মৌলভীবাজারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত হলেই অভিভাবক তলব
স্টাফ রিপোর্টার॥ জঙ্গি কর্মকান্ড আর সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ এখন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাঁধে। তাই মৌলভীবাজারের শিক্ষার্থীদের পূর্ণ কার্যক্রম ও গতিবিধি উপর নজরধারী ও কোন শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত হলেই অভিভাবককে তলবের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তথ্য নিয়ে জানা যায়, জেলার কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা, রাজনগর, শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ উপজেলার সব কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরীর কাজ শুরু হয়েছে। অপর দিকে নজরদারি চলছে সন্দেহভাজন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর। আর শিক্ষার্থীদের বিপথগামীতা রোধে সংস্কৃতি আর নৈতিকতা শিক্ষার ওপর জোর দিয়েছেন জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাবিদরা। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের আচরণ নজরধারী করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকলেই শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের ডেকে তার সম্পর্কে তথ্য চাওয়া হবে। কেউ কোনো ধরনের উগ্রপন্থায় যুক্ত হলে কাউন্সিল টিমের কাছে পাঠানো হবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মৌলভীবাজারের একাধিক শিক্ষাবিদরা বলছেন, চলমান সমাজব্যবস্থার নানা অস্থিরতা, বাড়াচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদ ও হতাশা। আর এই সুযোগে তরুনদের আবেগকে বিপথে নিচ্ছে সুযোগসন্ধানীরা। শফিকুর রহমান নামের এক অভিভাবক জানান, তাঁর ছেলে মৌলভীবাজার সরকারী কলেজে পড়ে। তিনি নিজ উদ্বেগে ছেলেকে পরামর্শ দিচ্ছেন। সম্প্রতি দেশে জঙ্গি তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় ছেলের পড়াশুনা নিয়ে আশংকায় ভুগছেন। এদিকে জেলার জুড়ী টিএনখানম ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ ফরহাদ আহমদ বলেন, দেশে একের পর এক জঙ্গি হামলা আর হত্যাকান্ড। যার সবগুলোতেই প্রমান মিলছে উচ্চশিক্ষিত তরুনদের জড়িত থাকার। যাদের বেশীরভাগই সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এ জন্য শিক্ষার্থীদের গতিবিধির উপর নজরদারী বাড়ানো হয়েছে। কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সৌম্য প্রদীপ ভট্রাচার্য সজল বলেন, এখন থেকে একাডেমিক মনিটরিং করার পাশাপাশি তাদের আচরণ, চলাফেরা ইত্যাদি মনিটরিং করা হবে। উল্লেখ্য, জঙ্গি কর্মকান্ডের সাথে জড়িত দেশের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সনাক্ত করেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। তাই শিক্ষার্থীদের নজরধারীর ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মন্তব্য করুন