মাধবকুন্ড জলপ্রপাত টিলায় ফাঁটল, ঝুঁকিতে পর্যটকেরা
বিশেষ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় অবস্থিত মাধবকুন্ড জলপ্রপাতে টিলায় ফাটল দেখা দেওয়ায় পর্যটকেরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন।
বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ১৭ মে থেকে ১৮ মে পর্যন্ত টানা ভারী বর্ষণে জলপ্রপাতের ভেতরে পানি পড়ার স্থানে যাওয়ার রাস্তার এক পাশের একটি টিলায় ফাটলের সৃষ্টি হয়। এ সময় ভূমিধসে জলপ্রপাতের পানি পড়ার স্থানে পর্যটকদের বিশ্রাম নেওয়ার একটি ছাউনি, পর্যটক পুলিশের (ট্যুরিস্ট পুলিশ) চৌকি ও একটি শিবমন্দির ভেঙে পড়ে। পরে ২১মে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে দিনভর বৃষ্টি হওয়ায় টিলায় ফাটল আরও বেড়ে যায়।
সরেজমিনে সম্প্রতি দেখা গেছে, টিলার প্রায় ৩০ শতক জায়গাজুড়ে প্রায় এক ফুট চওড়া ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে নিচের সড়কটি মূল সড়ক থেকে প্রায় দুই ফুট দেবে গেছে। সেখানে লাল পতাকা টানিয়ে রাখা হয়েছে। বেড়াতে আসা পর্যটকেরা ওই সড়ক দিয়েই হেঁটে জলপ্রপাতের পানি পড়ার স্থানে যাচ্ছেন।
চট্রগ্রামের খাতুনগঞ্জ এলাকা থেকে সপরিবারে বেড়াতে আসা বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী ফাটল দেখে চমকে উঠেন। পরিবারের সদস্যদের তিনি ধরে ধরে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানটি পার করে দেন।
মাধবকুন্ডে দায়িত্বে থাকা পর্যটক পুলিশের (ট্যুরিস্ট পুলিশ) সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোঃ ফিরোজ মিয়া বলেন, প্রতিদিন তিন-চার হাজার পর্যটক মাধবকুন্ডে বেড়াতে আসেন। সামনে ঈদুল ফিতর। তখন পর্যটকদের সংখ্যা আরও বাড়বে। টিলায় ফাটল দেখা দেওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানটি সাবধানে অতিক্রম করতে পর্যটকদের পরামর্শ দেওয়া হয়।
মাধবকুন্ড ইকোপার্ক দেখভালের দায়িত্বে থাকা বন বিভাগের বড়লেখা রেঞ্জে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা জুড়ী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল মোজাহীদ মুঠোফোনে বলেন, ‘টিলাটি যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’
বড়লেখার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এস এম আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘টিলাটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠায় নিচের সড়ক দিয়ে পর্যটকদের চলাচল বন্ধ করার চিন্তা করা হয়েছিল। কিন্তু, দূর-দুরান্ত থেকে বেড়াতে আসা পর্যটকদের তখন জলপ্রপাত না দেখে ফিরে যেতে হবে-সে কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে এমন ব্যবস্থা নিতে হবে।’
মন্তব্য করুন