মৌলভীবাজারে ঈদের কেনা-কাটায় তরুণীদের মন কেড়েছে

July 2, 2016,

হোসাইন আহমদ॥ প্রবাসী অধ্যুষিত মৌলভীবাজারে ঈদের কেনা-কাটায় তরুণীদের মনকেড়েছে সারারা এবং মহিলাদের কাতান শাড়ি।
এছাড়াও নিজ নিজ পছন্দের কাপড় কিনতে শহরের ছোট-বড় বিপণি বিতানগুলোতে ভিড় জমিয়েছেন সর্বস্তরের ক্রেতারা।
দেশীয় পোষাকের পাশাপাশি অন্যান্য বছরের ন্যায় ভারতীয় নায়ক-নায়িকাদের নামানুসারে এবারের ঈদে তরুণীদের পছন্দের কাপড়ের চাহিদা বেশী।
৩০ জুন বৃহস্পতিবার শহরের বিলাশ, এমবি, দুবাই ক্লথ ষ্টোর, রাজিয়া ক্লথ ষ্টোর, আল-মদিনা এবং জয়দূর্ঘা বিপণী বিতান গুলোতে ঘোরে দেখা যায় তরুণীদের ড্রেস সারারা, বাজিরাই মাস্তানি, হাওয়ারা ও ডিলাশা এবং মহিলাদের কাতান, ছুপিয়ানা, আশিক কাতান, পিয়ার কাতান, কাঞ্চিবরণ, অপেরাগাতা, বেনারশি ও জামদানী শাড়ির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
প্রতিটি ড্রেসের মূল্য সর্বনি¤œ ৪ হাজার টাকা থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত এবং প্রতিটি শাড়ির মূল্য ৩ হাজার ৫শত টাকা থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

moulvibazar-pic-27-06-2016-
এছাড়া রয়েছে পোশাকের আদলে তৈরি থ্রিপিস এবং তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ইমিটেশন অলঙ্কার ও কসমেটিক সামগ্রী। রাজধানীর মতো এসব পোষাকের আধিপত্য মৌলভীবাজারের ঈদের বাজারেও। ক্রেতাদের আগ্রহকে গুরুত্ব দিয়ে ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান সাজিয়েছেন দেশী এবং ভারতীয় পণ্যের সমন্বয়ে। ক্রেতারা জানান, চাহিদা অনুযায়ী দেশীয় শাড়ি আসছে না। রং ও সুতার দাম বাড়ার কারণে শাড়িপ্রতি ৪০০ থেকে ৫৫০টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। জামদানির ক্ষেত্রে ১হাজার ৫০০থেকে ১হাজার ৮০০টাকা বেড়েছে। অন্যদিকে বড় বিপণি বিতান ব্যতীত শহরের অন্য দোকানে ভারতীয় শাড়ির পাশাপাশি দেশীয় শাড়ি জায়গা করে নিয়েছে। এসব দোকানে ৮শ থেকে ১৮ হাজার টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে দেশীয় শাড়ী।
অভিজাত মার্কেট থেকে শুরু করে ফুটপাত সর্বত্রই কেনাকাটার ধুম পড়েছে। ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই জমে উঠেছে ঈদ বাজার। বাণিজ্যিক কেন্দ্র এম সাইফুর রহমান রোডের ঈদ বাজারের যানজট, ভীড় ও ঝামেলার মধ্যে দিয়েও অনেকেই কেনাকাটা করছেন কষ্ট করে। নামী-দামী বিপনী বিতানগুলির পাশাপাশি ফুটপাতের দোকানগুলিতে হরেক রকম ডিজানের কাপড় সাজিয়ে বসেছেন হকাররা। এ সব বিপণী গুলোতে নি¤œ ও মধ্য আয়ের ক্রেতাদের উপস্থিত লক্ষ করা যায়। অবশ্য ঈদকে সামনে রেখে কিছু কছিু দোকানীরা কাপড়ের মূল্যবৃদ্ধির অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। এ প্রসঙ্গে ঈদ শপিং করতে আসা মাহমুদা আক্তার ও মিজানুর রহমান জানান, ঈদের আগে পোষাক-আশাকের দাম স্বাভাবিক থাকলেও ঈদের সময়ে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন পোষাকের দাম বাড়িয়েদেন। ফলে ক্রেতাদের বাধ্য হয়ে কয়েকগুণ বেশি দামে পোষাক-আশাক কিনতে হয়। এমবি কথ ষ্টোরে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা স্কুল ছাত্রী নাহিদা আক্তার পলি জানান, রোজার শেষ দিকে মার্কেটগুলোতে ভীড় থাকে। শেষ সময়ে কাপড়ের দোকানগুলোতে পছন্দের কাপড় হয়ত নাও থাকতে পারে। তাই আগেভাগেই পোষাক কিনতে এসেছি।
তবে দাম যাই হোক, নিজের সাধ্যমত পোষাক কিনেই ঘরে ফিরছেন ক্রেতারা। আসছে ঈদে নতুন জামাকাপড় পড়ে পরিবারের সাথে ঈদের খুশি ভাগকরে নিতে তাই যত চেষ্টা জেলাবাসীর।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com