মৌলভীবাজারের ৫ উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির উপকারভোগীর তালিকা চুড়ান্ত হয়নি

September 29, 2016,

এইচ ডি রুবেল॥ মৌলভীবাজার জেলার ৫টি উপজেলা কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা, রাজনগর ও সদরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি জন্য উপকারভোগীদের তালিকা চূড়ান্ত হয়নি। ইতোমধ্যে কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলাতে এই কর্মসূচি চালু হয়েছে। কিন্তু ৫টি উপজেলায় কর্মসূচি বাস্তবায়নে ধীরগতির কারণে হতদরিদ্র মানুষ ১০ টাকা কেজি দরে চাল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পল্লীরেশনিং কার্যক্রমের আওতায় কুলাউড়ায় ১১ হাজার ৭৫০, জুড়ীতে ৫ হাজার ও বড়লেখায় ৭ হাজার ২৯২টি হতদরিদ্র পরিবার ১০ টাকা কেজি দরে চাল পাবে। বছরে মার্চ, এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এই ৫মাসে এ কর্মসূচি চালু থাকবে।
সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ইউনিয়নের উপকারভোগী নির্বাচন কমিটির সভাপতি হলেন উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা এবং সদস্য সচিব সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সচিব। ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সদস্যরা এ কমিটির সদস্য। এ ছাড়া যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি হলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদস্য সচিব উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক।
কুলাউড়ার শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জোনাব আলী বলেন, আমার ইউনিয়নে ৮৩৫ হতদরিদ্র পরিবার খাদ্য সহায়তা পাবে। এসব পরিবার নির্বাচন করতে গিয়ে দেরি হয়ে গেছে। দুই-তিন দিনের মধ্যেই তালিকা জমা দেব। এছাড়া হাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চু জানান, সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাকে সভাপতি করায় তালিকা তৈরিতে বিলম্ব হচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তা কর্তৃক হতদরিদ্র পরিবার নির্বাচন করা দুষ্কর। সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানদের প্রক্রিয়ার অন্তর্ভূক্ত করা উচিত ছিলো। এনিয়ে জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।
জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কুলাউড়ার খাদ্যনিয়ন্ত্রক আবদুন নূর জানান, কুলাউড়ার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে শুধু বরমচাল ও ভাটেরার উপকারভোগীদের তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। জুড়ীর ছয়টি ইউনিয়নের তালিকা পাওয়া গেছে। উপজেলা কমিটির সভায় তা চূড়ান্ত হবে। আর বড়লেখার ১০টি ইউনিয়নের তালিকা এখনও মেলেনি। তবে ৩ উপজেলাতেই ডিলার নিয়োগের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। উপকারভোগী মানুষের তালিকা চূড়ান্ত হলেই এ কর্মসূচি চালু হয়ে যাবে। তবে কবে নাগাদ চুড়ান্ত হবে? তার কোন সঠিক বা সম্ভাব্য তারিখ জানেন না। মৌলভীবাজারের জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক সুমাইয়া নাজনীন জানান,
২১ বধুবার সেপ্টেম্বর থেকে জেলার ৭টি উপজেলার মধ্যে শুধু কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করা গেছে। উপকারভোগী মানুুষের তালিকা চূড়ান্ত না করায় বাকি ৫টি উপজেলাতে তা চালু করা যাচ্ছে না।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com