মৌলভীবাজারে ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন, আওয়ামী লীগ দল হিসেবে মৃত্যু বরণ করেছে-এম নাসের রহমান

স্টাফ রিপোর্টার : সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান বলেছেন,আওয়ামী লীগ দল হিসেবে মৃত্যু বরণ করেছে। তাদের নেত্রীই দলকে মেরে ফেলেছে। জুলাই বিপ্লবে গণ অভ্যুত্থান থেকে বাঁচতে র্নিলজ্জের মতো দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এম নাসের রহমান বলেন ফ্যাসিস্ট এ দলের এই নেত্রী কি বিগত সাড়ে ১৫ বছর দেশটায় কী করেছে দেখেনি ? কিভাবে নির্দেশ দেয় হেলিকপ্টারে আকাশ থেকে গুলি করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মেরে ফেলও। এই পতিত স্বৈরাচারীনি খুনি হাসিনা ও দোসরা দেশের জনগণের টাকা কিভাবে হরিলুট করেছে দেখেননি। দেশের জনগণের ট্যাক্সের লক্ষ লক্ষ হাজার কোটি টাকা লুট করে দেশে ছেড়ে পালিয়ে গেছে। আর এখন এই লুটপাটের টাকা দিয়ে দেশের ভেতরে গন্ডগোল বাধাচ্ছে। আর তার (হাসিনার) সাথে যে ভারতীয় গুরু আছে। ভারতীয় গুরুকে নিয়ে দেশের মধ্যে অরাজকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। অতএব সাধু সাবধান। আমরা দেশবাসী সাবধান থাকতে হবে। সেজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ওদেরকে রুখে দিতে হবে।
তিনি গতকাল বিকেলে মৌলভীবাজারে গিয়াস নগর ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ইউনিয়ন ভুমি অফিস মাঠে আয়োজিত বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন,জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য এম এ মুকিত, মো.ফখরুল ইসলাম,বকসী মিসবাউর রহমান,মুজিবুর রহমান মজনু,জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি আয়াছ আহমদ। এর আগে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিদের সাথে নিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনের উদ্ভোধন করেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ বদরুল আলম ও যুগ্ম আহবায়ক মো.মারুফ আহমেদ। পরে গোপন ব্যালট পেপারে ভোটাভুটির মাধ্যমে সভাপতি পদে নির্বাচিত হন রানু মিয়া,সাধারণ সম্পাদক পদে মীর শামীম আহমদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো.মখলিছুর রহমান খালিছ নির্বাচিত হন। মোট ভোটার ছিল,৪৫৯টি। কাস্ট হয়েছে ৪৩৫ ভোট।
২০০১ সালের পরে দেশে যত নির্বাচন হয়েছে তা তামাশার নির্বাচন ছিল-এম স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি এম নাসের রহমান বলেছেন, আমরা দেশে লাস্ট নির্বাচন দেখছি ২০০১-এ। এর পরে তো আর দেশে দৃশ্যত কোনও নির্বাচন হয়নি। নির্বাচন যা ই হয়েছে,তা তামাশার নির্বাচন হয়েছে। তাই জুলাই বিপ্লবের পর নতুন স্বাধীনতা পেয়ে এদেশের মানুষ আগামী নির্বাচনটা ২০০১ সালের মতো জেনুইন নির্বাচন হবে বলে আশা করে।
বুধবার ১২ মার্চ বিকেলে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নাসের রহমান বলেন, বিগত সকল নির্বাচনে বিএনপির প্রতিদ্বন্ধী ছিল আওয়ামীলীগ। আওয়ামীলীগ এখন পালিয়ে গিয়ে গর্তে ঢুকেছে। তাই আগামী নির্বাচন প্রতিদ্বন্ধীতা হবে নতুন প্লেয়ারদের সঙ্গে। প্লেয়ার পাল্টে গেছে। আমরা প্লেয়ার ঠিক আছি। তবে আমাদের ওপন্যান্ট প্লেয়ার একটু পাল্টে গেছে। নতুন প্লেয়ারা খুব ঘুরাঘুরি করছে। কিন্তু সারা দেশের ন্যায় আমাদের মৌলভীবাজারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ওপর জনগনের পুরোপুরি আস্থা আছে। দলের অবস্থানও শক্তিশালী আছে।
আওয়ামীলীগ নির্বাচনে না থাকলে তাদের ভোটটা কোন দিকে যাবে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা (আওয়ামীলীগের ভোটারা) এখন আশ্রয় খুঁজে কোনদিকে যাবে। তাদের নেত্রীই তো তাদের দলকে মৃত্যুবরণ করিয়ে দেশ ছেড়ে ওপারে পালিয়ে গেছে। এখন তাদের ভোটাররা আশ্রয় খুঁজছে। যদিও নির্বাচনে আওয়ামীলীগ আসতে পারবে কিনা এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।
তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন আগে একটা জরিপ বের হয়েছে, আওয়ামীলীগের ভোট ১৩ থেকে ১৪ পারসেন্ট মাত্র। ১৩ থেকে ১৪ পারসেন্ট ভোট যদি থেকে থাকে তাহলে সারাদেশে তাদের সীট পাবে কোথা থেকে ?।
বেতরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে খলিলপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক ফরিদ আহমদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আলহাজ আব্দুল মুকিত, মো.ফখরুল ইসলাম, বকসী মিসবাউর রহমান, মুজিবুর রহমান মজনু, জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি আলহাজ আয়াছ আহমদ।
কাউন্সিল অধিবেশনে ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এর আগে প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিগণকে সাথে নিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ বদরুল আলম ও যুগ্ম আহবায়ক মারুফ আহমদ।
পরে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সভাপতি পদে নির্বাচন হয়। এতে এমদাদ আহমাদ সিরাজ ২৩০ ভোট পেয়ে সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ছিলেন মো.শহীদ মিয়া। তার প্রাপ্ত ভোট ১১৭ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হন আতাউর রহমান। কাউন্সিলে মোট ভোটার ছিল ৪৫৯ টি। কাস্ট হয়েছে ৩৪৮ টি। এর মধ্যে বাতিল ব্যালট ১টি।
মন্তব্য করুন