মেয়ের বাড়ি ইফতারী দেয়ার রেওয়াজের কারনে কমলগঞ্জে ক্রেতা আকর্ষনে দোকান সমুহে বাহারি ইফতারির সমাহার

June 16, 2016,

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥ সিলেটের যুগ যুগ ধরে চলে আসা রেওয়াজ হচ্ছে রমজান মাসে মেয়ের বাড়ি ইফতারি প্রদান। আর এই কারনে বাজারের দোকানীরা ক্রেতা আকর্ষনে শুরু হয়েছে বাহারি নমুনার ইফতার সামগ্রীর সমাহার। হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও রাস্তার ধারের ইফতারির পসরা সাজিয়ে বসা দোকান সমুহে এ ধরনের চিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ভানুগাছ বাজার, আদমপুর, মুন্সিবাজার, শমশেরনগরসহ বিভিন্ন হাটবাজারে এভাবে ইফতারির বাহারি নমুনা দেখা গেছে।
১৬ জুন বৃহস্পতিবার কমলগঞ্জ উপজেলার হাটবাজার ঘুরে দেখা যায়, হোটেল, রেস্টুরেন্ট সমুহে মিষ্টি, নিমকী, জিলাপি, পিয়াজি, বেগুনী, আলুর চপ সহ নানা প্রকার রকমারী ইফতারী তৈরী হচ্ছে। ক্রেতা আকর্ষনে কোন কোন প্রতিষ্ঠানে বাহারি নমুনার ইফতারি তৈরী করা হচ্ছে। দুপুরের পর থেকেই এসব প্রতিষ্ঠানে ইফতার ক্রয়ে মানুষের ভীড় জমে ওঠে। মেয়ের বাড়ি ইফতারি প্রদান নিয়ে অধিকাংশ পরিবার সমুহে হৈচৈ শুরু হয়। এতে কয়েক হাজার টাকার ইফতার সামগ্রী কন্যাপক্ষ তার মেয়ের শশুড় বাড়ি নিয়ে যান। বিশেষ করে রমজান মাসের মধ্যবর্তী সময়ে ইফতারির তোড়জোড় শুরু হয় খুব বেশী। স্থানীয় লোকজন জানান, সুদীর্ঘকাল ধরে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী প্রচলিত এই নিয়ম পালিত হয়ে আসছে। জৈষ্ঠ্য মাসে আম-কাঁঠাল দিতে নাম দেওয়া হয়েছে ‘জৈঠারী’। আর রমজান মাসে মেয়ের বাড়ি দেয়া হয় ইফতারি। এটা পূর্বেকার সময় থেকে ধারাবাহিকভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে হাটবাজারে হোটেল, রেস্টুরেন্টগুলোতে ইফতারির বাহারি নমুনা তৈরি হচ্ছে। আর শুধু রমজান মাসেই লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে হোটেল-রেস্তোরা সমুহ। এদিকে একাধিক স্বল্প আয়ের মানুষের সাথে আলাপ করলে তারা জানান, প্রচলিত এই নিয়ম রক্ষা করতে দায়গ্রস্ত পিতাকে চরম মূল্য দিতে হচ্ছে। যথাসময়ে মেয়ের বাড়ি ইফতারি প্রদান করতে গিয়ে অনেকে ঋণের আশ্রয় নিতে হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com