মাধবকু- জলপ্রপাতে ঈদ আনন্দে ভ্রমন পিপাসুরা মাতোয়ারা
আব্দুর রব॥ ঈদ আনন্দে মাধবকু- জলপ্রপাতে প্রকৃতি প্রেমীরা যেন মাতোয়ারা হয়ে উঠে। ঈদের দিন মঙ্গলবার বিকেল থেকে ভ্রমন পিপাসুরা যেন বাঁধ ভাঙ্গা উচ্ছাসে মেতে উঠে। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার মাধবকু- পর্যটন এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। এবার অভ্যন্তরীণ সড়কটি যানবাহন চলাচলের অত্যন্ত উপযোগি, ঈদ উপলক্ষ্যে স্থানীয় বনবিভাগের পুর্বপ্রস্তুতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এনাম উদ্দিনের সার্বক্ষণিক নজরদারীতে এবার পর্যটকরা মাধবকু- ভ্রমনে বাড়তি আনন্দ উপভোগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে মাধবকু- জলপ্রপাত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, টানা ঈদের ছুটিতে পাহাড়, ঝর্ণা চা বাগান ও বৈচিত্র্যময় প্রকৃতি উপভোগ করতে সেখানে হাজার হাজার পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঈদের দিন থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস এবং বাস-ট্রাক বোঝাই করে মাধবকু- জলপ্রপাতে পর্যটকরা আসতে থাকেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় ভ্রমণপ্রিয় মানুষের ভিড় প্রায় দ্বিগুন। অত্যাধিক পর্যটক সমাগমে পর্যটন এলাকার ব্যবসায়ীদের মূখে হাসি ফুটেছে।
বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন রায় জানান, নির্বিঘেœ মাধবকু- জলপ্রপাত ও ইকোপার্কে
ভ্রমনে আসা প্রকৃতিপ্রেমীদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয়ে এক সপ্তাহ পুর্ব থেকে প্রস্তুতি নেয়া হয়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এনাম উদ্দিন জানান, মাধবকু-ে বেড়াতে আসা পর্যটকরা আসাধু ব্যবসায়ী দ্বারা যাতে হয়রানীর শিকার না হন সেজন্য তিনি প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে প্রতিটি জিনিসের ন্যায্য মূল্যের তালিকা টানানো বাধ্যতামুলক করেছেন। এছাড়া দুরদুরান্তের পর্যটক যাতে কোন ধরনের সমস্যায় না পড়েন সেজন্য তিনি মাধবকু-ে সার্বক্ষণিক অবস্থান করছেন।
থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুর রহমান বৃহস্পতিবার বিকেলে জানান, মাধবকু- জলপ্রপাতে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় পর্যটন পুলিশসহ সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করায় কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
মন্তব্য করুন