মোগল স্থাপত্যের আদলে নবনির্মিত কুলাউড়ার ঐতিহ্যবাহী রবিরবাজার জামে মসজিদের উদ্বোধন
এইচ ডি রুবেল॥ কুলাউড়া উপজেলায় প্রায় আড়াইশত বছর পুর্বে পৃথিমপাশার (ছোটসাহেব বাড়ীর) বেগম তালেবুন নেছা খাতুনের নিজস্ব উদ্যোগে প্রথম প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী রবিরবাজার জামে মসজিদের মোগল এবং ইসলামী স্থাপত্যের আদলে আধুনিকভাবে টাইলস্ ও মার্বেল পাথরের কারুকাজ খচিত নব নির্মিত জামে মসজিদের (১ম ভাগ) উদ্বোধন করা হয়েছে। ২৮ মে শনিবার বিকেলে আলোচনাসভা, মিলাদ, দোয়া ও শিরণী বিতরণের মধ্য দিয়ে নতুন মসজিদের মূল ভবনের (১ম পর্যায়ের গ্রাউন্ড ফ্লোর ও ১ম তলার) উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বিশিষ্ঠ আলেম আল্লামা নজমুদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী।
রবিরবাজার মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট নওয়াব আলী আব্বাছ খানের সভাপতিত্বে ও মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মো. ইয়াছিন আলীর পরিচালনায় উদ্বোধনীতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুলাউড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা ফজলুল হক খান সাহেদ, রবিরবাজার জামে মসজিদের খতিব ও রবিরবাজার আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা আব্দুল জব্বার, লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারঃ) আতাউর রহমান, মসজিদ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান আলী এন্ড এ্যাসোসিয়েট’র সত্ত্বাধিকারী প্রকৌশলী মতছিন আলী, টিলাগাঁও ইউপির নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল মালিক, রাউৎগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জামাল, কর্মধা ইউপি চেয়ারম্যান এমএ রহমান আতিক, পৃথিমপাশা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান, বিএনপি নেতা নবাব আলী তাকি খান, বিশিষ্ঠ আলেম হাফিজ আনছার উদ্দিন, বাবনিয়া মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আহসান উদ্দিন, রবিরবাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল মনাফ মেম্বার, মসজিদের প্রধান মোয়াজ্জিন হাফিজ আবুল কালাম প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন রবিরবাজার মসজিদ পরিচালনা কমিটির সম্পাদক ও অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজ।
উল্লেখ্য পুরাতন মসজিদে মুসল্লিদের নামাজের স্থান সংকলান না হওয়ায় মসজিদ পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে ২০১৩ সালের শেষ দিকে এলাকার বিভিন্ন লোকজনের দানকৃত জমি ও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের আর্থিক সহযোগিতায় নতুনভাবে স্থায়ী পরিকল্পনা অনুযায়ী ৫তলা বিশিষ্ঠ প্রায় ১ লক্ষ বর্গ ফুেটর অধিক আয়তনের সিলেট বিভাগের মধ্যে ব্যায়বহুল অপূর্ব বিরল নির্মাণশৈলীর বৃহত্তর এ মসজিদ ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার নতুন ৫তলা বিশিষ্ঠ মসজিদের সামনের অংশ হবে দু’তলা। মসজিদের উপরে ৫০ ফিট উচ্চতার ২টি মিনারা, ৭টি গোলাকার গম্বুজ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য সিসি টিভি,মসজিদের ডানদিকে গাড়ির পাকিং ব্যবস্থা, প্রতি তলায় অজুর ব্যবস্থা ও সু-বিশাল টয়েলেট এবং একপাশে মহিলাদের জন্য নামাজের ব্যবস্থা থাকবে। প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যায়ে মসজিদটির সম্পূর্ণ নির্মাণকাজ শেষ হলে একসাথে প্রায় ১০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। মসজিদ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান আলী এন্ড এ্যাসোসিয়েট’র সত্ত্বাধিকারী প্রকৌশলী মোঃ মতছিন আলী জানান, এ মসজিদ নির্মাণে অত্যন্ত যতœ সহকারে আধুনিকতার ছোয়ায় সকল কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন