(ভিডিওসহ) মৌলভীবাজারে বুর্জ খলিফার আদলে পূজামন্ডপের গেট, আজ মহাষষ্ঠী
স্টাপ রিপোর্টার॥ ঋতু বৈচিত্র্যের ধারাবাহিকাতায় প্রকৃতিতে বইছে পূজার আগমনী বার্তা। দেবীদূর্গা আসছেন। ঢাক, ঢোল, শঙ্খধ্বনি আর উলুধ্বনির মধ্য দিয়ে দেবীদূর্গাকে বরণ করে নেওয়ার অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্তরা। সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবকে পরিপূর্ণ রূপ দিতে শারদ প্রাঙ্গনে চলছে দেবী বরণের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
শুক্রবার ৩০ সেপ্টেম্বর মহাপঞ্চমীতে দেবীর বোধন ও পরের দিন মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে পূজার মূল আনুষ্ঠিকতা। ৫ অক্টোবর বুধবার দশমীতিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে দুর্গোৎসব।
মৌলভীবাজার জেলায় এবার ১ হাজার ৭টি মন্ডপে দুর্গাপূজা হবে। ইতোমধ্যে জেলায় এই উৎসব ঘিরে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি প্রতিটি শারদ প্রাঙ্গনে।
৩০ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজার শহরের বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি মন্ডপ সজ্জায় ব্যস্ত সাজসজ্জায় নিয়োজিত কর্মীরা। কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি, রামকৃষ্ণ মিশন, আখড়া ও দুর্গাবাড়ীসহ সৈয়ারপুরের ত্রিণয়নী ও আবাহন এবং গীর্জাপাড়ার মহেশ্বরীতে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ।
প্রতিমা শিল্পীর সুনিপুণ হাতের ছোঁয়ায় দেবীদুর্গার পূর্ণ অবয়ব দিয়ে যাচ্ছেন তারা একাগ্রচিত্তে। ইতোমধ্যেই প্রতিমার রঙ ও সাজসজ্জার পাশাপাশি ছোট-বড় বিভিন্ন মন্ডপের মঞ্চ, প্যান্ডেল, তোরণ নির্মাণের কাজ শেষ হয়েগেছে। কোথাও চলছে শুধু সাজসজ্জা, সাউন্ড ও লাইটিংয়ের কাজ। এ উপলক্ষে জেলার প্রতিটি মন্ডপে ব্যস্ত সময় পার করছেন আয়োজকেরা।
ত্রিণয়নী পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রীকান্ত সূত্রধর বলেন, ‘ত্রিণয়নী পূজা মন্ডপের এবারের থিম বুর্জ খলিফার আদলে ১২০ ফুট উচ্চ নান্দনিক বাঁশ ও কাপড়ের তৈরি টাওয়ার। দুর্গোৎসবকে পরিপূর্ণ রূপ দিতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
মহেশ্বরী পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দেবাশীষ রায় বলেন, ‘সবসময়ই নতুনত্ব কিছু করার চেষ্টা করি, এ ধারবাহিকতায় এবারও সাত্ত্বিক পূজার্চনার পাশাপাশি বর্নিলভাবে মন্ডপ সাজিয়েছি।’
শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দূর্গোৎসব পালনের জন্য কেন্দ্রীয় নির্দেশনার আলোকে নিজেদের নানান প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন বলে জানান, সদর পূজা উদযাপন কমিটির সম্পাদক সুমেশ দাস যীশু।
জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সুত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলায় এবার ১ হাজার ৭টি পূজা মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ মধ্যে সদরে ১০৮টি, বড়লেখায় ১৫১টি, জুড়িতে ৭২টি, কুলাউড়ায় ২২০টি, কমলগঞ্জে ১৬০টি, রাজনগরে ১২৮টি ও শ্রীমঙ্গলে ১৬৭টি পূজা মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যেকোন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা পুলিশের যে সক্ষমতা আছে, সেটা সর্বোচ্চ ব্যবহার আমরা করব। জেলা ও উপজেলার পূজা কমিটির সাথে আমরা মিটিং করেছি একাধিকবার। আমরা প্রতিটি পূজা ম-পে দু’জন সেচ্ছাসেবকের জন্য সিকিউরিটি সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ, আনসার ও মাঠে থাকবে র্যাব। তাছাড়া সাদা পোষাকে কাজ করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম।
মন্তব্য করুন