শ্রীমঙ্গলে অত্যাধুনিক রশনী অটো রাইস মিলের যাত্রা শুরু
স্টাফ রিপোর্টার॥ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাতগাঁও এলাকায় পরিবেশবান্ধব সম্পূর্ণরুপে স্বয়ংক্রিয় রশনী অটো রাইস মিলের এর উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্বয়ংক্রিয় অটো রাইস মিলের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ এমপি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, রশনী অটো রাইস মিলস ও গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফের চেয়ারম্যান খাজা টিপু সুলতানসহ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ।
উল্লেখ্য গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান অটো রাইস মিল থেকে প্রতিদিন একশ মেট্রিক টন চাল উ্যপাদন হবে। যার জন্য প্রতিদিন ১২৮ মেট্রিক টন ধানের প্রয়োজন। এছাড়া উৎপাদিত চাল আন্তর্জাতিক মানের যা এ অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে দেশ অন্যান্য অঞ্চল সহ বর্হিবিশ্বে রপ্তানীতে অবদান রাখবে।মিল কর্তৃপক্ষ জানান প্রায় সাড়ে চার একর জমির উপর এই প্রতিষ্ঠানটি সিলেট তথা অত্র অঞ্চলে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ধান থেকে চাল তৈরীর একমাত্র প্রতিষ্ঠান। এটির সাথে দেশের নামী দামী অটো রাইস মিলের তুলনা করা যাবে। এখান থেকে তৈরীকৃত চাল দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানী করা হবে।তৈরীকৃত চাল দেশের উৎপাদিত পণ্যের মধ্যে অন্যতম হবে। কারণ এ অঞ্চলের ব্যবসয়ীদের কাছ থেকে ক্রয়কৃত উন্নতমানের ধান থেকে চাল উৎপন্ন করা হবে। এ জন্য স্থানীয় কৃষকদের তিনি ভালো ধান এখানে বিক্রির আহবান জানান। তাহলেই এখান থেকে বিশ্বমানের চাল বের করা যাবে। আর বিশ্বমানের চাল তৈরী করতে পারলে বাঙালী হিসেবে বহির্বিশ্বে তুলনা করা যাবে।
এই রাইস মিলে একসাথে ১২৮ টন ধান থেকে ১০০টন চাল তৈরী করা যাবে। ওজন পরিমাপ, বয়েলিং, শুকানো ও প্যাকেজজাতসহ যাবতীয় কাজ মেশিনের সাহায্যে করা হবে। এজন্য জাপানের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ‘সাতাকে’ কোম্পানীর মেশিন বসানো হয়েছে।মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, নবীগঞ্জ, কমলগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, শেরপুর, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, নলিতাবাড়িসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে ক্রয় করা হবে। আর মৌলভীবাজার, শ্রীমঙ্গল, সিলেট, নরসিংদী, চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ বিভিন্নস্থান থেকে চাল বিক্রি করা হবে।
বর্তমানে হাস্ক বার্ণার এর মাধ্যমে মেশিনগুলো চালিত হবে এবং এখানের যাবতীয় কাজ করা হবে। যখন গ্যাস সংযোগ পাওয়া যাবে তখন গ্যাস দিয়ে চালানো হবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, মৌলভীবাজার ও শ্রীমঙ্গলের সাংবাদিকবৃন্দ।
মন্তব্য করুন