মৌলভীবাজারে আম বয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু তাবলীগ জামাতের জেলা ইজতেমা

December 12, 2024,

মোঃ আব্দুল কাইয়ুম মহান আল্লাহর প্রতি মানুষের সম্পর্ক তৈরি হয়। প্রতিটি কাজের মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর নৈকট্য লাভ,তাকওয়াপূর্ণ জীবন-যাপনে অভ্যস্ত হওয়া সহ ঈমান ও আমলের মেহনত সর্ম্পকে আলোচনার মধ্যদিয়ে মৌলভীবাজারে শুরু হয়েছে ভারতের দিল্লি নিজামুদ্দিন মারকাজের আমীর মাওলানা সাদ কান্দলবি’র অনুসারী তাবলীগ জামাতের তিন দিনব্যাপী জেলা ইজতেমা।

বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর শহরতলীর গোমড়া এলাকার পুলিশ লাইন্সের পাশে তাবলীগ জামাতের নিজস্ব মাঠে বাদ ফজর সিলেটের শুরা সদস্য মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস’র বয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হয় তিন দিনের জেলা ইজতেমার মূল পর্ব। এরপর ধারাবাহিকভাবে দুপুর পর্যন্ত তাবলীগের ঢাকা, সিলেট ও মৌলভীবাজারের মুরব্বীরা বয়ান করেন।

জোহরের নামাজের পর বয়ান করেন থাইল্যান্ড থেকে আসা তাবলীগের মুরব্বী মাওলানা আছরি। অনুবাদ করেন মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস। আছরের নামাজের পর জেলা তাবলীগ জামাতের আমীর মোঃ আব্দুল হাই বযান করবেন।

বাদ মাগরিব কাকরাইল মসজিদের মুরব্বিরা বয়ান করবেন বলে জানিয়েছেন, তাবলীগ জামাতের আমীর মোঃ আব্দুল হাই। তিনি জানান, প্রতিদিন ফজরের পর থেকে যারা বয়ান করবেন তাদের বিষয়ে প্রতি রাতে এশার নামাজ শেষে শুরার মাধ্যমে বসে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মাঠে স্থাপিত বিশাল সামিয়ানার নিচে অবস্থান করছেন জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা কয়েক হাজার মুসল্লী। এবারের ইজতেমায় বিদেশী জামাত সহ অন্তত পাঁচহাজার মুসল্লি অংশ নেয়ার কথা জানিয়েছেন তাবলীগ জামাতের দ্বায়িত্বশীল সূত্র।

এদিকে তিনদিন ব্যাপী জেলা ইজতেমা ১৪ ডিসেম্বর শনিবার ফজরের নামাজের পর হেদায়াতের বয়ান শুরু হয়ে আখেরী মুনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে। ইজতেমা শেষে সেখান থেকে দেশ ও বিদেশে অন্তত ২০টি জামাত দাওয়াত ও তাবলীগের কাজে দীর্ঘ সফরে বের হবেন বলে জানা গেছে।

এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মহসিন জানান, ইজতেমাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা সহ সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষায় সার্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

উল্লেখ্য, ৯০ দশকে শহরের কাজিরগাঁও এলাকায় তাবলীগ জামাতের জেলা মারকাজের যাত্রা শুরু হয়। তবে ২০১৮ সালের দিকে দেশে তাবলীগ জামাতের মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদ কান্দলবীর অনুসারীদের মধ্যে চরম বিভক্তি দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক সড়কের পাশে গোমড়া এলাকায় দেড় একর ভুমি ক্রয় করে তাবলিক জামাতের মারকাজ প্রতিষ্ঠা করা হয়।

২০২৩ সালে এই মারকাজ প্রতিষ্ঠার পর এখান থেকেই চলে আসছে জেলাব্যাপী দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ। একই বছর ওই মাঠে হয় জেলা ইজতেমা। ২০১৮ সালের ২৫ থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রথম বারের মতো তিনদিন ব্যাপী জেলা ইজতেমা শহরতলীর জগন্নাথপুর এলাকার গণপূর্ত বিভাগের নিজস্ব জায়গার উপর অনুষ্ঠিত হয়। ওই ইজতেমায় লক্ষাধিক মুসল্লী অংশ নেন।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com