশ্লিষ্টদের মাঝে স্বস্তি দেখা দিলেও শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন না করায় ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের ভারি বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে মাধবকুন্ড জলপ্রপাতের অভ্যন্তরীণ রাস্তায় ফাটল, যাতায়াতের সিড়ির নিচের কিছু মাটি দেবে যায়। এতে রাস্তাটি ঝুকিপুর্ণ হয়ে উঠে। অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয় প্রশাসন ২১ জুন থেকে মাধবকু-ের অভ্যন্তরে পর্যটক প্রবেশ বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে দেশের অন্যতম এ পর্যটন এলাকাটি। কিন্তু ঈদুল ফিতরের আনন্দ উপভোগে হাজার হাজার পর্যটক মাধবকুন্ডে ছুটলেও ভেতরে প্রবেশ করতে না পেরে অনেকে বন্ধ ফটকের সামনে সেলফি তুলেই জলপ্রপাত দেখার স্বাদ মিটিয়ে নেন।
পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ বন বিভাগের উদাসীনতায় দীর্ঘ দুই মাসেও অভ্যন্তরীণ রাস্তার মেরামত কাজ সম্পন্ন হচ্ছে না। সঠিক উদ্যোগ ও সমন্বয়হীনতার কারণে দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রটির নাম দেশের মানুষ আজ ভুলতে বসেছে।
ব্যবসায়ী এনাম উদ্দিন, আব্দুল হান্নান, ইমরান আহমদ, হেলাল উদ্দিন জানান, রাস্তায় সামান্য ফাটল ও ধসের কারণে ইকোপার্কের গেট বন্ধ করে দেয়ার যুক্তি তাদের বোধগম্য নয়। যখন রাস্তাঘাট পাকা ছিল না, এরচেয়ে অনেক খারাপ অবস্থায়ও মানুষজন মাধবকুন্ডে যাতায়াত করেছে।
স্থানীয় আদিবাসি গ্রাম প্রধান ওয়ানবর এল গিরি জানান, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এসএম মনিরুল হক ১০ আগষ্ট ইকোপার্কের গেট খুলার আশ্বাস দিলেও খুলে দেয়া হয়নি।
সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস জানান, রাস্তার মেরামত কাজ ও দুর্ঘটনা এড়াতে ২১ জুনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার অফিস আদেশে ইকোপার্কের প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করা হয়। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ১০ আগষ্ট খুলে দেয়ার আশ্বাস দিলেও সংস্কার কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। তবে আগামী ঈদুল আজহার আগে মাধবকুন্ড ইকোপার্ক পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়ার চেষ্টা চলছে।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com