(ভিডিওসহ) মৌলভীবাজারের শেরপুরে সৌখিন পোষা কবুতর ও পাখি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
স্টাফ রিপোর্টার॥ মৌলভীবাজারের সদর উপজেলার শেরপুরে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সৌখিন পোষা কবুতর ও পাখি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুত্রুবার ২৫ মার্চ দিনব্যাপী আজাদ বখত উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ ক্যাম্পাসে ‘পিজন এন্ড বার্ড লার্ভাস ক্লাব’ এর উদ্যোগে পাখি প্রদর্শনীর সমাপনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুস ছামাদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা রহমান, খলিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মিয়া চৌধুরী, খলিলপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান অরবিন্দ পোদ্দার বাচ্চু, আজাদ বখত উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, ন্যাশনাল পিজিয়ন এসোসিয়েশন বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক কোরেশি মোঃ তানভির হাসান, পিজন এন্ড বার্ড লার্ভাস ক্লাব এর সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান (মেম্বার), সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান।
আরুশ এভিয়ারী ও আরুশ ফেন্সি পিজিয়ন লফ্ট এর সৌখিন মালিক প্রদ্যুৎ দাস জানান, তিনি প্রথমবারের মত প্রদর্শনী অংশগ্রহন করেন। মানুষের আগ্রহ দেখে উৎফুল্ল হয়েছি ও পাখি রক্ষক হিসেবে অনুপ্রাণিত হয়েিেছ। তিনি প্রদর্শনীতে ৯ প্রজাতির কবুতর ও ৮ প্রজাতির পাখি নিয়ে আসেন। তবে তার বাড়িতে কবুতর ও পাখি মিলে অর্ধশতাধিক প্রজাতি রয়েছে।
মোঃ আব্দুল জলিল জানান, ব্যবসার পাশাপাশি কবুতর ও পাখি পালন করছেন। কবুতর ও পাখি পালন যেমন সৌখিনতা রয়েছে তেমনি এর থেকে বাড়তি আয় ও নিজেকে কর্মে ব্যস্ত রাখা যায়।
দর্শনার্থী সৈয়দ আকরাম ওয়াসিম অভি, রায়হান আলী সজিব, সারমিন সুলতানা এলিন জানান, এই প্রথম একসাথে নানা প্রজাতির কবুতর ও পাখি দেখে তারা মুগ্ধ হয়েছেন। তারা পাখি ও কবুতর পালনে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পিজন এন্ড বার্ড লার্ভাস ক্লাব, মৌলভীবাজার এর সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান (মেম্বার) জানান, প্রদর্শনীতে সৌখিন পোষা কবুতর ও পাখি নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ৮০ জন সৌখিন মালিক আসেন। প্রদশর্নীতে দেশী-বিদেশী ১১০ প্রজাতির কবুতর ও ৩০ প্রজাতির পাখি স্থান পায়। তিনি আরও বলেন যুব সমাজকে মাদকাসক্ত না হতে এবং নিজ উদ্যোগে কবুতর পালনের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বেকারত্ব লাগব করার নিমিত্তেই তাদের এই আয়োজন।
প্রদর্শনীতে ৫ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা দামের কবুতরও উঠেছে। প্রর্দশনী স্থানে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষের উপচে পড়া ভীড় ছিল লক্ষণীয়।
মন্তব্য করুন